img

Follow us on

Thursday, Nov 21, 2024

Gyanvapi Mosque: জ্ঞানবাপী মসজিদের তহখানায় পুজো চলবে, আদালতের রায়কে স্বাগত হিন্দু মহিলাদের

জ্ঞানবাপী মসজিদের এখানে হিন্দু মন্দির ছিল এটা ঐতিহাসিক সত্য, দাবি আন্দোলনকারীদের

img

জ্ঞানবাপী মসজিদের ‘ব্যাস কা তহখানা’-য় চলবে পুজো। ছবি— সংগৃহীত।

  2024-02-26 19:25:53

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বারাণসীর জ্ঞানবাপী মসজিদের (Gyanvapi Mosque) তহখানায় পুজো চালিয়ে যেতে পারবে হিন্দুপক্ষ। মুসলিম পক্ষের আর্জি খারিজ করে সোমবার জানিয়ে দিল এলাহাবাদ হাইকোর্ট। আদালতের রায়কে স্বাগত জানিয়েছেন হিন্দুপক্ষের আইনজীবী থেকে শুরু করে সনাতন ধর্মীরা। আনন্দিত জ্ঞানবাপী আন্দোলনের পাঁচ মহিলা। রায়কে স্বাগত জানিয়েছে সীতা সাহু ও মঞ্জু ব্যাস। তাঁদের দাবি, জ্ঞানবাপী মসজিদের এখানে হিন্দু মন্দির ছিল এটা ঐতিহাসিক সত্য। তাই আদালত সত্যের পথে রায় দিয়েছে।

আদালতের রায়

বারাণসী জেলা আদালত ইতিমধ্যেই জ্ঞানবাপীর (Gyanvapi Mosque) তহখানায় হিন্দুদের পুজো-আরতি করার অনুমতি দিয়েছে। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েই এলাহাবাদ হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় মুসলিম পক্ষ। নিম্ন আদালতের নির্দেশের বিরুদ্ধে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয় ‘অঞ্জুমান ইন্তেজামিয়া (জ্ঞানবাপী) মসজিদ কমিটি’৷ সোমবার ছিল মামলার শুনানি৷ বিচারপতি রোহিতরঞ্জন আগরওয়ালের একক বেঞ্চ জানায়, জ্ঞানবাপী মসজিদ চত্বরের দক্ষিণ দিকে ‘ব্যাসজি কা তহখানা’য় হিন্দু পক্ষ পুজো, আরতি চালিয়ে যেতে পারবে৷ 

কী এই ব্যসের তহখানা?

জ্ঞানবাপী মসজিদের (Gyanvapi Mosque) এই ব্যসজির তহখানা অর্থাৎ বেসমেন্টে পুজোর দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আইনি লড়াই চলছিল। হিন্দু পক্ষের দাবি, ১৯৯৩ সালের ডিসেম্বর মাসের পর পুরোহিত ব্যসকে এই চত্বরে প্রবেশ করতে বাধা দেওয়া হয়। ব্যারিকেড করে দেওয়া হয় এই বেসমেন্ট। সেখানে যা কিছু পুজার্চনা হত, সমস্ত রাতারাতি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। হিন্দু পক্ষের দাবি, বংশ পরম্পরায় তাঁর পরিবার ব্রিটিশ আমল থেকে এখানে পুজো করতেন। মসজিদটির বেসমেন্টে চারটি "তেহখানা" রয়েছে। তাদের মধ্যে একটি এখনও ব্যাস পরিবারের দখলে আছে যারা সেখানে থাকতেন। ব্যাসজি কা তেহখানা মসজিদের ব্যারিকেডেড কমপ্লেক্সের দক্ষিণে অবস্থিত। এটি গর্ভগৃহের কাছে কাশী বিশ্বনাথ কমপ্লেক্সের ভিতরে নন্দী মূর্তির মুখোমুখি। এটি প্রায় ৭ ফুট লম্বা এবং প্রায় ৯০০ বর্গফুটের কার্পেট এলাকা রয়েছে।

আরও পড়ুন: 'জ্ঞানবাপীর তহখানায় চলবে পুজো', মুসলিম পক্ষের আপত্তি নাকচ এলাহাবাদ হাইকোর্টের

আবেদনকারী যা বলেছেন

আবেদনকারী শৈলেন্দ্র পাঠক ব্যাসের মতে, ব্যাস পরিবার ২০০ বছরেরও বেশি সময় ধরে তেহখানার অভ্যন্তরে প্রার্থনা এবং অন্যান্য আচার-অনুষ্ঠান পরিচালনা করে আসছিল, কিন্তু ১৯৯৩ সালের ডিসেম্বরে এই প্রথা বন্ধ হয়ে যায়। পরিবারটি থাকার সময় থেকেই জায়গাটি "ব্যাসজি কি গদ্দি" নামে পরিচিত ছিল। সেখানে পূজা করার জন্য তহখানার ভেতরে জায়গা দেওয়া হয়। হিন্দু পক্ষের আইনজীবী প্রভাস পাণ্ডে বলেন, 'বারাণসী জেলা আদালতের বিচারকের রায়ে আপত্তি জানিয়ে মুসলিম পক্ষ যে আর্জি রেখেছিল তা এদিন বিচারপতি খারিজ করে দিয়েছেন। হিন্দুরা পুজো চালিয়ে যেতে পারবেন। জেলাশাসক যেমনভাবে জ্ঞানবাপী মসজিদের (Gyanvapi Mosque) তহখানাতে পুজার্চনার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন, তা চলবে। এটা সনাতন ধর্মের বড় জয়।' 

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

Tags:

India news

Madhyom

national news

Allahabad high court

bangla news

Gyanvapi masjid

Gyanvapi mosque case

Gyanvapi Case Update

news in bengali

gyanvapi vyas ka tehkhana

gyanvapi masjid hindu prayers


আরও খবর


খবরের মুভি


ছবিতে খবর