Honour Killing: 'অনার কিলিং'য়ের শিকার মৃত তরুণী আয়ুষি যাদব?
Honour Killing
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শ্রদ্ধা ওয়ালকর হত্যাকাণ্ডে যখন তোলপাড় গোটা দেশ, আর এরই মধ্যে ফের এক নৃশংস খুনের খবর সামনে এসেছে (Honour Killing)। সূত্রের খবর অনুযায়ী, এবারে এক ২১ বছর বয়সী তরুণীকে গুলি করে খুন করেছে তরুণীর বাবা। আর মৃতদেহ প্লাস্টিকে মুড়ে স্যুটকেসে ভরতে সাহায্য করেছে মা। তারপর সেই স্যুটকেস ফেলে দিয়ে আসে এক রাস্তায়। হাড় হিম করা ঘটনা! ঘটনাটি উত্তরপ্রদেশের। সূত্রের খবর অনুযায়ী, তরুণীর নাম আয়ুষি যাদব। উত্তরপ্রদেশের গোরখপুরের বালুনির বাসিন্দা আয়ুষির পরিবার ও পরে তাঁরা রাজধানী দিল্লিতে চলে এসেছেন। তবে কেন এই খুন, তার রহস্য বেরিয়ে আসতেই হতভম্ব সবাই।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, 'অনার কিলিং'য়ের শিকার আয়ুষি যাদব (Honour Killing)। আয়ুষি তাঁর বাবা-মা-এর সম্মতি ছাড়াই এক ভিন্ন ধর্মের ছেলেকে বিয়ে করায় তাঁকে খুন করেছে তাঁর বাবা নীতেশ যাদব। পুলিশের দাবি, ছত্রপাল নামে অন্য জাতের এক তরুণকে বিয়ে করেছিলেন আয়ুষি এবং সেটা বাড়িতে না জানিয়েই। মেয়ের এই আচরণের ফলেই খুন করে তাঁর বাবা-মা। পরিবারের ‘সম্মানরক্ষায়’ ঘটেছে এই কাণ্ড, সূত্রের খবর।
পুলিশ সূত্রে খবর, জেরার মুখে আয়ুষির বাবা নীতেশ জানিয়েছেন, গত ১৭ নভেম্বর, দিল্লির বদরপুরের মদবন্দ গ্রামে তাঁদের বাড়িতে নিজের লাইসেন্সড বন্দুক দিয়েই আয়ুষিকে খুন করেছেন তিনি। তারপর দেহ প্লাস্টিকে মুড়ে স্যুটকেসে ভরতে সাহায্য করেছেন তাঁর স্ত্রী ব্রজবালা যাদব ও এরপর মৃতদেহ গাড়ি করে নিয়ে গিয়ে যমুনা এক্সপ্রেসওয়ের কাছে ফেলে আসেন (Honour Killing)।
আরও পড়ুন: 'রাগের বশে শ্রদ্ধাকে খুন করেছিলাম...' আদালতে জানাল 'কিলার' আফতাব
গত সপ্তাহেই মথুরা পুলিশ জানিয়েছিল, যমুনা এক্সপ্রেসওয়ে থেকে একটি স্যুটকেসবন্দি দেহ পেয়েছে তাঁরা। নিহতের পরিচয় জানতে তদন্ত করা হচ্ছিল। এরপর গতকাল, সোমবার সেই স্যুটকেসের সূত্র খুঁজতে গিয়ে তদন্তে উঠে আসে এই নৃশংস কাণ্ড। জানতে পারা যায়, তরুণীকে খুন করেছে তাঁর বাবা-মা। মৃতদেহের পরিচয় জানতে সোশ্যাল মিডিয়ার পাশাপাশি রাস্তায় পোস্টারও সাঁটানো হয়, সিসিটিভি ফুটেজও দেখা হয়। এরপর রবিবার সকালে এক অজানা ব্যক্তির থেকে ফোন আসে ও তিনি নিহতের বিষয়ে তথ্য দেন। এরপর সেই তথ্যের ভিত্তিতেই আয়ুষির মা এবং ভাই-এর সঙ্গে যোগাযোগ করে পুলিশ। তাঁরা দেহ শনাক্ত করেন। এরপর যখন তাঁর দেহ শনাক্ত করতে তাঁর বাবা নীতেশ আসে, তখন তাঁদের প্রশ্ন করা হলে তাঁদের উত্তরে সন্দেহ হলে গ্রেফতার করা হয় তিনজনকেই। এর পরে জেরায় বেরিয়ে আসে আসল ঘটনা। পুলিশ জানিয়েছে, আয়ুশি যাদবের ভাইও এই খুনের বিষয়টি জানতেন। হত্যাকাণ্ডের অস্ত্রও উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানায় পুলিশ (Honour Killing)।
সিনিয়র সুপারিনটেনডেন্ট অফ পুলিশ মার্তন্ড প্রকাশ সিং জানিয়েছেন, আয়ুশির বাবা নীতেশ যাদব ও মা ব্রজবালা যাদবকে গ্রেফতার করে জেলে পাঠানো হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে আইপিসি ধারা ৩০২ এবং ২০১ -এর অধীনে মামলা করা হয়েছে।