ধৃতদের জেরা করে সন্ত্রাস দমন শাখা জানতে পেরেছে যে তাদের কাজ ছিল আল-কায়েদার জন্য অর্থ সংগ্রহ করা, উগ্র মৌলবাদ প্রচার করা
প্রতীকী ছবি
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গুজরাট এটিএস (Gujrat ATS) এর জালে আল-কায়েদার মডিউল ধরা পড়ল। গ্রেফতার করা হয়েছে চারজন বাংলাদেশিকে। জানা গেছে, তারা অবৈধভাবে আমেদাবাদে থাকছিল। এটিএস জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে এই মডিউলের সদস্যদের বাংলাদেশে প্রশিক্ষিত করা হয়। পরে তাদেরকে ভারতে পাঠানো হয়। ধৃতদের জেরা করে সন্ত্রাস দমন শাখা জানতে পেরেছে যে তাদের কাজ ছিল আল-কায়েদার জন্য অর্থ সংগ্রহ করা, স্থানীয় যুবকদের মধ্যে উগ্র মৌলবাদ প্রচার করা এবং তাদেরকে সন্ত্রাসের কাজে লাগানো।
গুজরাট সন্ত্রাস দমন শাখার (Gujrat ATS) ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল দীপান ভদ্রন বলেন, ‘‘ধৃতদের আমেদাবাদের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং তাদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৮,৩৯ এবং ৪০ ইউএপিএ ধারা প্রয়োগ করা হয়েছে।
গুজরাট এটিএস (Gujrat ATS) সূত্রে খবর, আল-কায়েদার মডিউলের এই সদস্যরা হল, মহম্মদ সজীব, মুন্না খালিদ আনসারি, আজহারুল ইসলাম আনসারী এবং মমিনুল আনসারি। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে এদিন অভিযানে নামে গুজরাট সন্ত্রাস দমন শাখা। প্রথমে গ্রেফতার হয় সজীবকে। জানা গেছে, আমেদাবাদের রাখিয়াল অঞ্চলে থেকে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ চালাত সে। এরপর সজীবকে জেরা করে আরও তিন সদস্যের সন্ধান পায় এটিএস। বাংলাদেশের ময়মনসিংহে বসে শরিফুল ইসলাম এই আল কায়েদা মডিউল কন্ট্রোল করতে বলে জানা গেছে। জানা গেছে সজীবকে জেরা করেই এটিএস হানা দেয় এবং গ্রেপ্তার করে আজহারুল এবং মমিনুলকে। আমেদাবাদের নাড়োল অঞ্চলে স্থানীয় একটি কারখানাতে তারা কাজ করত বলে জানা গেছে।
এদিন সন্ত্রাস দমন শাখা তাদের কাছ থেকে ভুয়ো আধার কার্ড, প্যান কার্ড সমেত বেশ কিছু লিফলেট পেয়েছে। এই লিফলেটগুলোর সাহায্যে উগ্র মৌলবাদের প্রচার করা হত বলে জানা গেছে। এখন সন্ত্রাসদমন শাখা জানার চেষ্টা করছে যে ভারত বাংলাদেশ সীমান্ত পার হতে তাদেরকে কারা সাহায্য করেছে এবং কোন রাজ্য হয়ে তারা ঢুকেছে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
Tags: