জনগণের সম্পত্তি নষ্ট করার জন্য জরিমানার নোটিশ হলদোয়ানি হিংসার মাস্টারমাইন্ড আব্দুল মালিককে...
হলদোয়ানি হিংসার মাস্টারমাইন্ড আব্দুল মালিক (সংগৃহীত ছবি)
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হলদোয়ানি পুরসভার (Haldwani Violence) তরফ থেকে যে অবৈধ মাদ্রাসা ভাঙা হয় তা চালাতেন আব্দুল মালিক নামের একজন। সেদিন যে উত্তেজিত জনতা প্রশাসনের আধিকারিকদের উপর পাথর ছুড়ে বিক্ষোভ দেখায়, সেই ভিড়ের নেতৃত্বেও ছিলেন তিনি। এ কথা জানিয়েছেন নৈনিতালের সিনিয়র পুলিশ অফিসার প্রহ্লাদ নারায়ণ। রবিবারই আবদুল মালিককে গ্রেফতার করা হয় দিল্লি থেকে। এবং তাঁকে দেরাদুনে নিয়ে আসা হয়। সোমবারই তাঁকে পুরসভার তরফ থেকে একটি নোটিশ পাঠানো হয়। জনগণের সম্পত্তি ভাঙচুর (Haldwani Violence) এবং নষ্ট করার জন্য তাঁকে ২ কোটি ৪৪ লাখ টাকার জরিমানা করা হয়। গত ৮ ফেব্রুয়ারি মালিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়। জানা গিয়েছে, ১৫টি গাড়িতে আগুন লাগানোর জন্য জরিমানা করা হয়েছে ২ কোটি ৪১ লাখ টাকা এবং জনগণের সম্পত্তি নষ্ট করার জন্য ফাইন করা হয়েছে বাকি ৩ লাখ ৫২ হাজার টাকা।
হলদোয়ানির বাসিন্দা ওই আবদুল মালিক (Haldwani Violence) গত বছর রেলের জমি দখল ঘিরে একটি মামলায় অভিযুক্তদের বিনামূল্য আইনি সহায়তা দিয়েছিলেন। এর ফলে, সেখানকার মুসলিমদের জনগোষ্ঠীর একাংশের মনে তাঁর জন্য আলাদা সহানুভূতি তৈরি হয়। সেই সমর্থনকে কাজে লাগিয়ে নিজে সরকারি জমি দখল করে বেআইনি মাদ্রাসা গড়ে তোলেন। পরে হাইকোর্টের নির্দেশ মতো তা পুরসভা ভাঙতে এলে সেখানকার বাসিন্দারা তাঁর সঙ্গে প্রতিরোধে সামিল হয় এবং পাথর ছুড়তে থাকে। এবিষয়ে উত্তরাখণ্ডের হাইকোর্টের একটা আইনজীবী আহরার বৈগো সংবাদমাধ্যমকে বলেন যে আব্দুল মালিক জনগণের কাছ থেকে অনেকটাই সহানুভূতি পেয়েছেন। কারণ তিনি বিনামূল্যে আইনি পরিষেবা দিয়েছেন (Haldwani Violence) বিভিন্ন মানুষকে।
উত্তরাখণ্ডের হলদোয়ানিতে যে স্থানে অবৈধ মাদ্রাসা ভাঙাকে কেন্দ্র করে গোষ্ঠী সংঘর্ষ ছড়ায়, সেই স্থানে পুলিশ স্টেশন নির্মাণের কথা ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী পুস্কর সিং ধামি। এদিন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘একটি পুলিশ স্টেশন নির্মাণ করা হবে বনভুলাপুরার সেই স্থানে যেখানে অবৈধ নির্মাণকে সরানো হয়েছে।’’ পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীর আরও ঘোষণা, ‘‘এটা সেই দাঙ্গাকারীদের উদ্দেশে বার্তা দেওয়া হবে যারা দেবভূমির শান্তিপূর্ণ পরিবেশকে বিনষ্ট করতে চেয়েছিল। আমাদের সরকারের তরফ থেকে এই বার্তা খুবই স্পষ্ট। যারা এই ধরনের কাজে জড়িত রয়েছে এবং শান্তি ভঙ্গের চেষ্টা করছে, সারা দেবভূমিকে অশান্ত করতে চাইছে। তাদের কোনও জায়গা নেই উত্তরাখণ্ডে।’’
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।