ভাগ্য নির্ধারণ হচ্ছে ৭৮৮ জন প্রার্থীর...
প্রতীকী ছবি।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জোরকদমে চলছে গুজরাট বিধানসভা নির্বাচন (Gujarat Assembly Elections)। আজ, বৃহস্পতিবার চলছে প্রথম দফার ভোটগ্রহণ। এদিন ভোট হচ্ছে ৮৯ আসনে। এই আসনগুলি ছড়িয়ে রয়েছে রাজ্যের ১৯টি জেলায়। এর মধ্যে রয়েছে রাজ্যের দক্ষিণ অংশের কচ্ছ এবং সৌরাষ্ট্রও। এদিন ভাগ্য নির্ধারণ হচ্ছে ৭৮৮ জন প্রার্থীর। ভোটের মুখে এদিন ট্যুইট করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। ট্যুইট-বার্তায় তিনি লেখেন, আজ গুজরাটে (Gujarat) প্রথম দফার নির্বাচন হচ্ছে। সবাইকে বলব ভোট দেওয়ার জন্য। বিশেষত যাঁরা প্রথমবার ভোট দিচ্ছেন, তাঁরা রেকর্ড সংখ্যায় ভোট দিন।
গুজরাটে টানা আড়াই দশক ক্ষমতায় রয়েছে বিজেপি। এতদিন মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হত কংগ্রেস এবং বিজেপির মধ্যে। তবে এবার লড়াইয়ের ময়দানে রয়েছে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী আম আদমি পার্টি সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়ালের দল। দিল্লির পাশাপাশি পাঞ্জাবেও সরকার গড়েছে কেজরিওয়ালের দল। রাজনৈতিক মহলের মতে, গুজরাট বিধানসভা নির্বাচনে তারা হয়ে উঠতে পারে এক্স ফ্যাক্টর। নির্বাচনের আগে কেজরিওয়াল দাবি করেছিলেন, গুজরাটে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে কংগ্রেস। তারা পাবে অন্তত ৯২টি আসন। এর মধ্যে আবার আটটি আসন আসবে সুরাট থেকে। যদিও আপের দাবিকে গুরুত্ব দিতে রাজি নন বিজেপি নেতৃত্ব। দিন কয়েক আগে গুজরাটে প্রচারে গিয়ে তিনি বলেছিলেন, নির্বাচনের ফল প্রকাশ পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। আপ আর কংগ্রেস বলে এখানে কিছুই থাকবে না।
প্রসঙ্গত, ১৯৯৫ সাল থেকে গুজরাটের কুর্সিতে রয়েছে পদ্ম-পার্টি। আঠারোর বিধানসভা নির্বাচনে (Gujarat Assembly Elections) গেরুয়া শিবিরের আসন ১৩৭ থেকে কমে হয় ৯৯। তবে এবার কোমর কষে প্রচারে নামেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। নির্বাচনে ১৪০টি আসনে জয়ের লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দিয়েছেন অমিত শাহ। ওই নির্বাচনে কংগ্রেস জয়ী হয়েছিল ৭৭টি আসনে। তবে এবার আসরে আপের প্রার্থীরা থাকায় অ্যাডভান্টেজ বিজেপি বলেই অনুমান রাজনৈতিক মহলের।
আরও পড়ুন: ভোটের মুখে জোর ধাক্কা গুজরাট কংগ্রেসে, ৬ মাসের কারাদণ্ডের সাজা জিগনেশ মেবানির
গুজরাট বিধানসভার (Gujarat Assembly Elections) দ্বিতীয় দফার ভোট হবে চলতি মাসেরই ৫ তারিখে। এই বিধানসভার আসন সংখ্যা ১৮২। তার মধ্যেই এদিন হচ্ছে ৮৯ আসনে ভোট। এদিন যাঁদের ভাগ্য নির্ধারণ হচ্ছে, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী বিজেপির ভূপেন্দ্র প্যাটেল এবং প্রাক্তন কংগ্রেস নেতা বিজেপির হার্দিক প্যাটেলও।