Al-Qaeda: আল-কায়েদার সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে অসমে গ্রেফতার যুবক
অসমে ধৃত যুবক (সংগৃহীত ছবি)
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অসমের (Assam) হাইলাকান্দি থেকে এক যুবককে আল-কায়েদার সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে। সরকার পরিবর্তনের জন্য বাংলাদেশের মতো অসম সহ ভারতের বিভিন্ন অংশে হিংসা করার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে ওই যুবকের বিরুদ্ধে। ধৃতের নাম রেজুয়ান উল্লা মাজারভূইয়া।
রেজুয়ান ফেসবুকে একটি পোস্ট করেছিলেন। তাতে তিনি লিখেছিলেন, "বাংলাদেশের পর এবার ভারতের পালা। খুব শিগগিরই অসমে বাংলাদেশের প্রভাব শুরু হবে।" সোশ্যাল মিডিয়ায় এই পোস্ট দেখে এক নেটিজেন তাঁকে কোথা থেকে এসেছেন জিজ্ঞাসা করলে, রেজুয়ান বাংলায় উত্তর দিয়ে বলেন, "আমি ভারতে কাজ করলেও আল-কায়েদার (Al-Qaeda) সঙ্গে যুক্ত। সবসময় পাকিস্তানে আল-কায়েদা সংগঠনের সঙ্গে কাজ করছি। আমি বাংলাদেশকে আমার হৃদয়ে রাখি এবং সবসময় বাংলাদেশকে কাছে রাখি। বাংলাদেশই আমাদের বন্ধুত্বের প্রধান কারণ।"
Anti-india comments on social media and one 24-year-old youth has been arrested in Hailakandi.
— Nandan Pratim Sharma Bordoloi (@NANDANPRATIM) August 8, 2024
He stated, after Bangladesh, violence would be carried out in Assam this time.
He was arrested in Lala town and had identified himself as a member of al-Qaeda on social media. pic.twitter.com/I0gmSWPx20
থানায় জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার!
হাইলাকান্দি পুলিশের সোশ্যাল মিডিয়া মনিটরিং সেলের কর্তাদের ফেসবুক পোস্টটি নজরে পড়ে। এরপরই রেজুয়ানকে দক্ষিণ অসমের (Assam) হালিয়াকান্দি জেলার রংপুরের বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়। পাকিস্তানে আল-কায়েদার (Al-Qaeda) সঙ্গে তাঁর যোগসূত্রের দাবি নিয়ে থানায় তাঁকে কঠোরভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জানা গিয়েছে, জিজ্ঞাসাবাদের সময় তিনি দাবি করেন, যে পাকিস্তানে আল-কায়েদা অপারেটিভদের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ রয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে আক্রান্ত হিন্দুরা, পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে কমিটি গঠন মোদি সরকারের
পুলিশ জানিয়েছে যে, রেজুয়ান পোস্টটি "আমাদের হাইলাকান্দি" নামে একটি ফেসবুক গ্রুপে শেয়ার করেছিলেন। তিনি তাঁর ব্যক্তিগত প্রোফাইলেও অনুরূপ একটি বার্তা পোস্ট করেছেন। হাইলাকান্দির (Assam) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) সমীর বড়ুয়া বলেন, রেজুয়ানের বিরুদ্ধে প্রমাণ পাওয়ার পর তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁকে ধারা ৬১ (২০ (অপরাধী ষড়যন্ত্র), ১৪৭ (ভারত সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা), এবং ৩৯ ধারা সহ ভারতীয় ন্যায় সংহিতা, ২০২৩ (বিএনএস) এর ১৯৬ (শত্রুতা প্রচার) এর অধীনে গ্রেফতার করা হয়েছে। বেআইনি কার্যকলাপ (প্রতিরোধ) আইন, ১৯৬৭ (ইউএপিএ) ধারাও যুক্ত করা হয়েছে।
বাংলাদেশে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর সংরক্ষণ-বিরোধী বিক্ষোভ জামাত-ই-ইসলামির মতো ইসলামপন্থি গোষ্ঠীগুলি হাইজ্যাক করেছে বলে অভিযোগ। অনেক বিরোধী নেতা এবং ইসলামপন্থিরা ভারতে বিজেপি সরকারকে উৎখাত করার জন্য একই ধরনের হিংসা ঘটানোর স্বপ্ন দেখছেন বলে রাজনৈতিক মহলে চর্চা রয়েছে। বেশ কয়েকজন কংগ্রেস নেতা ভারতে একই ধরনের 'বিদ্রোহ' আশা করে মন্তব্য করেছেন। কংগ্রেস নেতা সলমন খুরশিদ, মণিশঙ্কর আইয়ার এবং একাধিক কংগ্রেস নেতারা দাবি করেছেন যে, ভারতের পরিস্থিতি বাংলাদেশের মতোই।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।