নিজের প্রেমিকার সঙ্গে সম্পর্ক রাখা নিয়ে নবীনকে হুঁশিয়ারি দেন কৃষ্ণ।
হায়দ্রাবাদ
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রেমিকাকে ফোন ও মেসেজ করতেন প্রেমিকের বন্ধু। আর সেই অপরাধের শাস্তি হিসেবে বন্ধুর মাথা কেটে গোপনাঙ্গ কেটে দিলেন যুবক। বন্ধুর মুণ্ডুচ্ছেদ করেই ক্ষান্ত হয়নি সে, বুক চিরে হৃদপিণ্ডও খুবলে নিয়েছে। এমনকী খুনের সময় তাঁর আঙুল ও যৌনাঙ্গও কেটে নেওয়া হয়। মৃত্যু হয়েছে ওই যুবকের। নিহত যুবকের নাম নবীন। চলতি বছরের ১৭ ফেব্রুয়ারি নবীনকে হত্যা করে হরিহারা কৃষ্ণ। ওই দিন দুই বন্ধু মিলে মদ্যপান করেছিল। মত্ত অবস্থায় কৃষ্ণর প্রেমিকাকে নিয়ে দুজনের মধ্যে ঝামেলা সৃষ্টি হয়। তখনই সে নবীনকে খুন করে। অভিযুক্ত বছর ২২-র হরিহারা কৃষ্ণ আত্মসমর্পণ করেছেন বলে জানা গিয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে হায়দ্রাবাদে (Hyderabad)।
পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, নিহত, অভিযুক্ত ও তাঁর প্রেমিকা তিন জনই একইসঙ্গে কলেজে ভর্তি হয়েছিল। কৃষ্ণ ও নবীন দুজনেই ওই তরুণীর প্রেমে পড়েন। কিন্তু নবীন প্রথমে তাঁকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। ফলে নবীন ও ওই তরুণীর মধ্যে সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। কিন্তু দেড় বছরের মাথায় ভেঙে যায় সেই সম্পর্ক (Hyderabad)। তারপরই কৃষ্ণর সঙ্গে নতুন সম্পর্কে জড়ায় ওই তরুণী। কিন্তু তখনও নবীনের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল তরুণীর। ফোনে কথাবার্তাও হত। তদন্তকারীদের দাবি, এই বিষয়টি মেনে নিতে পারেনি কৃষ্ণ। সেকারণেই গত তিন মাস ধরে নবীনকে খুনের ছক কষছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে ত্রিবেণীর কুম্ভস্নানের প্রসঙ্গ! কী বললেন মোদি
অভিযুক্ত যুবক স্বীকার করেছেন যে, ১৭ তারিখে নবীনকে (Hyderabad) ডেকে পাঠান তিনি। দুই বন্ধু মিলে মদ্যপান করেন। তখনই নিজের প্রেমিকার সঙ্গে সম্পর্ক রাখা নিয়ে নবীনকে হুঁশিয়ারি দেন কৃষ্ণ। এই নিয়ে ঝগড়া শুরু হলে নবীনকে শ্বাসরোধ করে খুন করে সে। খুনের পর কাটারি নিয়ে এসে তাঁর মাথা ধড় থেকে আলাদা করে দেয় কৃষ্ণ। এরপর যৌনাঙ্গ, আঙুল কাটেন। শেষে বুক চিরে বের করে নিয়ে আসে হৃদপিণ্ড। এরপর সেই সব ছবি তুলে প্রেমিকার মোবাইলে পাঠায় সে। পুলিশ জানিয়েছে, ইতিমধ্যে সেই মোবাইল ফোনটি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। অভিযুক্তের প্রেমিকাকেও জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।