ব্রিটিশ আমলের ওই হলফনামায় এই তথ্য রয়েছে। সম্প্রতি প্রকাশ পেয়েছে ওই নথি...
জ্ঞানবাপী মসজিদ। ফাইল ছবি
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এখন যেখানে জ্ঞানবাপী মসজিদ (Gyanvapi mosque) রয়েছে, সেখানে এক সময় মন্দির ছিল। ১৯৩৬ সালের একটি হলফনামায় এই তথ্য মিলেছে। জ্ঞানবাপী মসজিদ চত্বরেই ছিল হিন্দু উপাসনার স্থান।
হলফনামা অনুযায়ী, মসজিদের পূর্বদিকে অবস্থিত পিপুল গাছের নীচে আমরা গঙ্গেশ্বরের পুজো করি। এরপর আমরা রাধাকৃষ্ণের মূর্তি পুজো করি। ভিয়াস যে বাড়িতে থাকেন সেই বাড়িতে কাঠের সিঁড়ি বেয়ে আমরা আবার প্রাঙ্গনে আসি। গৌরীশঙ্কর নামে পরিচিত শিব এবং দশরথের যুগল মূর্তিও পুজো করি।
আরও পড়ুন : জ্ঞানবাপী মসজিদ চত্বরে মিলল পুরনো মন্দিরের ধ্বংসাবশেষ, হিন্দু মোটিফ!
পিটিশনের একটি অংশে লেখা, এর পরে আমরা গৌরী শঙ্করের মূর্তির কাছে তারকেশ্বর, তার পরে নন্দ কেশবস, তারপর মহাকালেশ্বর চবুতরের ওপর দক্ষিণ-পূর্ব কোণে পিপুল গাছের নীচে, তারপর জ্ঞানবাপী কূপ, তার পর মাদাদি পঞ্চ বিনায়ক নামে পরিচিত গণেশজির পুজো করি। তারপর তৃতীয় পিপুল গাছের নীচে মহেশ্বর, তারপরে মুক্তেশ্বর যা দক্ষিণ-পশ্চিম কোণে একটি লুকানো জায়গা, তারপরে আমরা শ্রীঙ্গার গৌরীর (Shringar Gauri) পুজো করি...।
আরও পড়ুন : মুসলমানরা আগে হিন্দু ছিলেন! আরএসএসের অনুষ্ঠানে দাবি হিমন্ত বিশ্বশর্মার
সিভিল মামলায় এই এলাকাটি ওয়াকফ (Wakf) সম্পত্তির অংশ হিসেবে দাবি করা হয়। মামলার বাদী পক্ষ জানায়, মন্দিরের জমিতে তৈরি করা কোনও কাঠামোকে মসজিদ হিসেবে গণ্য করা যাবে না। তারা ভারতে মুসলমান শাসনের শুরুর অনেক আগে থেকেই প্রাঙ্গনে দাঁড়িয়ে থাকা মূর্তি ও মন্দিরের উল্লেখ করেছে। ব্রিটিশ শাসিত ভারত সরকারও নোটে উল্লেখ করেছিল, অমুসলিমরাও ধর্মীয় উদ্দেশ্যে ওই জমি ব্যবহার করছে।
আরও পড়ুন : খননকার্য এখনই নয়, কুতুব মিনার প্রসঙ্গে জানাল সংস্কৃত মন্ত্রক
সোমবার বারাণসী জেলা আদালতে (Varanasi district court) শুনানি শেষ হয়েছে কাশী বিশ্বনাথ মন্দির (kashi Viswanath temple)-জ্ঞানবাপী মসজিদ মামলার। আজ, মঙ্গলবার পর্যন্ত রায়দান স্থগিত রেখেছে আদালত।
প্রসঙ্গত, কাশীর বিশ্বনাথ মন্দির চত্বরে রয়েছে জ্ঞানবাপী মসজিদ। মসজিদ কমিটির দাবি, দীর্ঘকাল মসজিদটি এই এলাকায়ই রয়েছে। যদিও হিন্দুত্ববাদী একাধিক সংগঠনের দাবি, বিশ্বেশ্বরের মন্দির ভেঙে মসজিদ তৈরি হয়েছে। পরে রানি অহল্যাবাই বিশ্বনাথের মন্দির পুনর্নির্মাণ করেন। সম্প্রতি মসজিদ এলাকায় ভিডিওগ্রাফির নির্দেশ দেয় আদালত। সোহন লাল আর্য নামে এক ব্যক্তির দাবি, ভিডিওগ্রাফি সমীক্ষা (Videography survey) করার সময় মসজিদের ওজুখানার (Wuzukhana) জলাধারে শিবলিঙ্গ (Shivling) মিলেছে। তার পরেই ওজুখানা সিল করে দেওয়ার নির্দেশ দেয় আদালত।