"বিপর্যয় ফান্ড থেকে ৩১৫ কোটি টাকা চেয়েছি..."
হিমাচল প্রদেশের জলছবি।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিন কয়েকের টানা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত হিমাচল প্রদেশ (Himachal Pradesh)। রাজ্যের একটা বিরাট অংশে হয়েছে বন্যা। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কয়েকশো কোটি টাকা। শনিবার হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিংহ সুখু বলেন, “গত ৭৫ বছরে এমন বৃষ্টি ও বন্যা দেখেনি রাজ্য। বৃষ্টিজনিত কারণে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ পৌঁছে যেতে পারে ৮ শো কোটি টাকায়।”
কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে দ্রুত আর্থিক সাহায্য পাওয়া প্রয়োজন বলেও জানান তিনি। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় দল এসে চাক্ষুষ করে গিয়েছে রাজ্যের পরিস্থিতি। আমরা কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে বিপর্যয় ফান্ড থেকে ৩১৫ কোটি টাকা চেয়েছি। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৮ হাজার কোটি টাকা। আমরা ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তাগুলি মেরামত করার চেষ্টা করছি। বিদ্যুৎ ও জল সরবরাহ করার চেষ্টাও চলছে।” তিনি বলেন, “রাজ্যের এই পরিস্থিতিতে এখনই প্রয়োজন কেন্দ্রীয় সাহায্যের। টানা বৃষ্টির সতর্কতা থাকায় বিপন্ন মানুষদের উদ্ধার করতে প্রস্তুত রয়েছে বিপর্যয় মোকাবিলা দল।”
প্রসঙ্গত, বৃষ্টির পাশাপাশি বেশ কয়েকটি এলাকায় হয়েছে হড়পা বান। সেই বানের জলে ভেসে গিয়েছে কয়েকটি গাড়ি। তবে হতাহতের কোনও খবর এখনও মেলেনি। প্রবল বৃষ্টির জেরে জেলার বিভিন্ন এলাকায় ধস নেমেছে। নিচু (Himachal Pradesh) এলাকাগুলিতে জলমগ্ন বহু বাড়ি। প্রবল বর্ষণের জেরে মাণ্ডিতে ক্রমেই বেড়ে চলেছে বিপাশা নদীর জল। জলের তোড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মন্থলা পঞ্চায়েতের কমিউনিটি হল।
আরও পড়ুুন: প্রবল বর্ষণের জেরে বিপর্যস্ত মুম্বই, ইঁদুর জ্বরের সতর্কতা, ভাসল গুজরাটও
এদিকে, প্রবল বর্ষণ ও মেঘভাঙা বৃষ্টির জেরে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে উত্তরাখণ্ডেও। রাজ্যের বিভিন্ন রাস্তা, বাড়ি এবং দোকানদানিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে বৃষ্টিজনিত কারণে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ঠিক কত, তা জানা যায়নি। উত্তরকাশী জেলা ম্যাজিস্ট্রেট অভিষেক রুহেলা জেলা বিপর্যয় কন্ট্রোল রুম থেকে ঘন ঘন পরিস্থিতি সম্পর্কে খোঁজখবর নিচ্ছেন। ত্রাণ সামগ্রী বিলিতে যাতে কোনও ফাঁক না থাকে, যুদ্ধকালীন তৎপরতায় যাতে ত্রাণ বিলি করা হয়, সে ব্যাপারে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেটদের। বারকোট তহসিলে গংনানি এলাকায় ধসের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বেশ কিছু ট্যুরিস্ট রিসর্ট। কস্তুরবা গান্ধী গার্লস রেসিডেন্সিয়াল স্কুলে জমা হয়েছে ধ্বংসাবশেষ। যদিও পড়ুয়ারা রয়েছে নিরাপদে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।