ফের শহরের রাস্তায় দেখা মিলবে এক সময়ের এই ঐতিহ্যবাহী গাড়ির...
নয়া অবতারে হিন্দুস্তান মোটর্সের আইকনিক কন্টেসা। ফাইল চিত্র
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নয়া অবতারে হিন্দুস্তান মোটর্সের (Hindustan motors) আইকনিক (Iconic) কন্টেসা (Contessa)! পেট্রোল বা ডিজেল নয়, বৈদ্যুতিক গাড়ি হিসেবে পুনরায় আত্মপ্রকাশ করতে চলেছে নষ্টালজিক এই গাড়ি।
এক সময় হুগলি নদীর তীরে হিন্দমোটর রেলস্টেশন এলাকায় বিরাট কারখানা গড়ে তুলেছিল হিন্দুস্তান মোটর্স। কারখানায় কাজ হত দিনরাত। কারখানার সাইরেনে ঘুম ভাঙত গঙ্গাপারের বাসিন্দাদের। সাইরেনের শব্দ শুনেই কাজে যোগ দিতেন শ্রমিকরা। শ্রমিকদের সুবিধার্থে তৈরি হয় আস্ত একটি রেলস্টেশন। কারখানার নামের সঙ্গে সাযুজ্য রেখে স্টেশনের নাম হয় হিন্দমোটর। হিন্দমোটরের এই কারখানা থেকেই তৈরি হত বিখ্যাত গাড়ি অ্যাম্বাসাডর। মজবুত গাড়ি হওয়ায় গাড়িবিলাসীদের কাছে অত্যন্ত পছন্দের গাড়ি ছিল অ্যাম্বাসাডর। তৈরি হত কন্টেসাও। যাঁরা আর্থিকভাবে খানিকটা বেশি স্বচ্ছল, তাঁরাই হাওয়া খেতে বেরতেন কন্টেসা চড়ে।
আরও পড়ুন : লাদাখে নদীতে পড়ল সেনার গাড়ি, মৃত ৭ জওয়ান, শোকপ্রকাশ রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীর
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বদলে যায় মানুষের পছন্দ। অ্যাম্বাসাডরের বদলে বাজারে চলে আসে কম দামে হালকা গাড়ি। কমে যায় অ্যাম্বাসাডরের চাহিদা। বন্ধ হয়ে যায় হুগলি নদীর পারের কারখানা। শোনা যাচ্ছে, এই কারখানাই ফের চালু হবে। এখানেই আবারও তৈরি হবে কন্টেসা। তবে পেট্রোল বা ডিজেল নয়, এবার কন্টেসা ছুটবে বিদ্যুৎ শক্তিতে। জ্বালানির দর ক্রমবর্ধমান। প্রত্যাশিতভাবেই বাড়ছে বৈদ্যুতিক গাড়ির মার্কেট। এই বাজার ধরতেই বৈদ্যুতিক গাড়ি বাজারে আনার ভাবনা কর্তৃপক্ষের।
আরও পড়ুন : নজরে রহস্যময় গাড়ি, কাশীপুরে বিজেপি কর্মীর মৃত্যু-তদন্তে গঠিত ৪ সদস্যের সিট
হিন্দুস্তান মোটর্সের এক কর্তা বলেন, ইউরোপীয় একটি সংস্থার সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছে হিন্দুস্তান মোটর্স। প্রথমে বৈদ্যুতিক টু-হুইলার আনা হবে। পরে আসবে বৈদ্যুতিক চার চাকার গাড়ি। কন্টেসা এলেও, অ্যাম্বাসাডর ফেরার সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ। এই নামে আর গাড়ি আনতে পারবেন না হিন্দুস্তান মোটর্স কারখানা কর্তৃপক্ষ। কারণ ফরাসি গাড়ি সংস্থা পিজোকে ২০১৭ সালে ৮০ কোটি টাকায় এই গাড়ির সত্ত্ব বেচে দেয় হিন্দুস্তান মোটর্স। তাই অ্যাম্বাসাডরের বদলে আটের দশকের প্রিমিয়াম গাড়ি কন্টেসাকেই নবকলেবরে বাজারে এনে ছোট গাড়ির বাজার মাত করতে চাইছেন কর্তৃপক্ষ। তবে গাড়িটি ঠিক কবে বাজারে আসবে, সে ব্যাপারে রা কাড়েননি হিন্দুস্তান মোটর্স কিংবা ইউরোপীয় সংস্থার তরফে কেউই। অতএব, শুরু অপেক্ষার প্রহর গোণা!