যেসব সংখ্যালঘু এবং বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তাঁরা নানা অভিযোগে অভিযুক্ত, জানালেন সলিসিটর জেনারেল
তুষার মেহেতা।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কিছু স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও মানবাধিকার কর্মীর বিরুদ্ধে ভারত সরকার কেন কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছে তা স্পষ্ট করলেন সলিসিটার জেনারেল তুষার মেহতা (Tushar Mehta)। জেনেভায় হিউম্যান রাইটস কাউন্সিলের সভায় বেশ কিছু সদস্য দেশ ভারত সরকারের বিরুদ্ধে অতি সক্রিয়তার অভিযোগ আনে। যদিও সেই অভিযোগ তথ্যভিত্তিক যুক্তির পেরিপ্রেক্ষিতে উড়িয়ে দেন তুষার মেহতা। তিনি বলেন, 'গণতন্ত্রে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা, মানবাধিকার কর্মী, সাংবাদিকদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ও অবদান রয়েছে। কিন্তু কেউ যদি আইন না মানে, অনৈতিক ও দেশদ্রোহী কার্যকলাপ চালায় তাহলে যে কোনও সরকারের কড়া ব্যবস্থা গ্রহণের অধিকার রয়েছে। ভারত সরকার সেই পথেই হেঁটেছে। কারণ যেসব সংখ্যালঘু এবং বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তাঁরা নানা অভিযোগে অভিযুক্ত। কেউ দেশের আইন লঙ্ঘন করেছেন। প্রত্যেকের বিরুদ্ধে যথোপযুক্ত প্রমাণ রয়েছে। তার ভিত্তিতেই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।'
উল্লেখ্য, আয়ারল্যান্ড সহ বেশ কয়েকটি দেশ অভিযোগ করে, ভারতে নাকি মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে। বেছে বেছে সংখ্যালঘু নেতাদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিচ্ছে সরকার। বহু স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনকে ভুয়ো মামলায় ফাঁসানোর মতো অভিযোগ তোলা হয়েছে জেনেভার সভায়। এমনকি ভারতে বাক স্বাধীনতা নেই বলেও দাবি করা হচ্ছে। আরও একদম এগিয়ে, জার্মানির প্রতিনিধি অভিযোগ করেন, ভারতে দলিতরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। ইতালির প্রতিনিধি প্রস্তাব রাখেন, সংখ্যালঘুদের উপর যাতে নির্যাতন অবিলম্বে বন্ধ হয় সে ব্যাপারে দ্রুত ব্যবস্থা নিক ভারত সরকার। ভারতে ধর্মীয় স্বাধীনতা নিয়ে সওয়াল করেন বেলজিয়ামের প্রতিনিধি।
সমস্ত প্রশ্নের উপযুক্ত উত্তর দিয়েছেন সলিসিটার জেনারেল। তিনি বুঝিয়ে দেন, ভারত সরকার সঠিক পদক্ষেপ করেছে। যে কোনও দেশ তার সার্বভৌমত্ব রক্ষা করবে। কেউ যদি পর্দার আড়ালে দেশ বিরোধী কাজ করে তাকে ছেড়ে দেওয়া যায় না। তবে শুধুই যে সমালোচিত হয়েছে ভারত তা নয় অনেকেই মোদি সরকারের প্রশংসাও করেছেন। কোভিডের সময় পাশে থাকার জন্য ভারতকে ধন্যবাদ জানিয়েছে মালদ্বীপ। মোরবি ব্রিজ দুর্ঘটনায় নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান দ্যা মার্শাল আইল্যাণ্ডের প্রতিনিধি।