মন্দির-মসজিদ বিতর্কের অবসানে দুই বিচারপতি...
জ্ঞানবাপী মামলার দুই বিচারপতি ছিলেন রামজন্মভূমি-বাবরি শুনানিতেও। ফাইল ছবি
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আশ্চর্য সমাপতন!জ্ঞানবাপী মসজিদ(Gyanvapi mosque) সমীক্ষা সংক্রান্ত মামলার শুনানি করছেন যাঁরা, তাঁরা অংশ নিয়েছিলেন রাম জন্মভূমি-বাবরি মসজিদ মামলার ফয়সালায়ও। দুই মামলার ব্যবধান কয়েক বছরের। অথচ কী অদ্ভুতভাবে দুই ঐতিহাসিক ঘটনার সাক্ষী হতে চলেছেন সুপ্রিম কোর্টের(Supreme court) দুই বিচারপতি।
২০১৯ সালের নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে সুপ্রিম কোর্টে নিষ্পত্তি হয় রাম জন্মভূমি বাবরি মসজিদ মামলার। অযোধ্যার যে জায়গায় এখন রামলালা মন্দির গড়ে উঠছে, এক সময় সেখানেই ছিল বাবরি মসজিদ। হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের দাবি, রামলালার মন্দির ভেঙেই মুঘল আমলে গড়ে তোলা হয়েছে মসজিদ। যদিও বাবরি মসজিদ কমিটির দাবি ছিল, রামলালা নয়, মসজিদ যেখানে রয়েছে, সেখানেই ছিল দীর্ঘকাল। শেষমেশ সুপ্রিম কোর্ট রামলালার মন্দির নির্মাণের পক্ষেই রায়দান করে। বাবরি মসজিদ কমিটিকে সম পরিমাণ জমি দেওয়া হয় অন্যত্র। এভাবেই ইতি পড়ে দীর্ঘ দিন ধরে চলে আসা মামলায়। রাম জন্মভূমি বাবরি মসজিদ মামলায় যুক্ত ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি ধনঞ্জয় ওয়াই চন্দ্রচূড়(Dhananjaya y chandrachud)। ওই মামলায় অংশ নিয়েছিলেন পিএস নরসিমাও(P S Narasimha)। ২০১৯ সালে পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ রায় দেন ওই মামলার। সেই বেঞ্চে ছিলেন চন্দ্রচূড়ও। আর নরসিমা ওই বছর বিচারক ছিলেন না ঠিকই, তবে তিনি ছিলেন সিনিয়র আইনজীবি। ওই মামলার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তিনিও। হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের হয়ে মামলা লড়ছিলেন তিনি। এই মামলায় চন্দ্রচূড়ের যে বেঞ্চ, সেই বেঞ্চের সামনে যুক্তিজাল বিস্তার করেন তিনি। ওই মামলার রায়দানের পরে কেটে গিয়েছে দু’ বছরেরও বেশি সময়। সরযূ নদী দিয়ে গড়িয়ে গিয়েছে অনেক জল। আরও একটি মামলায় যুক্ত হয়েছেন চন্দ্রচূড় ও নরসিমা। এই মামলাও উত্তর প্রদেশের। হিন্দুত্ববাদীদের দাবি, জ্ঞানবাপী মসজিদের জায়গায় এক সময় ছিল কাশী শৃঙ্গার গৌরীর মন্দির। মন্দিরের দেওয়ালে হিন্দু দেবদেবীর মূর্তিও রয়েছে বলে দাবি তাদের। আর জ্ঞানবাপী মসজিদ(Gyanvapi mosque) কমিটির দাবি, মসজিদ রয়েছে দীর্ঘকাল। নমাজও পড়া হয় নিয়মিত।
এই মামলাও উঠেছে সুপ্রিম কোর্টে। এই মামলায়ও জড়িয়ে গিয়েছেন চন্দ্রচূড় এবং নরসিমা। এঁরাই মসজিদ প্রাঙ্গণের ভিডিওগ্রাফির বিরুদ্ধে মসজিদ পরিচালনাকারী আঞ্জুমান ইন্তেজামিয়া মসজিদ কমিটির একটি আবেদন বিবেচনা করেন। এই কমিটিই বারাণসী সিভিল কোর্ট নির্দেশিত সমীক্ষায় স্থগিত চেয়েছে। মন্দির-মসজিদ বিতর্কের(temple mosque controversy) অবসানে ফের কাটো কোটটা গায়ে চড়াবেন এই দুই বিচারপতি!
আরও পড়ুন : ষোড়শ শতকের জ্ঞানবাপী মসজিদ ঘিরে চলা ৩১ বছরের বিতর্ক