"ব্যক্তিগত ক্ষমতায় এই ধরনের মামলা দায়ের করা যাবে না", দাবি মসজিদ কর্তৃপক্ষের...
বারাণসী আদালতকে মামলা প্রত্যাখ্যান করার অনুরোধ জ্ঞানভাপি মসজিদ প্যানেলের। নিজস্ব চিত্র
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক :জ্ঞানবাপী মসজিদ (Gyanvapi mosque) চত্বরে রয়েছে শৃঙ্গার গৌরীর (Shringar Gauri) মন্দির। সেখানেই পুজোর অধিকার চেয়ে বারাণসী জেলা আদালতের (Varanasi district court) দ্বারস্থ হয়েছিলেন পাঁচ মহিলা। সেই আবেদন খারিজ করে দেওয়ার আবেদন জানালেন আঞ্জুমান ইন্তেজামিয়া মসজিদ (anjuman intezamia masjid committee) কমিটি। এই কমিটিই পরিচালনা করে জ্ঞানবাপী মসজিদ।
আরও পড়ুন : জ্ঞানবাপী মসজিদের দেওয়ালে ত্রিশূলের চিহ্ন! প্রকাশ্যে ভিডিও ফুটেজ
পাঁচ হিন্দু মহিলার দায়ের করা মামলার রক্ষণাবেক্ষণের বিরোধিতা করে আঞ্জুমান ইন্তেজামিয়া মসজিদ কমিটির কৌঁসুলি অভয় নাথ যাদব বলেন, "আবেদনকারীরা তাঁদের ব্যক্তিগত ক্ষমতায় মামলাটি দায়ের করেছেন। কিন্তু তাঁদের পুরো আবেদনপত্র পড়ার পরে এটা স্পষ্ট যে তাঁরা সমস্ত হিন্দু এবং হিন্দু ধর্মের অনুসারীদের পক্ষে প্রার্থনা করেছেন। ব্যক্তিগত ক্ষমতায় এই ধরনের মামলা দায়ের করা যাবে না। এই ধরনের মামলা একটি সরকারি মামলা হিসাবে দায়ের করা হয়। তাছাড়া কোনও পাবলিক মামলা দায়ের করার আগে আদালতের অনুমতি প্রয়োজন। তাই আমার যুক্তি, ওই পাঁচ মহিলার মামলা খারিজ করা উচিত।"
মসজিদ কমিটির কৌঁসুলি আরও বলেন, "মামলায় ওই পাঁচ মহিলা দীন মহম্মদের ১৯৩৬ সালের দেওয়ানি মামলার উল্লেখ করেছিলেন। তাঁরা জানিয়েছিলেন, সেই মামলায় ১২ জন সাক্ষী প্রমাণ করেছিলেন যে, সেখানে শৃঙ্গার গৌরী ও অন্য দেবতাদের পুজোর করা হয়েছিল। এবং বলেছিলেন, এটি একটি মন্দির।"
যাদব বলেন, "তাঁরা তাঁদের মামলাকে শক্তিশালী করতে সাক্ষীদের বক্তব্যের উল্লেখ করেছে। কিন্তু তাঁরা দীন মহম্মদের মামলায় আদালতের দেওয়া রায়ের কথা আবেদনপত্রে উল্লেখ করেননি। ওই মামলার রায় ছিল, মসজিদ, তার আঙ্গিনা এবং তার জমি হানাফি মুসলমানদের ওয়াকফ সম্পত্তি। মুসলমানদের উরস অনুশীলন করার এবং সেখানে নামাজ পড়ার মতো ধর্মীয় কার্যকলাপ করার অধিকারও রয়েছে। কিন্তু আবেদনকারীরা এই গুরুত্বপূর্ণ সত্যটি লুকিয়ে রাখেন। তিনি বলেন, আমাদের যুক্তি দেওয়া শেষ হয়নি।" এই মামলায় শুনানির পরবর্তী দিন ধার্য হয়েছে ৪ জুলাই।
আরও পড়ুন : অশান্তির আশঙ্কা! জ্ঞানবাপী সার্ভে রিপোর্ট প্রকাশ্যে না আনার আবেদন আদালতে
এদিকে, ৮ জুলাই পর্যন্ত জ্ঞানবাপী মসজিদ মামলার শুনানি স্থগিত করেছে বারাণসীর ফাস্ট-ট্র্যাক আদালত। মসজিদের ওজুখানার জলাধারে একটি শিবলিঙ্গ পাওয়া গিয়েছে বলে খবর ছড়ায়। সেই শিবলিঙ্গের পুজো করার অনুমতি চেয়ে জমা পড়ে পিটিশন। তারই মামলারই শুনানি হবে ৮ জুলাই।