ভারতীয় দণ্ডবিধির (IPC) ৪৯৮ এ অধীনে দায়ের করা একটি মামলার শুনানি চলাকালীন আদালত এই পর্যবেক্ষণ জানায়।
বম্বে হাইকোর্ট
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: 'কোনও বিবাহিত মহিলাকে (Married Woman) যদি গৃহস্থালির কাজ (Household Work) বলা মানে, তিনি কাজের লোক (Maid) হয়ে গেলেন না। এটি কোনওভাবে নিষ্ঠুরতাও (Cruelty) নয়।' এমনটাই জানাল বম্বে হাইকোর্ট। একটি মামলায় আজ এই পর্যবেক্ষণ করেছে বম্বে হাইকোর্টের (Bombay High Court) ঔরঙ্গাবাদ বেঞ্চ (Aurangabad Bench)। আদালত জানিয়েছে, যে বিয়ের আগে মহিলাকে উল্লেখ করে দিতে হবে যে তিনি ঘরের কাজ করতে না চাইলে করবেন না।
বিচারপতি বিভা কঙ্কনওয়াড়ি এবং রাজেশ পাতিলের বেঞ্চ বলে, "যদি একজন বিবাহিত মহিলাকে পরিবারের প্রয়োজনে গৃহস্থালির কাজ করতে বলা হয়, তবে তিনি দাসী হয়ে গেলেন এটা ভাবার কোনও কারণ নেই। যদি তাঁর নিজের সংসারের কাজ করার ইচ্ছা না থাকে। তাহলে বিয়ের আগেই মহিলার বলা দেওয়া উচিত যে তিনি ঘরের কাজ করতে পারবেন না। যাতে বর বিয়ের বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করার সুযোগ পান। বা বিষয়টির অন্য কোনও সমাধান খুঁজে বের করতে পারেন।"
ভারতীয় দণ্ডবিধির (IPC) ৪৯৮ এ অধীনে দায়ের করা একটি মামলার শুনানি চলাকালীন আদালত এই পর্যবেক্ষণ জানায়। এক মহিলা স্বামী এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে নিষ্ঠুরতার অভিযোগে মামলা দায়ের করেন। এই ধারা অনুযায়ী, যদি কোনও স্বামী বা স্বামীর আত্মীয় কোনও মহিলাকে নিষ্ঠুরতার শিকার করেন, তবে তাঁদের তিন বছর পর্যন্ত কারাবাস ও জরিমানা হবে। ৪৯৮ ধারা ছাড়াও ওই মহিলা স্বামীর বিরুদ্ধে ৩২৩ (স্বেচ্ছায় আঘাত করা), ৫০৪ (ইচ্ছাকৃত অপমান) এবং ৫০৬ (অপরাধমূলক ভয় দেখানো) ধারার অধীনে মামলা করেছেন।
আরও পড়ুন: এটি আর্থিক তছরুপের সহজ পন্থা, ফের ডিয়ার লটারি নিয়ে সরব শুভেন্দু
শ্বশুর ও স্বামীর বিরুদ্ধে মহারাষ্ট্রের নান্দেড় জেলার ভাগ্যনগর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন মহিলা। তিনি অভিযোগ করেন যে, বিয়ের পর এক মাস তাঁর সঙ্গে ভালো আচরণ করা হয়েছিল। কিন্তু তারপরে শ্বশুরবাড়ির লোক তাঁর সঙ্গে দাসীর মতো আচরণ করতে শুরু করে। মহিলার আরও দাবি, বিয়ের এক মাস পরে শ্বশুরবাড়ির লোকজন এবং স্বামী গাড়ি কেনার জন্য ৪ লক্ষ টাকা দাবি করতে শুরু করেন। তাঁর বাবা সেই টাকা অসামর্থ হলে, এরপর স্বামী তাঁকে মারধর করেন এবং মানসিকভাবে নির্যাতন করেন।
অভিযুক্ত ব্যক্তি এবং তাঁর পরিবার আদালতকে জানিয়েছে যে, মহিলা আগেও বিবাহিত ছিলেন। তাঁর প্রথম স্বামীর বিরুদ্ধেও একই ধরনের অভিযোগ তুলেছিলেন। তাঁদের দাবি, ঘটনায় কোনও সত্যতা নেই। তাই তাঁর প্রথম স্বামীকেও আদালত বেকসুর খালাস দিয়েছে।