রামের জন্য সোনার পাদুকা নিয়ে পায়ে হেঁটে অযোধ্যা পাড়ি হায়দরাবাদের প্রৌঢ়ের....
সোনার পাদুকা হাতে চার্লা শ্রীনিবাস শাস্ত্রী (সংগৃহীত ছবি)
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হায়দরাবাদ থেকে চার্লা শ্রীনিবাস শাস্ত্রী (৬৪) আট হাজার কিলোমিটার তীর্থযাত্রা করে অযোধ্যা পৌঁছাতে চলেছেন দিন কয়েকের মধ্যেই। ১ কোটি ২০ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত রামের পাদুকা নিয়ে তিনি পৌঁছাবেন রামনগরীতে (Ram Mandir)। ওই পাদুকা দুটি রুপোর তৈরি এবং সোনা দিয়ে মোড়া বলে জানা গিয়েছে। এক একটির ওজন ১২ কেজি। এর আগে, রাম জন্মভূমিতে (Ram Mandir) আড়াই কোজি ওজনের পাঁচটি রুপোর ইট প্রদান করেছিলেন শাস্ত্রী। প্রসঙ্গত, ২২ জানুয়ারি রামলালার মূর্তিতে প্রাণ প্রতিষ্ঠা অনুষ্ঠানে হাজির থাকবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তার আগেই অবশ্য অযোধ্যা পৌঁছানোর পরিকল্পনা রয়েছে তাঁর (শাস্ত্রী)।
জানা গিয়েছে, অযোধ্যা-রামেশ্বরমের পথেই হাঁটছেন শ্রীনিবাস শাস্ত্রী। প্রসঙ্গত এটাই হল রামচন্দ্রের বনবাসের পথ। তবে তিনি (শাস্ত্রী) দক্ষিণ থেকে উত্তরে আসছেন, এটাই পার্থক্য। গত বছরের ২০ জুলাই এই তীর্থযাত্রা শুরু করেন শাস্ত্রী। তীর্থপথের মাঝখানে প্রসিদ্ধ স্থান, যেখানে রামচন্দ্র শিবলিঙ্গ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন বলে বিশ্বাস রয়েছে ভক্তদের, সেখানেও গিয়েছেন তিনি। ওড়িশা রাজ্যের পুরী, মহারাষ্ট্রের ত্রিম্বক, গুজরাটের দ্বারকা এই সমস্ত তীর্থভূমি ঘুরে তিনি অযোধ্যার খুব কাছেই চলে এসেছেন। প্রতিদিন ৩৮ কিলোমিটার করে পথ হাঁটছেন।
শাস্ত্রীর সঙ্গে রয়েছে রামের পাদুকা (Ram Mandir) ছাড়াও পঞ্চধাতুর রামের মূর্তি। নিজের মাথায় তিনি তা বয়ে চলেছেন। পঞ্চধাতুর মূর্তি তিনি প্রদান করতে চান উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে। প্রসঙ্গত, তাঁর এই যাত্রার বিষয়ে শাস্ত্রী বলেন, ‘‘আমার বাবাও অযোধ্যাতে করসেবায় অংশগ্রহণ করেছিলেন। তিনি ভগবান হনুমানের ভক্ত ছিলেন। তাঁরও স্বপ্ন ছিল অযোধ্যার ভূমিতে রাম মন্দির দেখে যাওয়া। কিন্তু তিনি বর্তমানে বেঁচে নেই। তাই আমি স্থির করলাম তাঁর স্বপ্নকে পূরণ করার।’’ বর্তমানে তিনি চিত্রকোটে রয়েছেন, যেখান থেকে অযোধ্যা দূরত্ব ২৭২ কিলোমিটার। শাস্ত্রীর সঙ্গে আরও পাঁচজন রয়েছেন, যাঁরা তাঁর সঙ্গে তীর্থযাত্রা করছেন। তবে প্রথমে তাঁর সঙ্গে যাত্রায় সামিল হয়েছিলেন ২০ জন। তাঁরা ফিরে গিয়েছেন। জানা গিয়েছে অযোধ্যাতে স্থায়ীভাবে বসবাস করতে চান শাস্ত্রী এবং সেখানে একটি বাড়িও নির্মাণ করতে চাইছেন তিনি।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।