সাবধান! দিকে দিকে হিন্দু মহিলাদের টার্গেট করছে জেহাদিরা, ফাঁদে ফেলার ধাপগুলি কী কী -- তা চলে এসেছে প্রকাশ্যে, জানুন বিস্তারিত...
প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জেহাদিদের (Jihadi Tactics Decoded) হাতে হিন্দু জনগোষ্ঠী যখন আক্রান্ত হয় তখন তারা হতবাক হয়ে যায়। ভাবতে থাকে যে কীভাবে এত সংগঠিত আঘাত জেহাদিরা হানতে পারে! আসলে জেহাদী আক্রমণ কোনও প্রতিক্রিয়া স্বরূপ হয় না, বরং তা দীর্ঘদিনের পরিকল্পনারই ফসল। মাসের পর মাস নিখুঁতভাবে এই পরিকল্পনা চলে। তারপরে দক্ষতার সঙ্গেই এটাকে তারা প্রয়োগ করে। তার আগে তারা হিন্দু জনগোষ্ঠীর ইকো-সিস্টেমটাকে ভালোমতো অনুধাবন করে। সেটাকে বিশ্লেষণ করে। এছাড়া সেই ইকো-সিস্টেমে অনুপ্রবেশ করে হিন্দুদের মানসিকভাবে প্রথম থেকেই আঘাত করা, জেহাদি আক্রমণের একটা গুরুত্বপূর্ণ দিক। জেহাদিদের এই আক্রমণ সংঘটিত হয় বেশ কতগুলি ধাপে। ইসলামিক রীতি-নিয়মকে প্রতিষ্ঠা করার জন্য জেহাদীদের এই আক্রমণ হয়ে থাকে। এই আক্রমণের পদ্ধতি জানা আমাদের দরকার।
প্রথমেই জেহাদিরা (Jihadi Tactics Decoded) হিন্দু জনগোষ্ঠীর অঞ্চলগুলিতে প্রবেশ করে আবর্জনা সংগ্রহকারী সেজে। এর মাধ্যমে ওই অঞ্চলের হিন্দু জনগোষ্ঠীর আর্থ-সামাজিক অবস্থা, তাদের গতিবিধি- এই সমস্ত কিছুই নখদর্পণে নিতে থাকে আবর্জনা সংগ্রহকারী বেশে থাকা জেহাদিরা। জেহাদীদের কাছে এটা একটা বড় সুযোগ হয়। তার কারণ, তারা এই ভাবেই প্রথমে হিন্দু জনগোষ্ঠীর একেবারে বাড়িতেও পৌঁছে যেতে পারে। হিন্দুদের সামাজিক সদ্ভাবনার বাস্তব চিত্র, আর্থিক অবস্থা, ওই নির্দিষ্ট অঞ্চলে হিন্দু জনগোষ্ঠীর মধ্যে একতা, এই সবকিছুই অনুধাবন করতে থাকে জেহাদিরা। সেই মতো তথ্য সরবরাহ করতে থাকে তারা। এর পাশাপাশি ওই অঞ্চলে থাকা হিন্দু মহিলাদের গতিবিধিও অনুসরণের কাজ চালাতে থাকে এই আবর্জন সংগ্রহকারীরা।
পরবর্তীকালে জেহাদিদের (Jihadi Tactics Decoded) বেশে হিন্দু অঞ্চলে প্রবেশ করে সুফি ভিখারিরা। নিজেদের গায়ে সবুজ চাদর জড়িয়ে তারা হিন্দু বাড়িতে প্রবেশ করে এবং তাদের (হিন্দু) কোনওরকমের সমস্যা রয়েছে কিনা তা জানার চেষ্টা করে। যদি থাকে তাহলে সেই মতো ঝাড়ফুক করতে থাকে তারা। এতে কী হয় অনেক কুসংস্কারগ্রস্থ হিন্দু ওই সুফিদের কথায় বিশ্বাস করে নেয় এবং নিজেদের সমস্যার কথাগুলি জানাতে থাকে। এই ভাবেই হিন্দুরা জেহাদিদের ফাঁদে পা দেয়।
জেহাদিদের (Jihadi Tactics Decoded) আক্রমণের সব থেকে বড় পদ্ধতি হল লাভ জেহাদ। হিন্দু মহিলাদের তারা সব থেকে বেশি টার্গেট করে। এ নিয়ে বিভিন্ন তথ্য সামনে এসেছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, মৌলবীরা হিন্দু মহিলাদের বর্ণ অনুযায়ী তাদের সেরকম মূল্য নির্ধারণ করে দিচ্ছে। হিন্দু জনগোষ্ঠী অঞ্চলে জেহাদিরা বিভিন্ন ধরনের দোকান খুলতে শুরু করে। যেমন টেলারিং দোকান, বিউটি পার্লার ইত্যাদি। যার ফলে সেগুলিতে হিন্দু মহিলাদের আনাগোনা শুরু হয় এবং সহজেই তারা ফাঁদে পা দিতে থাকে। এভাবেই শুরু হয় লাভ জেহাদ। লাভ জেহাদের এই পদ্ধতি খুবই ধীরগতিতে চলে কিন্তু তার প্রভাব অনেকটা বেশি। লাভ জেহাদের করুণ পরিণতি ইতিমধ্যেই আমাদের সামনে এসেছে একাধিক ঘটনায়। গত বছরে শ্রদ্ধা ওয়ালকরের পরিণতি সকলের জানা। সম্প্রতি কর্নাটকে কংগ্রেস নেতার কন্যাকেও চরম মূল্য দিতে হয় লাভ জেহাদের।
জেহাদের (Jihadi Tactics Decoded) অন্যতম পদ্ধতি হল বেআইনিভাবে জায়গা দখল করে সেখানে দোকান দেওয়া এবং অত্যন্ত কম মূল্যে জিনিসপত্র বিক্রি করা। যাতে হিন্দুদের অর্থনৈতিক ব্যবস্থাকে ভেঙে ফেলা যায়। হিন্দু জনগোষ্ঠী ক্রমশই কম দামে জিনিস নেওয়ার প্রলোভনে পা দিয়ে ওই মুসলিম জেহাদিদের দোকানগুলি থেকে জিনিসপত্র কিনতে শুরু করে, যার ফলে হিন্দু দোকানদাররা মার খায় এবং হিন্দু অর্থনীতি ভেঙে পড়ে ওই অঞ্চলের।
এটাও দেখা গিয়েছে যে হালাল দোকানগুলি থেকে যে অর্থ লাভ হয় সেগুলি সন্ত্রাসে ফান্ডিং-এর কাজে লাগে। হিন্দুরাও হালাল মাংস কেনে এবং পরোক্ষভাবে তাদের টাকায় জেহাদীদের সন্ত্রাসের ফান্ডিং-এর কাজে লাগে। এর পাশাপাশি জেহাদিরা হিন্দু জনগোষ্ঠীর অঞ্চলে বাড়ি তৈরি করে অথবা ভাড়াতে থাকতে শুরু করে হিন্দুদের গতিবিধি লক্ষ্য করার জন্য।
জেহাদিরা হিন্দু ছেলেদের সঙ্গে বন্ধুত্ব করে এবং এর মাধ্যমে তাদের বাড়িতে যাতায়ত শুরু করে। যার করুণ পরিণতি হয় সেই বাড়িতে থাকা হিন্দু নাবালিকারা ওই জেহাদীদের লাভ জেহাদে ফেঁসে যায়। ওই হিন্দু নাবালিকাদের তারা বোঝাতে থাকে ইসলামের উদ্দেশ্য আদর্শ। ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করলে কি কি সুবিধা মিলবে সে বিষয়েও বোঝাতে থাকে জেহাদিরা। এর পাশাপাশি অন্যান্য দিকও দেখা গিয়েছে যে বাড়িতে প্রবেশ করার পরেই ওই হিন্দু নাবালিকার ছবি তুলে ফটোশপের মাধ্যমে তাকে ব্ল্যাকমেলিং করা শুরু হয়। অনেক ক্ষেত্রে এতটা মানসিক নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে হিন্দু মেয়েরা আত্মহত্যা করে।
জেহাদিদের (Jihadi Tactics Decoded) পরের পদক্ষেপ হল তারা ছোটখাটো কবরস্থান তৈরি করতে থাকে হিন্দু অধ্যুষিত এলাকাগুলিতে। সাধারণ মানুষকে তারা বোঝাতে থাকে সেখানে এলে তারা ঠিক কতটা শান্তি পাবে। এভাবে হিন্দুরা সেই সমস্ত স্থান পরিদর্শন করতে থাকে। যখনই তারা বুঝতে পারে যে এই সমাধিস্থল সত্যিই ভালো, তখন তারা মানে জেহাদিরা আরো বড় রকমের অনুষ্ঠান সেখানে চালাতে থাকে। যা ওই হিন্দু জনগোষ্ঠীর অঞ্চলে একটি বড় রকমের সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। সম্প্রতি এরকম একটি ঘটনা সামনে এসেছে ছত্তিশগড়ে। রাজ্যের ১২৫টি ঘর বেআইনিভাবে নেয় মুসলিম জনগোষ্ঠী। এই ঘরগুলি প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনাতে বানানো এবং এর সবগুলিতেই প্রথমে সমাধিস্থল চালু করা হয়। পরবর্তীকালে তা মসজিদে রূপান্তরিত করা হয়। এই মসজিদগুলিতে হিন্দু মেয়েদের ছবি পাওয়া যায়। যে ছবিগুলির উপরে ক্রস চিহ্ন এবং সার্কেল করা ছিল। এরাই হল জেহাদীদের টার্গেট।
যখনই উপরিউক্ত সমস্ত জালে জড়িয়ে পড়ে হিন্দুরা, তখনই জেহাদিরা হিন্দুদেরকে নানাভাবে হেনস্তা করার প্রয়াস চালাতে শুরু করে। হিন্দুদের যেকোনও ধরনের অনুষ্ঠানে রামনবমী হোক, জন্মাষ্টমী হোক অথবা যে কোন শোভাযাত্রাতে পরবর্তীকালে হিংসাত্মক আক্রমণ দেখা যায়। বিগত বছরগুলি সমেত চলতি বছরেও পশ্চিমবঙ্গের একাধিক জায়গায় এ ধরনের ঘটনা সামনে এসেছে। হিন্দুদের শোভাযাত্রার উপর হামলার ঘটনা দেখা গিয়েছে। সম্ভাজিনগরে, গুজরাটের ভদোদরাতে সেই একই ছবি দেখা গিয়েছে। এই হামলার বেশিরভাগটাই সংঘটিত হয়েছে যখন হিন্দুদের ওই শোভাযাত্রা মসজিদকে অতিক্রম করেছে।
এই ধরনের বিভিন্ন জেহাদি (Jihadi Tactics Decoded) কার্যকলাপ যা হিন্দুদের বিরুদ্ধে সংঘটিত হয় তা থেকে হিন্দু জনগোষ্ঠীকে সদা সতর্ক থাকতে হবে এবং কারণ খুঁজে বার করতে হবে। বর্তমানে তারা উপরের বলা কোন স্তরে রয়েছে, এছাড়া জেহাদিরা কীভাবে তাদের ওপরে, তাদের অঞ্চলে রেইকি করে চলেছে এবং সেই মতো ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।