img

Follow us on

Sunday, Nov 17, 2024

Ram Mandir: অযোধ্যার পুকুরগুলিতেও আধ্যাত্মিকতার ছোঁয়া, রাম-সীতার মূর্তির চাহিদা তুঙ্গে

সেজে উঠছে অযোধ্যা, মন্দির উদ্বোধনের আগে ঘুরে দেখলেন আমাদের প্রতিনিধি শুভ্র চট্টোপাধ্যায়, আজ অষ্টম এবং শেষ কিস্তি....

img

অযোধ্যার বর্তমান চিত্র (ছবি শুভ্র চট্টোপাধ্যায়)

  2024-01-10 17:19:09

রামনগরী অযোধ্যা-আট

শুভ্র চট্টোপাধ্যায়, অযোধ্যা থেকে ফিরে: জোরকদমে চলছে রাম মন্দিরের (Ram Mandir) উদ্বোধনের প্রস্তুতি। তাই সরাসরি কোনও ট্রেনই ঢুকছিল না অযোধ্যায়। ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে বারাণসীতে নেমে সড়ক পথেই অযোধ্যায় রওনা দিয়েছিলাম আমরা। উদ্দেশ্য রাম জন্মভূমি তীর্থ ক্ষেত্র ট্রাস্টের সাংবাদিক বৈঠক। প্রায় ৪ ঘণ্টা চলার পরে গাড়ি ঢুকল অযোধ্যার শহরতলিতে। তখন থেকেই চোখে পড়তে থাকল স্বাগত জানানোর প্ল্যাকার্ড। পদ্মফুলের ওপরে জোড়হাতের প্রতীক। শহরে প্রবেশের আগেই একাধিক পুলিশের ব্যারিকেড জানান দিল নিরাপত্তার আঁটোসাঁটো ব্যবস্থা। শহরে প্রবেশ করতেই বাঁদিকে বড় পুকুর। তার চারপাশে তৈরি হয়েছে মন্দিরের মতো ধাঁচা। পুকুরের পাড় ইঁট দিয়ে সুন্দরভাবে বাঁধানো রয়েছে। তার ওপর প্লাস্টার। প্লাস্টারের ওপর রংবেরঙের চোখ ধাঁধানো কারুকার্য।

জলাশয়ের মধ্যেও আধ্যাত্মিকতার পরিবেশ

মনে পড়ল অযোধ্যা (Ram Mandir) আগামী দিনে হতে চলেছে ভারতের আধ্যাত্মিকতার গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র। দেশ-বিদেশ থেকে ভক্তরা পা রাখবেন রামনগরীতে। তাই জলাশয়গুলিতেও আধ্যাত্মিকতার পরিবেশ ফুটিয়ে তোলা হচ্ছে। জনা তিরিশেক শ্রমিক কাজ করছেন। শ্রমিকদের নিরাপত্তার কথা গুরুত্ব দিয়ে ভাবে যোগী আদিত্যনাথ সরকার। তাই পুকুর বাঁধানোর মতো কাজেও শ্রমিকরা মাথায় হলুদ হেলমেট পরেছেন। এমন চিত্র পশ্চিমবঙ্গে দেখা যায় না বললেই চলে। শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলেই জানা গেল, জলাশয়ের নামকরণ করা হয়েছে দিব্য কুণ্ডু। পুকুরের সৌন্দর্যায়নের কাজ বিগত ১ বছর ধরেই চলছে বলে জানালেন শ্রমিকরা। দিব্য কুণ্ডু ছাড়িয়ে গাড়ি ছুটতে থাকল। ফের পুলিশের ব্যারিকেড। গাড়ির গতি কমে এল জ্যামের কারণে। নজরে পড়ল রাস্তার ডানদিকে দেবদেবীর মূর্তি নির্মাণের কাজ চলছে।

কী বললেন অযোধ্যার মূর্তি নির্মাণকারী সঞ্জয় শর্মা?

হনুমান, দুর্গা, রাম-সীতা-লক্ষণ প্রভৃতি দেবদেবীর বিভিন্ন আকারের মূর্তি নিয়ে বসে রয়েছেন বছর পঞ্চাশের এক প্রৌঢ়। ভিড় রাস্তায় গাড়ি থেকে নামার উপায় ছিল না। অগত্যা গাড়িতে থেকেই ইশারা করে ডাকা হল তাঁকে। সাংবাদিক পরিচয় দিলাম। ভদ্রলোক জানালেন, নাম সঞ্জয় শর্মা। ভিড় কমতেই গাড়িকে তাঁর দোকানের সামনে দাঁড় করালাম। মূর্তি কেমন বিক্রি হচ্ছে? প্রশ্ন শুনতেই সঞ্জয়বাবুর উত্তর, ‘‘এখন যেমন অযোধ্যা দেখছেন, কয়েক বছর আগেও এখানে এমন চিত্র ছিল না। বর্তমানে ভিড় লেগেই থাকে। রাম-সীতা (Ram Mandir) ছাড়াও অন্যান্য দেবদেবীর মূর্তিরও চাহিদা ভালোই রয়েছে।’’ ভারতবর্ষের আধ্যাত্মিকতার রাজধানী বলা হয় বারাণসীকে। পৃথিবীর প্রাচীনতম শহরেরও স্বীকৃতি মিলেছে বারাণসীর। তবে আগামী দিনে অযোধ্যাকে কেন্দ্র করেই যে আধ্যাত্মিক ভারতের পরিবেশ নির্মাণ হতে চলেছে, অযোধ্যায় পা রাখতেই তা উপলব্ধি করা গেল। রাস্তার নামও রামপথ, সরযূ নদীও বয়ে চলেছে রামায়ণের ঐতিহ্যকে নিয়ে, পুকুরের নামও দিব্যকুণ্ডু। স্বাধীনতা দিবসের দিন যেমন প্রতিটি বাড়ির ছাদে জাতীয় পতাকা দেখা যায়, তেমনি পতপত করে অযোধ্যার বাড়ির ছাদগুলিতে উড়ছে জয় শ্রীরাম লেখা পতাকা। নজর কাড়ল দোকানের ওয়াল পেন্টিংগুলিও। সেখানেও তীরধনুক নিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছেন প্রভু রামচন্দ্র। এয়ারপোর্টের নামও মহর্ষি বাল্মিকীর নামে। সব মিলিয়ে অযোধ্যার অলিখিত নাম রামনগরী (Ram Mandir) যেন সার্থক হয়ে উঠেছে। (শেষ)

 

দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

Tags:

Madhyom

bangla news

Ayodhya

Ram Mandir

ram nagari


আরও খবর


খবরের মুভি


ছবিতে খবর