মণিপুরের মইরাং- এ আইএনএ মেমোরিয়ালে নেতাজির মূর্তিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান দত্তাত্রেয় হোসবালে।
দত্তাত্রেয় হোসবালে
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বোসের ১২৬তম জন্মদিনে মণিপুরে পরাক্রম দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দেন আরএসএসের সরকার্যবাহ দত্তাত্রেয় হোসবালে (Dattatreya Hosabale)। এই মুহূর্তে চার দিনের মণিপুর সফরে রয়েছেন তিনি। নেতাজিকে শ্রদ্ধা জানিয়ে দত্তাত্রেয় হোসবালে বলেন, "মইরাং- এ ভারতীয় সেনার এই মেমোরিয়াল আধুনিক ভারতের কাছে তীর্থস্থান।"
এদিন দত্তাত্রেয় (Dattatreya Hosabale) আরও বলেন, "ভারতমাতার সর্বশ্রেষ্ঠ পুত্র নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর জন্মবার্ষিকীতে তাঁকে আমার বিনম্র শ্রদ্ধা ও শ্রদ্ধাঞ্জলি। তাঁর অদম্য চেতনা এবং অবিস্মরণীয় কাজগুলি সমস্ত ভারতীয়দের জন্য চিরকালই অনুপ্রেরণাদায়ক হয়ে থাকবে।"
গোটা দেশজুড়ে পরাক্রম দিবস পালন করছে আরএসএস (Dattatreya Hosabale)। এদিন মণিপুরের মইরাং- এ আইএনএ মেমোরিয়ালে নেতাজির মূর্তিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান দত্তাত্রেয় হোসবালে। তিনি আরও বলেন, "ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে আইএনএ-এর মহান আত্মত্যাগ এবং যুদ্ধের কারণেই কোটি কোটি ভারতীয় ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের বিরুদ্ধে তাদের আওয়াজ তুলতে এবং স্বাধীনতা সংগ্রামে উত্সাহিত হয়েছিল। মুম্বাইয়ের নৌবাহিনীর বিদ্রোহ আইএনএর আন্দোলন এবং কয়েক হাজার পুরুষ ও মহিলার আত্মত্যাগের কথা আমরা ভুলতে পারি না।"
মণিপুরের বিষ্ণুপুর জেলার একটি ছোট শহর মইরাং (Dattatreya Hosabale)। ইম্ফল থেকে প্রায় ৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত। ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে মইরাং-এর গুরুত্ব অপরিসীম। সুভাষচন্দ্র বসুর আজাদ হিন্দ বাহিনী ব্রিটিশ বাহিনীকে এই মইরাং- এই পরাজিত করে ভারতে প্রবেশ করেছিল। ১৯৪৪-এর ১৪ এপ্রিল এই মইরাং-এ নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর নেতৃত্বে প্রথমবার ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল আর্মি ভারতের তিরঙ্গা পতাকা উত্তোলন করে।
আরও পড়ুন: নেতাজিই আদর্শ! তাঁর দেখানো পথেই এগিয়ে চলার বার্তা দিলেন আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত
এখানেই গড়ে উঠেছে একটি ওয়ার মিউজিয়াম। আগেও এখানে একটি স্মৃতিসৌধ ছিল, কিন্তু রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে (Dattatreya Hosabale) তা ধুঁকতে বসেছিল। এমনকী এখানে নেতাজির যে মূর্তিটি ছিল, কয়েক বছর আগে দুষ্কৃতীরা তা ভাঙচুর করেছিল। সম্প্রতি ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল আর্মির ওয়ার মিউজিয়ামের কাজ শেষ হয়েছে মণিপুরে। ভারতের উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যের বিষ্ণুপুর জেলার মইরাং-এ এই ‘ওয়ার মেমোরিয়াল’ তৈরি করা হয়েছে। তাছাড়াও এখানে স্থাপন করা হয়েছে উত্তর-পূর্বের সবচেয়ে উঁচু পতাকাও।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।