Gyanvapi Masjid: ইতিহাস সাক্ষী আছে, অযোধ্যা মামলাও একইভাবে নিম্ন আদালত থেকে উচ্চ আদালত হয়ে শীর্ষ আদালত পর্যন্ত পৌঁছেছিল...
জ্ঞানবাপী মসজিদ (ফাইল ছবি)
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জ্ঞানবাপী মসজিদ (Gyanvapi Mosque) মামলায় ধাক্কা খেল আঞ্জুমান ইন্তেজামিয়া মসজিদ কমিটি (Anjuman Intezamia Masjid Committee)। বারাণসী (Varanasi) দায়রা আদালতের নির্দেশে হওয়া সমীক্ষার (videography survey) কাজ রদ করতে এবং মামলাটি বারাণসী থেকে সরিয়ে নিতে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme court) আবেদন করেছিল মসজিদ কমিটি।
এদিন কোনও আবেদনই গ্রাহ্য করল না সুপ্রিম কোর্ট। একদিকে বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি সূর্যকান্ত এবং বিচারপতি পিএস নরসিমহাকে নিয়ে গঠিত তিন সদস্যের ডিভিশন বেঞ্চ যেমন জানিয়ে দিল সমীক্ষার কাজ চলবে। তেমনই মামলা পাঠিয়ে দেওয়া হল বারাণসীর জেলা আদালতে। আবেদনকারী মসজিদ কমিটির দাবি ছিল, সমীক্ষার নির্দেশে ১৯৯১ সালে তৈরি উপাসনাস্থল আইন লঙ্ঘিত হয়েছে। তাই সমীক্ষার কাজ বন্ধ করা হোক।
আরও পড়ুন: মন্দির ভেঙেই জ্ঞানবাপী মসজিদ! প্রমাণ মিলল ইতিহাসেও
শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ, "এক মুহূর্তের জন্য মন্দির-মসজিদ বিবাদ দূরে সরিয়ে রেখে ভাবুন। ধর্মস্থলের মিশ্র চরিত্র নতুন কিছু নয়।" আদালত তার পর্যবেক্ষণে আরও বলে, "একটি নির্দিষ্ট ধর্মীয় কাঠামোর উপস্থিতি ধর্মীয়স্থলের চরিত্র পরিবর্তন করবে না। শুধুমাত্র নামাজের মাধ্যমে জ্ঞানবাপী মন্দিরকে মসজিদে পরিবর্তন করা হবে না। তাই এক্ষেত্রে সমীক্ষার নির্দেশ উক্ত আইনের আওতায় পড়বে না।
আবেদনকারী চাইছিল, মামলা বারাণসী থেকে সরিয়ে দেওয়া হোক। কিন্তু, এদিন শীর্ষ আদালত সাফ জানিয়ে দেয়, বারাণসী দায়রা আদালত মসজিদ চত্বরে সমীক্ষার যে নির্দেশ দিয়েছে তাতে কোনওপ্রকার হস্তক্ষেপ করবে না তারা। শীর্ষ আদালত জানিয়ে দিয়েছে, সমীক্ষা করা যাবে কিন্তু কোনো রিপোর্ট ফাঁস করা যাবে না।
আরও পড়ুন: "ঐতিহাসিক তথ্যগুলিকে এখনই...", জ্ঞানবাপী নিয়ে বড় মন্তব্য আরএসএসের
এত দিন জ্ঞানবাপী মামলাটি ছিল বারাণসী দায়রা আদালতে। শুক্রবার জেলা আদালতকে মামলা হস্তান্তরের নির্দেশ দিয়ে বিচারপতি চন্দ্রচূড় বলেন, ‘‘এমন স্পর্শকাতর মামলার শুনানির জন্য আরও অভিজ্ঞ ও সিনিয়র বিচারবিভাগীয় আধিকারিকের প্রয়োজন।’’ একইসঙ্গে বেঞ্চ জানিয়েছে, আপাতত সিল থাকবে মসজিদের ওজুখানা। তবে নমাজপাঠ করতে যাঁরা আসবেন, তাঁদের জন্য অন্য ব্যবস্থা করে দিত হবে।
ইতিহাস সাক্ষী আছে, অযোধ্যা মামলাও (Ayodhya case) নিম্ন আদালত থেকে উচ্চ আদালত হয়ে শীর্ষ আদালত পর্যন্ত পৌঁছেছিল। বিষয়টির নিষ্পত্তি হতে সময় লেগেছিল বেশ কয়েক দশক। এখন জ্ঞানবাপী মসজিদের ক্ষেত্রে তারই পুনরাবৃত্তি ঘটে কি না সেটাই দেখার।
আরও পড়ুন: কুতুব মিনার বানিয়েছিলেন রাজা বিক্রমাদিত্য! দাবি প্রাক্তন প্রত্নতাত্ত্বিক আধিকারিকের