নির্দেশ অনুযায়ী, দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার ৬ মাস বা ২৬ সপ্তাহ পরেই নেওয়া যাবে বুস্টার ডোজ।
করোনার টিকার মধ্যে সময়ের ব্যবধান কমল
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: করোনাভাইরাস (Covid Vaccine) টিকার দ্বিতীয় (Second Dose) এবং বুস্টার ডোজের (Booster Dose) মধ্যে ব্যবধান কমাল কেন্দ্রীয় সরকার। বুধবার বিষয়টি নিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূষণ। দেশের সব রাজ্য এবং কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলকে এই নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। নির্দেশ অনুযায়ী, দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার ৬ মাস বা ২৬ সপ্তাহ পরেই নেওয়া যাবে বুস্টার ডোজ। এত দিন সেই সময়সীমা ছিল ৯ মাস বা ৩৯ সপ্তাহ। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে , ‘ন্যাশনাল টেকনিক্যাল অ্যাডভাইসরি গ্রুপ অন ইমিউনাইজেশন’ (NTAGI)- এর প্রস্তাব অনুযায়ী কোভিড টিকার দ্বিতীয় ডোজ ও বুস্টার ডোজের মধ্যবর্তী সময়ের ব্যবধান কমানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: শিশুদের মধ্যে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ, স্কুল খোলা রাখার পক্ষেই সওয়াল চিকিৎসকদের
দেশে কোভিড পরিস্থিতির ফের অবনতি হচ্ছে। মহামারীর মোকাবিলায় রাজ্যগুলিকে টিকাকরণে জোর দিতে বলা হয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের চিঠিতে। ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে সকলেই নিতে পারবেন কোভিডের বুস্টার ডোজ। ১৮ বছর থেকে ৫৯ বছর বয়সীরা দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার ৬ মাস পরেই বেসরকারি কোভিড টিকা কেন্দ্র থেকে বুস্টার ডোজ নিতে পারবেন। ৬০ বছরের বেশি বয়সীরা সরকারি টিকা কেন্দ্র থেকে বিনামূল্যে পাবেন বুস্টার ডোজ। পাশাপাশি স্বাস্থ্যকর্মী এবং প্রথম সারির কর্মীরা সরকারি টিকা কেন্দ্র থেকে বুস্টার ডোজ পাবেন বলে জানিয়েছে কেন্দ্রে। কোউইন পোর্টালের মাধ্যমেই টিকা নেওয়ার নতুন সময় দেখতে পাওয়া যাবে।
আরও পড়ুন: করোনায় আক্রান্ত হওয়া মানেই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়া নয়, জানাল হু
দেশে গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই ভয় ধরাচ্ছে করোনার দৈনিক সংক্রমণ। সংক্রমণ পরিস্থিতি যাতে নাগালের বাইরে না যেতে পারে, সে জন্য টিকাকরণে জোর দিতে চাইছে সরকার। আরও দ্রুত বেশি মানুষকে বুস্টার ডোজ দিয়ে সুরক্ষিত করতে চাইছে কেন্দ্র। সে জন্যই দুই ডোজের মধ্যবর্তী সময়ের ব্যবধান কমানো হল বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। চিকিৎসকদের মতে, দ্বিতীয় ডোজের পর বুস্টার ডোজ নেওয়া থাকলে বাড়বে প্রতিরোধ ক্ষমতা। এর জেরে করোনাভাইরাসের সঙ্গে লড়াই করা সহজতর হবে। তাই বুস্টার ডোজ নেওয়ার বিষয়ে প্রচার চালানোর জন্য রাজ্যগুলিকে নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক (Ministry of Health and Family Welfare)।