MEA: এর আগে ২০২০ এবং ২০২১ সালেও রিপোর্ট পেশ করেছিল আমেরিকার ‘কমিশন অন ইন্টারন্যাশনাল রিলিজিয়াস ফ্রিডম’।
আমেরিকাকে কড়া জবাব ভারতের। ফাইল ছবি
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে ভোটের রাজনীতি করা হচ্ছে। মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের (US State Department) বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগ আনল ভারতের বিদেশমন্ত্রক (Ministry of External Affairs)। গত বৃহস্পতিবার আমেরিকার স্টেট ডিপার্টমেন্টের তরফে আন্তর্জাতিক স্তরে ধর্মীয় স্বাধীনতা (Religiuos Freedom) সংক্রান্ত একটি রিপোর্ট পেশ করা হয়। সেখানে ভারতে সংখ্যালঘুদের অবস্থা সম্পর্কে নেতিবাচক মন্তব্য করা হয়। এরপর রিপোর্টের কথা উল্লেখ করে ভারতকে আক্রমণ করেন আমেরিকার বিদেশ সচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন (Anthony Blinken)। তারই জেরে কড়া প্রতিক্রিয়া জানায় ভারত। ভারত তার উত্তরে আমেরিকাকে সে দেশের বন্দুকবাজ হানার কথাও স্মরণ করিয়ে দেয়।
আরও পড়ুন: "ভারত-মার্কিন সম্পর্ক আস্থার সম্পর্ক", বাইডেনের সঙ্গে বৈঠকে মন্তব্য মোদির
কিছুদিন আগেই ভারতকে নিশানা করে ব্লিঙ্কেন বলেন, "ভারতের ধর্মস্থানগুলি আক্রান্ত হচ্ছে। হামলার পরিমাণ দিন দিন বাড়ছে।" ঠিক এর পরেই প্রকাশ করা হয় 'ধর্মীয় স্বাধীনতার রিপোর্ট'। সেখানেও একইভাবে আক্রমণ করা হয় ভারতকে। আরেক মার্কিন আধিকারিকের মতে, ভারতীয় আধিকারিকরা ইচ্ছাকৃত ভাবে এই হামলা থেকে মুখ ফিরিয়ে থাকেন। বিষয়টির তীব্র নিন্দা করে শুক্রবার বিদেশ মন্ত্রকের তরফে বিবৃতি জারি করা হয়।
আরও পড়ুন: মোদি-বাইডেন বৈঠকে উঠতে পারে ইউক্রেন, গম রফতানি প্রসঙ্গ
বিদেশমন্ত্রকের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, "ভোট ব্যাংকের রাজনীতি ব্যবহার করা হচ্ছে আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। ভুল তথ্য এবং পক্ষপাতদুষ্ট মতামতের উপর ভিত্তি করে এই ধরণের রিপোর্ট তৈরি করা উচিৎ নয়। ধর্মীয় সংস্কৃতি এবং মানবাধিকার রক্ষায় যথেষ্ট উদ্যোগী ভারত।" বিবৃতিতে আমেরিকায় বন্দুকবাজ হামলার কথা উল্লেখ করে খোঁচা দেওয়া হয়েছে মার্কিন সাম্রাজ্যকে।
এর আগে ২০২০ এবং ২০২১ সালেও ধর্মীয় স্বাধীনতার ওপর রিপোর্ট পেশ করেছিল আমেরিকার ‘কমিশন অন ইন্টারন্যাশনাল রিলিজিয়াস ফ্রিডম’। কিন্তু তৎকালীন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং বর্তমান রাষ্ট্রপতি জো বাইডেন উড়িয়ে দিয়েছিলেন এই দাবি। হিজাব বিতর্কেও মার্কিন তোপের মুখে পড়েছিল ভারত। তখনও ভারতের তরফ থেকে কড়া বার্তা দেওয়া হয় মার্কিন মুলুককে। বলা হয়েছিল, "হিজাব বিতর্ক একান্তই ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়। সেখানে বিদেশের উস্কানি বরদাস্ত করা হবে না।"