Tunnels: এই সড়ক-সুরঙ্গ চলতি বছরের জুন মাসের মধ্যেই উদ্বোধন করা হবে।
মিসাইল মজুত রাখা যায় এমন টানেল
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের নিরাপত্তা আরও জোরদার করার লক্ষ্যে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিচ্ছে ভারত। সূত্রের খবর অনুযায়ী, ভারতে এমন এক সুড়ঙ্গ তৈরি করা হচ্ছে, যেখানে মজুত রাখা যাবে মিসাইল, গোলাবারুদ। এটি বালিপাড়া-চারদুয়ার-তাওয়াংয়ের সেলা ও নপিচু সুড়ঙ্গ। ভবিষ্যতে কোনও যুদ্ধের সম্মুখীন হলে তখন এই সুড়ঙ্গই ঢাল হয়ে দাঁড়াবে বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ এই সুড়ঙ্গেই মজুত রাখা হবে গোলাবারুদ, ক্ষেপণাস্ত্র। সূত্রের খবর অনুযায়ী, এটি চলতি বছরের জুন মাসের মধ্যেই উদ্বোধন করা হবে।
অরুণাচল প্রদেশ রাজ্যের তাওয়াং সীমান্তে চিনা সেনাদের আগ্রাসনের পর থেকেই ভারতে সীমান্তবর্তী এলাকায় নিরাপত্তা আরও বেশি জোরদার করা হচ্ছে। এতে দেশের উন্নয়নের পাশাপাশি যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতিও নিয়ে রাখা হচ্ছে বলে মনে করছে সামরিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ। যুদ্ধ পরিস্থিতিতে দ্রুত ব্যবহারের জন্য প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা (এলএসি)-র কাছে নির্মীয়মাণ সড়ক-সুড়ঙ্গগুলিকে ক্ষেপণাস্ত্র এবং গোলাবারুদ মজুত করার কাজে ব্যবহারের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: শুভেন্দুর বিরুদ্ধে মিথ্যা বয়ান দিতে বলেছিল পুলিশ! বিস্ফোরক অভিযোগ রামচন্দ্র পান্ডার
প্রসঙ্গত, চিন নির্মাণ করে চলেছে একটি কঠোরতম আন্ডারগরাউন্ড শেল্টার। লাসার কাছে গোঙ্গার এয়ারবেসের নিকট চিন এমন একটি আশ্রয়স্থল তৈরি করে ফেলেছে, যেটি বম্ব-রোধক। শুধু তাই নয়, এটি ছাড়াও অরুণাচলে স্থিত নিমচি এয়ারপোর্টের কাছেও এমন একটি বেস তারা বানিয়ে ফেলেছে। আর এর পরেই ভারতও পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছে। যেখানে শর্ট রেঞ্জ ট্যাকটিক্যাল মিসাইল সমেত বিভিন্ন অস্ত্র মজুত রাখা যায়, তেমন একটি সড়ক-সুড়ঙ্গ তৈরির পরিকল্পনায় রয়েছে ভারত। আর তা সীমান্তের রাজ্যগুলিতেই তৈরি করতে চাইছে ভারত। সূত্রের খবর অনুযায়ী, ‘বহুমুখী টানেল’ গড়ার এই পরিকল্পনা রূপায়ণের দায়িত্বে থাকবে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের নিয়ন্ত্রণাধীন সংস্থা বর্ডার রোডস অর্গানাইজেশন (বিআরও)।
প্রসঙ্গত, ভারতের সঙ্গে চিনের ৩৪৮৮ কিলোমিটারের লাইন অফ অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোলের ওপারে অরুণাচল সীমান্তে চিন তাদের বাড়তি ট্রুপ কমিয়ে ফেলেছে। ফলে তারা যে অস্ত্রযুদ্ধের জন্যই প্রস্তুতি নিচ্ছে, তা স্পষ্ট। তবে শিলিগুড়ি করিডরের কাছে চিনের সীমান্তের ওপারে ফারি জোংয়ে বাড়তি সেনা বসিয়েছে পিএলএ। এই পরিস্থিতিতে ভারতও নিজের সীমান্তবর্তী এলাকায় পরিকাঠামো মজবুতির প্রক্রিয়া জোরকদমে চালাচ্ছে। পাশাপাশি, ইতিমধ্যেই ভারতীয় কমান্ডারদের স্পট সিদ্ধান্ত নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।