উদ্ধারকাজের জন্য ভারত সরকার চালু করেছে 'অপারেশন দোস্ত'।
তুরস্কের ভূমিকম্প
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শনিবার তুরস্ক- সিরিয়ায় (Turkey Earthquake) আরও ত্রাণ পাঠাল ভারত। প্রাণদায়ী ওষুধ এবং ত্রাণ নিয়ে সে দেশে উড়ে গিয়েছে সি-১৭ মিলিটারি ট্রান্সপোর্ট এয়ারক্রাফট। এ নিয়ে ভারত থেকে সাত নম্বর বিমান ত্রান নিয়ে গেল সে দেশে। তুরস্কে ভূমিকম্পে এখনও পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছে ২৮ হাজার। ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্যের জন্য ভারতীয় সেনাবাহিনী একটি ফিল্ড হাসপাতাল তৈরি করেছে। হাতায়ে একটি স্কুল ভবনে ভারতীয় সেনাবাহিনীর হাসপাতাল তৈরি করেছে। এই ৬০ পারা ফিল্ড হাসপাতালের কাজ শুরু করেছে। সেকেন্ড-ইন-কমান্ড লেফটেন্যান্ট কর্নেল আদর্শ জানান, "শনিবার পর্যন্ত ৩৫০ জন রোগী পেয়েছি এবং রবিবার সকাল থেকে ২০০ রোগী পেয়েছি।"
এদিকে উদ্ধারকাজের (Turkey Earthquake) জন্য ভারত সরকার চালু করেছে 'অপারেশন দোস্ত'। তার অধীনেই ভারতের বায়ুসেনা উদ্ধারকারী দল, ওষুধ, চিকিৎসা সরঞ্জাম পাঠায়। উদ্ধারকাজ চালানোর জন্য প্রয়োজনীয় আধুনিক সরঞ্জামও রয়েছে তালিকায়।
গত ৬ ফেব্রুয়ারি শতাব্দীর সবচেয়ে ভয়ঙ্কর ভূমিকম্পের জেরে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে তুরস্ক (Turkey Earthquake) এবং সিরিয়া। তুরস্কের দক্ষিণ ও মধ্যাঞ্চলে প্রায় ছয় হাজার বাড়ি ভেঙে পড়েছে। বড় ভূমিকম্পের পর শতাধিক ছোট ছোট কম্পন অনুভূত হয় সে দেশে। ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত তুরস্ক ও সিরিয়ায় মৃত্যু হয়েছে ২৮ হাজারের বেশি মানুষের।
আরও পড়ুন: ১২৮ ঘণ্টার লড়াইয়ে ধ্বংসস্তূপ থেকে উদ্ধার তুরস্কের ২ মাসের 'বিস্ময় শিশু'
প্রথমবার রিখটার স্কেলে ৭.৮ কম্পন অনুভূত হয়। তারপর ৭.৬ ও তৃতীয়বার ৬.০। বড় ভূমিকম্পে পর পর তিনবার কেঁপে ওঠে দুই দেশ, তুরস্ক- সিরিয়া। তুরস্ক যে ভূমিকম্পের প্রাণঘাতী আক্রমণের জেরে কার্যত পরিণত হয়েছে মৃত্যুনগরীতে।
ভূমিকম্পের (Turkey Earthquake) কেন্দ্রবিন্দু ছিল তুরস্কের গাজিয়ানটেপ এলাকা। এই এলাকায় সিরিয়া সীমান্তের কাছাকাছি হওয়ায় প্রভাব পড়েছে সেখানেও। শুধু তুরস্ক বা সিরিয়াই নয়, প্রবল ভূমিকম্পের কেঁপে উঠেছে পার্শ্ববর্তী লেবানন, ইজরায়েলের মতো দেশও।
Tags: