জ্ঞানপীঠ পুরস্কারে এবার কারা সন্মানিত হলেন, জানেন?
গুলজার (বাঁদিকে), জগদগুরু রামভদ্রাচার্য (ডানদিকে) (সংগৃহীত ছবি)
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দশকের পর দশক ধরে তাঁর সৃষ্টি মন জয় করে এসেছে পাঠক ও শ্রোতাদের। তাঁর লেখা কবিতা পড়ে, গান শুনে আবেগে ভেসেছে, ভালোবাসার অর্থ অনুধাবন করেছে প্রজন্মের পর প্রজন্ম। সেই গুলজারই এবার মনোনীত হলেন জ্ঞানপীঠ পুরস্কারের জন্য। উর্দু ভাষা ও সাহিত্যে অসামান্য অবদানের জন্য ৫৮তম জ্ঞানপীঠ পুরস্কার (Jnanpith Award 2023) পেতে চলেছেন বর্ষীয়ান এই উর্দু কবি। শনিবার জ্ঞানপীঠ সিলেকশন কমিটির তরফে এক বিবৃতি দিয়ে এই ঘোষণা করা হয়েছে। উর্দুভাষায় সাহিত্যকর্মের জন্যই প্রবীণ এই সাহিত্যিককে বেছে নেওয়া হয়েছে বলে কমিটির তরফে জানানো হয়েছে। তাঁর সঙ্গেই এবছর জ্ঞানপীঠ পুরস্কার পাচ্ছেন সংস্কৃত ভাষার পণ্ডিত জগদগুরু রামভদ্রাচার্য।
উর্দুভাষায় সাহিত্যচর্চার পাশাপাশি হিন্দিভাষায় একের পর এক কালজয়ী গান রচনা করেছেন গুলজার। গীতিকার হিসাবে তাঁর লেখা সেইসব গান আজও সকলের ঠোঁটে ঠোঁটে ফেরে। 'আঁধি', 'ইজাজত', 'মাসুম'-এর মতো ছবিতে গুলজারের লেখা গান ভারতীয় সংগীতচর্চাকে এক অন্য মাত্রায় পৌঁছে দিয়েছে বলা যায়। 'মেরা কুছ সামান', 'তুম আ গায়ে হো', 'তেরে বিনা জিন্দেগি মে', 'আনে ওয়ালা পল'-এর মতো সব মণিমুক্ত জন্ম নিয়েছে গুলজারের কলম থেকে। গুলজারের আসল নাম সম্পূরাণ সিং কালরা। জন্ম ১৯৩৪ সালের ১৮ আগস্ট। উর্দু সাহিত্যের জগতে অন্যতম উজ্জ্বল নাম গুলজার। করেছেন আঁধি, খুশবু, মাসুমের মতো ছবির পরিচালনাও। পাঁচটি জাতীয় পুরস্কার পেয়েছেন গুলজার। এছাড়াও সাহিত্য অকাদেমি, দাদাসাহেব ফালকে সম্মান রয়েছে প্রায় ৯০ বছর বয়সি গুলজারের ঝুলিতে। পেয়েছেন পদ্মভূষণ সম্মানও। ২০১০ সালে গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ডও পান গুলজার। অন্যদিকে, জগদগুরু রামভদ্রাচার্য চিত্রকূটের তুলসী পীঠের প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রধান। তিনি একজন প্রখ্যাত হিন্দু আধ্যাত্মিক নেতা। শিক্ষাবিদও। ১০০ টিরও বেশি বইয়ের লেখক তিনি।
একটি বিবৃতিতে, জ্ঞানপীঠ (Jnanpith Award 2023) নির্বাচন কমিটি বলেছে, "দুটি ভাষার বিশিষ্ট লেখকদের (২০২৩ সালের জন্য) পুরস্কার দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সংস্কৃত সাহিত্যিক জগদগুরু রামভদ্রাচার্য এবং সুপরিচিত উর্দু সাহিত্যিক শ্রী গুলজার।"
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।