Kabul: সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, কার্তে পারওয়ান গুরুদ্বারে যখন হামলা চলে, তখন সেখানে উপস্থিত ছিলেন ৩০ জন।
কাবুল বিস্ফোরণ
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আফগানিস্তানের (Afghanistan) মসনদে তালিবানরা (Talibs) আসার পর থেকেই সেদেশে সংখ্যালঘু সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। তালিবানরা শাসনে আসতেই আফগানিস্তানে বিভিন্ন নাশকতার ঘটনা ঘটছে। শনিবারও সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটল। বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে কাবুল। কাবুলের সাহিবজি গুরুদ্বারায় (Kabul Blast) পর পর দুবার বিস্ফোরণ হয়। বিস্ফোরণে দুজনের মৃত্যু হয়। মৃতদের মধ্যে একজন শিখ। ঘটনার দায় স্বীকার করে নিয়েছে জঙ্গিগোষ্ঠী আইএস (ISIS)। হজরত মহম্মদকে (Prophet Row) নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্যের 'বদলা' নিতেই এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে বলেও জানিয়েছে তারা।
এবার আফগানিস্তানের শিখদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করল ভারত সরকার। মোট ১০০ জন আফগান শিখ এবং হিন্দুদের জরুরি ভিত্তিতে ই-ভিসা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে নয়া দিল্লি।
আরও পড়ুন: নারীশক্তি! তালিবানের সঙ্গে আলোচনায় ভারতের মহিলা প্রতিনিধি
কাবুলের হামলার তীব্র নিন্দা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi)। একটি ট্যুইট বার্তায় তিনি লেখেন, , “কাবুলের কার্তে পারওয়ান গুরুদ্বারে যে কাপুরুষের মতো সন্ত্রাসবাদী হামলা চালানো হয়েছে, তাতে আমি হতবাক। এই বর্বরোচিত হামলার তীব্র নিন্দা জানাই।”
ট্যুইট করে ঘটনাটির তীব্র নিন্দা করেছেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করও (S Jayshankar)। ট্যুইটে তিনি লেখেন, "এখন আমাদের সবার আগে সেখানকার মানুষের নিরাপত্তার দিকে খেয়াল রাখতে হবে। আমরা বিষয়টিতে নজর রাখচি," ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ভারতের বিদেশমন্ত্রকের (MEA) মুখপাত্র অরিন্দম বাগচীও (Arindam Bagchi)।
The cowardly attack on Gurudwara Karte Parwan should be condemned in the strongest terms by all.
— Dr. S. Jaishankar (@DrSJaishankar) June 18, 2022
We have been closely monitoring developments since the news of the attack was received. Our first and foremost concern is for the welfare of the community. https://t.co/ocfuY0RBhN
">
আরও পড়ুন: তালিবান শাসিত আফগানিস্তানে প্রথম সরকারি সফর ভারতের, গলছে বরফ?
সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, কার্তে পারওয়ান গুরুদ্বারে যখন হামলা চলে, তখন সেখানে উপস্থিত ছিলেন ৩০ জন। তালিবান সরকার সূত্রের খবর, হামলাকারীরা একটি বারুদ বোঝাই গাড়ি নিয়ে গুরুদ্বারের সামনে বিস্ফোরণ ঘটায়। ঘটনায় কারও মৃত্যু হয়েছে তা মানতে নারাজ তালিবান সরকার। এর আগে ১১ জুনও কাবুলে একটি বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। তখনও বেশ কয়েকজনের আহত হওয়ার খবর সামনে আসে।