Canadian diplomats: কানাডার সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক আপাতত ছিন্ন, ৬ কূটনীতিককে ভারত ছাড়ার সময়সীমা বেঁধে দিল মোদি সরকার...
কানাডা সরকারের আচরণে ক্ষুব্ধ দিল্লি। ফাইল ছবি
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্ত্রাস দমনে কানাডাকে কড়া বার্তা দিল ভারত সরকার। কানাডার (India-Canada Relation) রাজধানী ওট্টাওয়ায় থাকা শীর্ষ দূতকে ডেকে নেওয়ার পাশাপাশি কানাডার ছয় কূটনীতিককে দেশ থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দিল নয়াদিল্লি। তাঁদের শনিবার (১৯ অক্টোবর) ১১টা ৫৯ মিনিটের মধ্যে ভারত ছাড়তে হবে বলে বিদেশ মন্ত্রকের তরফে এক বিবৃতিতে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
খলিস্তানি সন্ত্রাসবাদী হরদীপ সিং নিজ্জর হত্যায় কানাডায় (India-Canada Relation) অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাসের কূটনীতিকদের নামে কানাডা সরকার অভিযোগ তোলার পরই কূটনীতিকদের নিরাপত্তা নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করে নয়াদিল্লি। প্রাথমিকভাবে, ভারতীয় হাইকমিশনার সঞ্জয় কুমার ভার্মা ও কানাডায় থাকা অন্যান্য কূটনীতিকদের দেশে ফিরিয়ে নেওয়ার কথা জানিয়ে দেয় মোদি সরকার। সোমবার ভারতে অবস্থিত কানাডা দূতবাসের কার্যনির্বাহী হাইকমিশনার স্টুয়ার্ট রস হুইলারকে ডেকে পাঠায় বিদেশমন্ত্রক। তাঁকে বার্তা দেওয়া হয়, কানাডায় ভারতীয় হাইকমিশনার ও দূতাবাসের অন্য কর্মীদের যেভাবে টার্গেট করা হয়েছে, তা গ্রহণযোগ্য নয়। তাঁদের নিরাপত্তা নিয়ে কানাডা সরকারের আশ্বাসে নয়াদিল্লি বিশ্বাস রাখতে পারছে না।
The Government of India has decided to expel 6 Canadian diplomats. They are to leave India by or before 11:59 PM on Saturday, October 19, 2024. MEA issues a press statement -
— ANI (@ANI) October 14, 2024
1. Stewart Ross Wheeler, Acting High Commissioner
2. Patrick Hebert, Deputy High Commissioner
3.… pic.twitter.com/PPO3aIk8pU
এর কিছু পরেই, আরও কড়া পদক্ষেপেরে কথা ঘোষণা করা হয়। দিল্লিতে অবস্থিত কানাডা (India-Canada Relation) দূতাবাসের অ্যাক্টিং হাইকমিশনার, ডেপুটি হাইকমিশনার, ফার্স্ট সেক্রেটারি-সহ মোট ৬ কূটনীতিককে দেশে ফিরে যেতে বলে দিল্লি। চলতি সপ্তাহের শেষের মধ্যে তাঁদের ভারত ছাড়তে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে ট্রুডো সরকারের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক আপাতত ছিন্ন করার সিদ্ধান্তও ঘোষণা করা হয়। প্রসঙ্গত, গত বছরের ২৩ জুন খলিস্তানি সন্ত্রাসবাদী হরদীপ সিং নিজ্জর কানাডায় খুন হন। তারপরই গত বছরের সেপ্টেম্বরে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো অভিযোগ করেন, নিজ্জর খুনে জড়িত থাকতে পারেন ভারতীয় এজেন্ট। তাঁর এই মন্তব্যে তীব্র প্রতিবাদ জানায় নয়াদিল্লি। দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কে চিড় ধরার শুরু তখনই।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।