Militant Organization: ভারত ও হিন্দু বিরোধী চারটি জঙ্গি সংগঠনের বৃহৎ প্রস্তুতি ফাঁস!...
ইন্ডিয়ান আমেরিকান মুসলিম কাউন্সিল। প্রতীকী চিত্র।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চারটি সন্ত্রাসবাদী সংগঠন ভারতীয় হিন্দুদের (Hindus Under Threat) বিরুদ্ধে বিরাট নাশকতামূলক চক্রান্ত করছে। তাদের বিস্তৃত প্রস্তুতি এবং কট্টর মৌলবাদীদের লাগাতার হুমকি হিন্দুদের কাছে অত্যন্ত উদ্বেগের বিষয়। জানা গিয়েছে, ভারত এবং হিন্দুদের লক্ষ্য করে অনেকদিন ধরেই কাজ করছে এই ইসলামী জেহাদি সংগঠনগুলি। তাদের মূল টার্গেট হিন্দু জন-জীবন এবং সংস্কৃতিকে ধ্বংস করা। এরকম চারটি জঙ্গি সংগঠন (Militant Organization) হল— ইন্ডিয়ান আমেরিকান কাউন্সিল, খালিস্তানি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী, দাউদ সিন্ডিকেট এবং আল-ইসাবাহ্ মিডিয়া। সংবাদমাধ্যমে এই সংগঠনগুলির নাশকাতার খবর প্রকাশিত হতেই ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।
আল-ইসাবাহ্ মিডিয়া হল আনসার-উত তাওহীদ ফির বিলাদ আল-হিন্দের একটি শাখা। এই সন্ত্রাসী গোষ্ঠীটি (Militant Organizationt) ইসলামিক রাষ্ট্র নির্মাণের পক্ষপাতী। আর তাই ভারতকে মুসলমান রাষ্ট্র করতে ভারতের হিন্দুদের (Hindus Under Threa) বিশেষভাবে টার্গেট করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। সাময়িকভাবে নিজেদের আত্মগোপন করে রাখলেও, ২০২৪ সাল থেকে অতিসক্রিয় হয়ে কাজ করছে এই জঙ্গিগোষ্ঠী। এই সংগঠনের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, এরা হিন্দুদের বিরুদ্ধে নেতিবাচক বিষয়কে সামাজিক মাধ্যমে তুলে ধরে অধিক পরিমাণ মুসলমানদের নাশকতামূলক কাজের জন্য উৎসাহ দিয়ে থাকে। একইভাবে নিজেদের কাজকে বাস্তবায়িত করতে যুবককের মগজ ধোলাই করে জেহাদ করার জন্য হিংসাত্মক প্ররোচনা দিয়ে থাকে।
জানা গিয়েছে, ভারতকে গাজওয়া-ই-হিন্দ করার জন্য সামজিকভাবে হিন্দুদের বিরুদ্ধে ব্যাপক হিংসার (Hindus Under Threat) বাতাবরণ তৈরি করছে। এই কাজকে বাস্তবায়ন করতে টেলিগ্রাম এবং রকেট চ্যানেলের মতো সামাজিক মাধ্যমকে ব্যবহার করা হচ্ছে। গত নভেম্বর এবং ডিসেম্বর মাসের মধ্যে সব থেকে বেশি সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করা হয়েছে। মুসলমানদের কীভাবে এগিয়ে আসতে হবে সেই রাস্তার কথাও বলা হয়েছে। বিশেষ করে কাশ্মীরের উপর কিছু কিছু হিংসাত্মক পোস্টার বানানো হয়েছে। একই ভাবে, উত্তরপ্রদেশে নানা জায়গায় হিন্দু মন্দির এবং জনবসতিকে লক্ষ্য করে বড়সড় আক্রমণের পরিকল্পনা করার জন্য উস্কানি দেওয়া হয়েছে। দেশজুড়ে শরিয়া আইন, মুসলিম মহিলাদের বোরখা, হিজাব পরার ওপর জোর দিয়ে আল-ইসাবাহ্ সংবাদমাধ্যমে ব্যাপক প্রচার-প্রসার করছে। উল্লেখ্য, এই ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের জন্য যেমন বক্তব্য রাখা হয়েছে, ঠিক তেমনি অমুসলমানদের ইসলাম গ্রহণের জন্য প্রলোভন দেওয়া হচ্ছে। ভারতীয় সংবিধান, পতাকার সঙ্গে তুলনা করে ইসলাম ধর্মের শুদ্ধতার দিকে বেশি জোর দিয়ে প্রচার করা হয়েছে।
This is extremely dangerous and needs to be investigated as a priority.
— Vijay Patel (@vijaygajera) January 8, 2025
The lives of so many individuals are at risk as someone has published a website for the targeted killing of all those who are voicing for Hindus and India.
1. Let me show you who all are on the List👇 pic.twitter.com/juRuUQTp7m
ইন্ডিয়ান আমেরিকান মুসলিম কাউন্সিল (আইএএমসি) হল বেশ কিছু জঙ্গি সংগঠনের (Militant Organizationt) সমন্বয়। হিন্দুদের সব সময় তারা শত্রু বলে মনে করে। তাদের তালিকায় (পড়তে হবে হিটলিস্টে) বেশ কিছু হিন্দু নেতার নাম রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। যেমন— যোগী আদিত্যনাথ, হিমন্ত বিশ্ব শর্মা, জে সাই দীপ, পুষ্কর ধামি এবং আরও অনেকে। সকলকেই টার্গেট (Hindus Under Threa) তালিকায় রাখা হয়েছে। আইএএমসি ২০২৪ সালের জন্য যে তালিকা তৈরি করেছে তা পিএফআই দ্বারা প্রস্তুত করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এই সংগঠন বিশ্বজুড়ে হিন্দুদের নিঃশেষ করতে বিরাট পরিকল্পনা করেছে। মিনহাজ খানের মতো কিছু ব্যক্তি রয়েছেন এর পিছনে, যাঁরা সবসময় ভারতের ক্ষতির কথাই ভাবেন। জানা গিয়েছে, ২০১৩ সালে প্রায় ৫৫ হাজার ডলার দিয়ে তাঁদের সাহায্য করেছে বিভিন্ন বাণিজ্যিক সংস্থা। এই সংস্থার সঙ্গে রয়েছে জাস্টিস ফর অল, স্টুডেন্টস্ ইসলামিক মুভমেন্ট অফ ইন্ডিয়া (সিমি), ইসলামিক সার্কেল অফ নর্থ আমেরিকা এবং মুসলিম ব্রাদারহুড।
খালিস্তানী জঙ্গি সংগঠন (Militant Organization) সবসময়ে ভারত ধ্বংসের (Hindus Under Threat) ষড়যন্ত্র করে থাকে। একাধিক সময়ে দেশে এবং দেশের বাইরে ভারতীয় হিন্দুদের ওপর আক্রমণ করেছে। সম্প্রতি পাঞ্জাবে সাম্প্রদায়িক উস্কানি এবং আলাদা দেশ গঠনের বিচ্ছিন্ন ভাবনাকে উস্কানি দেওয়ার কাজ করছে। অপর দিকে কানাডা এবং আমেরিকা তাদের জঙ্গিকার্যকালাপকে পরোক্ষে মদত দিচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। তাই এই জঙ্গিদের সক্রিয়তা আগে থেকে অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়েছে। তারা কট্টর মুসলিমদের পূর্ণ সমর্থন করে থাকে।
অপর দিকে দাউদ সিন্ডিকেট বা ডি-গ্যাং হল অন্ধকার জগতের কুখ্যাত জঙ্গি দাউদ ইব্রাহিমের কোম্পানি। ১৯৯৩ সালে মুম্বই বিস্ফোরণ থেকে সক্রিয় এই গ্যাং। দাউদ ২০১৬-১৭ সাল নাগাদ গুজরাটে হিন্দু বিরোধী একটি বাতাবরণে প্রত্যক্ষ মদত দিয়েছিল। একই ভাবে উত্তরপ্রদেশের হিন্দু নেতাদের টার্গেট করতে বিশেষ তালিকা তৈরির কাজ করেছে বলে জানা গিয়েছে। বেশির ভাগ বিজেপি এবং বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নেতাদের টার্গেট করা হচ্ছে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।