হিন্দু, শিখদের সম্পত্তি ফেরানোর সিদ্ধান্ত তালিবান সরকারের, কী বলল ভারত?...
তালিবান রাজ! প্রতীকী ছবি।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আফগানিস্তানে হিন্দু ও শিখদের সম্পত্তির অধিকার প্রতিষ্ঠিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সে দেশের তালিবান সরকার। আফগানিস্তানের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে ভারত (India Afghanistan Relations)। শুক্রবার এনিয়ে মতামত ব্যক্ত করেছেন বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল। সিরিয়ায় ইরানের দূতাবাসে ইজরায়েলের হামলায় ভারত যে উদ্বিগ্ন, তাও এদিন জানিয়েছেন তিনি।
আফগান হিন্দু ও আফগান শিখদের সম্পত্তি ফেরাতে কমিশন গঠন করেছে তালিবান সরকার। সরকার ও তালিবানদের সংঘাতের জেরে যখন অশান্ত হয়ে উঠেছিল কাবুল, তখনই বেহাত হয় আফগান হিন্দু ও আফগান শিখদের সম্পত্তি। তালিবান সরকারের এই সিদ্ধান্তকেই স্বাগত জানিয়েছে ভারত (India Afghanistan Relations)। শুক্রবার বিদেশমন্ত্রকের তরফে রণধীর বলেন, “আমরা এই বিষয়ে রিপোর্ট দেখেছি। যদি তালিবান প্রশাসন তাদের আফগান হিন্দু ও শিখ সম্প্রদায়ের নাগরিকদের সম্পত্তির অধিকার পুনরুদ্ধার করার সিদ্ধান্ত নেয়, তাহলে আমরা একে ইতিবাচক অগ্রগতি হিসেবেই দেখছি।”
আফগানিস্তানের বিচার মন্ত্রকের সিদ্ধান্তের পরে সেখানকার শিখ নেতা নরেন্দ্র সিং খালসা কাবুলে ফিরে আসেন। তখনই তাঁকে এবং সংখ্যালঘু ধর্মীয় সম্প্রদায়ের অন্য সদস্যদের তাঁদের সম্পত্তির অধিকার সুরক্ষিত করা হবে বলে আশ্বাস দেওয়া হয় তালিবান সরকারের তরফে। এজন্য গঠন করা হয়েছে কমিশনও। তালিবান সরকারের এহেন উদ্যোগকেই স্বাগত জানিয়েছে ভারত।
গত চার দশকে আফগানিস্তানের অস্থির রাজনৈতিক পটভূমিতে কেবল হিন্দু এবং শিখদের সম্পত্তিই দখল করা হয়নি, অনেক আফগান, যাঁদের সেভাবে প্রভাব ছিল না, তাঁরাও এঁটে উঠতে পারেননি প্রভাবশালীদের সঙ্গে। সমর্পণ করতে হয়েছিল সম্পত্তি। প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের অগাস্ট মাসে তালিবান কাবুলের ক্ষমতা দখলের পর ভারত-আফগান সম্পর্ক গিয়ে ঠেকে তলানিতে। এখনও পর্যন্ত আফগানিস্তানের তালিবান সরকারকে স্বীকৃতি দেয়নি ভারত। সম্প্রতি ভারতে দূতাবাসও বন্ধ করে দিয়েছে আফগানিস্তান। তবে দীর্ঘকাল আফগানিস্তানের নানা উন্নয়ন প্রকল্পে সাহায্য করেছিল ভারত। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, সেই ঋণ শোধ করতেই আফগানিস্তানের তালিবান সরকারের নয়া উদ্যোগ (India Afghanistan Relations)।
এদিকে, ইরান-ইজরায়েলের দ্বন্দ্বের জেরে এশিয়ার আকাশে ক্রমেই ঘনাচ্ছে যুদ্ধের মেঘ। এ প্রসঙ্গে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে রণধীর বলেন, “১ এপ্রিল সিরিয়ায় ইরানের দূতাবাসে হামলা নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন। পশ্চিম এশিয়ায় এই অশান্তি নিয়েও আমরা উদ্বিগ্ন। এর জেরে আরও হিংসার উদ্রেক হতে পারে। নষ্ট হতে পারে স্থিতিশীলতা (India Afghanistan Relations)।”
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।