বিলাসবহুল গাড়ি হিসাবেই দেশের মানুষের মন জয় করেছিল কন্টেসা।
কন্টেসা
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কিছুদিন আগেই শোনা গিয়েছিল হিন্দুস্তান মোটর্সের (Hindustan motors) হাত ধরে নয়া অবতারে ফিরতে চলেছে আইকনিক (Iconic) কন্টেসা (Contessa)। খবর প্রকাশ্যে আসতেই নস্ট্যালজিয়ায় ভেসেছিল গোটা দেশ। সেই রেশ কাটতে না কাটতেই শোনা যাচ্ছে কন্টেসার স্বত্ব, এস জি কর্পোরেট মোবিলিটিকে (SG Corporate Mobility) বিক্রি করতে চলেছে হিন্দুস্তান মোটর্স।
অ্যাম্বাসেডরের ভারতের রাস্তায় ফেরার খবরে ভারতে গাড়ি প্রেমীদের মধ্যে হৈ চৈ পড়ে গিয়েছিল। ইলেকট্রিক চালিত নতুন কন্টেসা ভারতের বাজারে লঞ্চ করতে পারে বলে জানিয়েছিল হিন্দুস্তান মোটর্স। একটি ইউরোপীয় সংস্থার সঙ্গে হাত মিলিয়ে এই গাড়ি ফিরিয়ে আনার কথা ছিল ভারতীয় সংস্থাটি।
১৯৮০-৯০ -এর দশকে ভারতের রাস্তায় দাপিয়ে বেড়াত এই গাড়ি। বিলাসবহুল গাড়ি হিসাবেই দেশের মানুষের মন জয় করেছিল কন্টেসা। এক সময় হুগলি নদীর তীরে হিন্দমোটর রেলস্টেশন এলাকায় বিরাট কারখানা গড়ে তুলেছিল হিন্দুস্তান মোটর্স। কারখানায় কাজ হত দিনরাত। কারখানার সাইরেনে ঘুম ভাঙত গঙ্গাপারের বাসিন্দাদের। সাইরেনের শব্দ শুনেই কাজে যোগ দিতেন শ্রমিকরা। শ্রমিকদের সুবিধার্থে তৈরি হয় আস্ত একটি রেলস্টেশন। কারখানার নামের সঙ্গে সাযুজ্য রেখে স্টেশনের নাম হয় হিন্দমোটর। হিন্দমোটরের এই কারখানা থেকেই তৈরি হত বিখ্যাত গাড়ি অ্যাম্বাসাডর। মজবুত গাড়ি হওয়ায় গাড়িবিলাসীদের কাছে অত্যন্ত পছন্দের গাড়ি ছিল অ্যাম্বাসাডর। তৈরি হত কন্টেসাও। যাঁরা আর্থিকভাবে খানিকটা বেশি স্বচ্ছল, তাঁরাই হাওয়া খেতে বেরতেন কন্টেসা চড়ে।
আরও পড়ুন: নয়া অবতারে ফিরতে চলেছে হিন্দুস্তান মোটর্সের "আইকনিক" কন্টেসা!
কিন্তু ২০০২ সালে বেশি মাইলেজ দেওয়া, হাল্কা গাড়ি জায়গা করে নেয় ভারতের বাজারে। আস্তে আস্তে কন্টেসা তৈরি করা কমিয়ে দেয় হিন্দুস্তান মোটর্স। পেট্রলের দাম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই লো মাইলেজের গাড়ি কন্টেসার কফিনে শেষ পেরেকটি পুঁতে দেয় ভারতীয় ওই গাড়ি প্রস্তুতকারী সংস্থা।
হিন্দুস্তান মোটর্সের ডিরেক্টর উত্তম বোস জানান,"অ্যাম্বাসেডরকে আবার নতুন রূপে ফিরিয়ে আনা হচ্ছে ভারতীয় বাজারে। আরও যুগোপযোগী করে তুলতে বদলানো হবে ইঞ্জিনের ধরন।"
ধারণা করা হচ্ছে কন্টেসাও আবার ফিরবে বীর বিক্রমে। এই গাড়ির ভাগ্য নিয়ে কী পরিকল্পনা করে রেখেছে এস জি কর্পোরেট মোবিলিটি তা সময়ই বলবে।