বিতর্কের সূত্রপাত ১৯৯১ সালে। সেই সময় স্থানীয় কয়েকজন পুরোহিত দাবি করেন...
ভিডিওগ্রাফির কাজ শেষ, কী রয়েছে রিপোর্টে? ফাইল চিত্র
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জ্ঞানবাপী মসজিদ (Gyanvapi mosque) কি আদতে মন্দির? প্রায় তিন দশক ধরে চলা এই বিতর্ক এখন খবরের শিরোনামে। সম্প্রতি, শেষ হয়েছে আদালতের নির্দেশে শুরু হওয়া বারাণসীর (Varanasi) কাশী বিশ্বনাথ মন্দির (Kashi Viswanath temple) লাগোয়া এই মসজিদের ভিডিওগ্রাফি জরিপের (videography survey) কাজ। গোটা বিষয়টি এখন সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন।
১৯৯১ সালে স্থানীয় কয়েকজন পুরোহিত দাবি করেন, মসজিদ তৈরি করবেন বলে মন্দিরের কিছু অংশ ভেঙে দিয়েছিলেন ঔরঙ্গজেব। পরে মালওয়া রাজ্যের মহারানি অহল্যাবাই হোলকার মন্দির পুননির্মাণ করেন। ওই পুরোহিতরা জ্ঞানবাপী চত্বরে পুজো করার অনুমতিও চেয়েছিলেন। তাঁদের দাবি, সেখানে হিন্দু দেবতার মূর্তি রয়েছে। এর পরে বিভিন্ন সময় আদালতের দ্বারস্থ হয় হিন্দুদের কয়েকটি গোষ্ঠী। সুপ্রিম কোর্টে রাম জন্মভূমি-বাবরি মসজিদ বিবাদের মীমাংসা হওয়ার পর ফের হইচই হয় বিষয়টি নিয়ে। ফের হয় মামলা। তার জেরেই আদালতের নির্দেশে শুরু হয়েছিল তিনদিন ব্যাপী মসজিদে জরিপের কাজ। ইতিহাসবিদদের একাংশ ঔরঙ্গজেবের মন্দির ধ্বংসের তত্ত্ব আওড়ালেও, অন্য একটি অংশের মতে মন্দির এবং মসজিদ পাশাপাশি গড়ে উঠেছিল পাশাপাশিই। তাঁদের দাবি, মুঘল সম্রাট আকবর তাঁর দীন-ই-ইলাহি নীতি সম্পর্কে জন সচেতনতা ছড়াতে একই চত্বরে গড়ে তুলেছিলেন মন্দির এবং মসজিদ।
আরও পড়ুন : জ্ঞানবাপী মসজিদের কুয়োয় মিলল ‘শিবলিঙ্গ’! এলাকা 'সিল' করল আদালত
তবে লেখক অড্রি ত্রুশকে তাঁর "ঔরঙ্গজেব: দ্য ম্যান অ্যান্ড দ্য মিথ" নামক গ্রন্থে লিখেছেন, "আমার ধারণা যে জ্ঞানবাপী মসজিদটি প্রকৃতপক্ষে ঔরঙ্গজেবের শাসনকালে নির্মিত হয়েছিল। মসজিদটি পুরানো বিশ্বনাথ মন্দিরের কাঠামোকে অন্তর্ভুক্ত করে। ঔরঙ্গজেবের নির্দেশে ধ্বংস করা হয়েছিল মন্দিরটি। মসজিদটি ঔরঙ্গজেবের আমলের, তবে আমরা জানিনা কে এটি তৈরি করেছেন। এই সব বিতর্কের (mosque-temple controversy) অবসানেই আদালতের নির্দেশে মসজিদে হয় ভিডিওগ্রাফির কাজ। অবশ্য এই ভিডিওগ্রাফির কাজ নিয়েও কম জলঘোলা হয়নি। প্রথমে মসজিদ চত্বরে জরিপ করা যাবে না বলে দাবি করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় মুসলমান সম্প্রদায়ের কয়েকজন। সুপ্রিম কোর্ট তা খারিজ করে দিলে নির্বিঘ্নেই শেষ হয় ভিডিওগ্রাফির কাজ।