চিনা ফৌজের নির্মীয়মাণ সেতুর ছবি আগেই সামনে এসেছিল। এর পাশ দিয়েই তৈরি হয়েছে আরও একটি সেতু।
ভারত-চিন সীমান্তে চলছে নির্মাণ কাজ।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্যাংগং হ্রদের কাছে একটি সামরিক ঘাঁটি নির্মাণ করেছে চিন। উপগ্রহ চিত্রে এই ছবি ধরা পড়েছে বলে সেনা সূত্রে খবর। ছবিতে দেখা যাচ্ছে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা থেকে মাত্র ৬ কিলোমিটার দূরে এই সেনা ঘাঁটি রয়েছে। দেখা যাচ্ছে, সেখানে রয়েছে সাঁজোয়া গাড়ি, সামরিক যান রাখার জায়গা, বিভিন্ন আধুনিক অস্ত্র।
প্যাংগং হ্রদের উত্তর এবং দক্ষিণ তীরের একাংশকে জুড়ে চিনা ফৌজের নির্মীয়মাণ সেতুর ছবি আগেই সামনে এসেছিল। এর পাশ দিয়েই তৈরি হয়েছে আরও একটি সেতু। সামরিক বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, লাদাখে জবরদখল করা জমিতে ওই সেতু বানাতে পারলে প্যাংগং হ্রদের উত্তর এবং দক্ষিণপ্রাপ্তে কৌশলগত ভাবে সুবিধাজনক অবস্থানে চলে যাবে চিনা সেনা। লাদাখের দুর্গম এলাকায় সেতু নির্মাণের উদ্দেশ্যে ভারী ক্রেন-সহ নানা সরঞ্জাম মজুত করেছে চিনা পিপলস লিবারেশন আর্মি। প্যাংগং হ্রদের উত্তরপ্রান্তে চিনা সেনার একটি হাসপাতালের অদূরে তৈরি সেতুটি জুড়েছে দক্ষিণ তীরের একটি অংশকে। দক্ষিণ তীরের ওই অংশেই ২০২০-২১ সালে মুখোমুখি অবস্থানে ছিল ভারতীয় এবং চিনা সেনা। ভবিষ্যতে ফের এমন পরিস্থিতি তৈরি হলে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলএসি) লাগোয়া বিস্তীর্ণ অংশে ওই সেতুর মাধ্যমে দ্রুত সেনা, অস্ত্র এবং রসদ পাঠাতে পারবে পিএলএ। কারণ, সেতু তৈরি হয়ে গেলে প্যাংগংয়ের ওই দুই প্রান্তে চিনা সেনাশিবিরের দূরত্ব ২০০ কিলোমিটার থেকে কমে দাঁড়াবে ৫০ কিলোমিটার।
গালওয়ান সংঘর্ষের পরে বারবার সীমান্তে শান্তি বজায় রাখার দাবি করেছে চিন। কিন্তু সেই কথা বাস্তবায়িত হয়নি। সম্প্রতি মার্কিন সংসদে একটি রিপোর্ট পেশ করেছে পেন্টাগন। সেখানে বলা হয়েছে, “ভারতের সঙ্গে সীমান্ত এলাকায় বিবাদ কমাতে উদ্যোগ দেখাত চিন। কারণ ভারতের সঙ্গে আমেরিকার সম্পর্কে ধারাবাহিকভাবে উন্নতি হয়েছিল। সেই বিষয়টি পছন্দ হয়নি জিনপিংয়ের। সেই জন্য বারবার মার্কিন আধিকারিকদের বলা হয়েছিল, ভারতের সঙ্গে চিনের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে তাঁরা যেন হস্তক্ষেপ না করেন। সেই সঙ্গে বলা হয়েছিল, সীমান্ত সমস্যা মিটিয়ে নিতে খুবই আগ্রহী বেজিং।” আদতে বেজিং সীমান্ত সমস্যা মেটাতে কতটা আগ্রহী তা নিয়ে সন্দিহান দিল্লিও। সেই জন্য প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছে চিনের গতিবিধির উপর নজর রাখছে দিল্লি।