কোন যুক্তিতে তিনি এমন কথা বললেন, জেনে নিন...
রঘুরাম রাজন
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনি রিজার্ভ ব্যাঙ্কের (Reserve Bank Of India) প্রাক্তন গভর্নর (Former Governor)। একাধিক বার তিনি মোদি সরকারের (Modi Government) বিভিন্ন সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছেন। তবে এবার তাঁর মুখেই প্রশংসা। প্রশংসা আরবিআইয়ের (RBI)। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের প্রাক্তন গভর্নর রঘুরাম রাজনের মতে, ভারতের পরিস্থিতি কখনও শ্রীলঙ্কা (Srilanka) বা পাকিস্তানের (Pakistan) মতো হবে না। তাঁর এই মন্তব্যের পর বিজেপি জানিয়েছে, দেশ যে সঠিক দিশায় এগোচ্ছে, একজন সমালোচকের মুখে এহেন মন্তব্যের পর তা স্পষ্ট। দেশের আর্থিক বুনিয়াদ যথেষ্ট মজবুত, দেশ দ্রুত উন্নয়নের লক্ষ্যে এগোচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিজেপি মুখপাত্র সৈয়দ জাফর ইসলাম। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের প্রাক্তন গভর্নর রঘুরাম রাজন (Raghuram Rajan) শনিবার বলেছেন যে, ভারতে কখনও শ্রীলঙ্কা-পাকিস্তানের মত অবস্থা হবে না। তবে হঠাৎ তিনি এই কথা কেন বললেন? কোন যুক্তিতে তিনি এমন কথা বললেন তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন: আগামী মাসে ১৮ দিন বন্ধ থাকবে ব্যাঙ্ক! দেখে নিন ছুটির তালিকা
তিনি জানান, ভারতে পর্যাপ্ত পরিমাণে বৈদেশিক মুদ্রার ভান্ডার রয়েছে। তাই কখনোই শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তানের মতো অর্থনৈতিক সমস্যার সম্মুখীন হবে না ভারত। এছাড়ও তিনি এদিন সংবাদমাধ্যমে জানান, "আমাদের পর্যাপ্ত বৈদেশিক মুদ্রার সঞ্চয় রয়েছে। সঞ্চয় বাড়াতে আরবিআই একটি ভাল কাজ করেছে। শ্রীলঙ্কা এবং পাকিস্তানের মতো আমাদের আর্থিক সমস্যা নেই। আমাদের বিদেশি ঋণও কম।“ তিনি দাবি করেছেন যে বর্তমানে বিশ্বজুড়ে মুদ্রাস্ফীতি (inflation) রয়েছে। তাই আরবিআই সুদের হার বাড়াচ্ছে, যা মুদ্রাস্ফীতি কমাতে সাহায্য করবে। সবচেয়ে বেশি মূল্যস্ফীতি হয় খাদ্য ও জ্বালানিতে। যেহেতু সারা বিশ্বে খাদ্যে মূল্যস্ফীতি ধীরে ধীরে কমছে, ফলে ভারতেও মূল্যস্ফীতি কমবে বলে তিনি জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: ঘুরে দাঁড়াচ্ছে ভারতীয় অর্থনীতি
২২ জুলাই আরবিআইয়ের সর্বশেষ তথ্য অনুসারে, শেষ সপ্তাহে ভারতের বৈদেশিক মুদ্রার পরিমাণ প্রায় ৪৫ লক্ষ ২ হাজার ৬৫০ কোটি এবং বৈদেশিক ঋণের পরিমাণও কমতে শুরু করেছে। রঘুরাম রাজনের মতে কম বৈদেশিক ঋণ ও বৈদেশিক মুদ্রার পর্যাপ্ত পরিমাণ ভারতীয় অর্থনীতিকে আরও ভালো পর্যায়ে নিয়ে যাবে। শ্রীলঙ্কা এবং পাকিস্তানের (Pakistan) মতো দেশগুলি খুব কম বৈদেশিক মুদ্রার পরিমাণ ও বৈদেশিক ঋণ বৃদ্ধির কারণেই আর্থিক সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে। ফলে সেই জায়গা থেকে ভারতকে কখনও আর্থিক সমস্যার মুখোমুখি হতে হবে না। এছাড়াও তিনি দৃঢ়বিশ্বাসী যে, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার দ্বারা নীতিগত হার বৃদ্ধি মূল মুদ্রাস্ফীতি কমাতে সাহায্য করবে।