একটি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রধান সূচক হল জিডিপি...
প্রতীকী ছবি
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কোনও একটি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রধান সূচক হল জিডিপি (GDP)। একটি দেশের অভ্যন্তরে এক বছরে চূড়ান্তভাবে উৎপাদিত দ্রব্য ও সেবার বাজারে সমষ্টিগত মূল্যই হল মোট দেশজ উৎপাদন বা জিডিপি। আগের বছরের তুলনায় পরের বছরে এই উৎপাদন যে হারে বাড়ে, সেটি হল জিডিপির প্রবৃদ্ধি। যাঁরা পলিসি তৈরি করেন, যাঁরা বিনিয়োগ করেন, যাঁরা ব্যবসা করেন এবং দেশের নাগরিকদের অর্থনৈতিক অবস্থা জানতে প্রয়োজন হয় জিডিপি জানার। এতে অর্থনৈতিক পরিকল্পনা করতে এবং অর্থনীতি সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নিতে সুবিধা হয় অর্থনীতির রূপকারদের।
বিভিন্ন অর্থনৈতিক সমীক্ষার পূর্বাভাস অনুযায়ী দেখা গিয়েছে, চলতি বছর বিশ্বে জিডিপি (GDP) বেড়েছে ২.৬ শতাংশ। গত বছর এটাই নেমে গিয়েছিল ৩.৩ শতাংশ। মুদ্রাস্ফীতি সহ নানা কারণে বিশ্বে জিডিপির হার সামান্য কমলেও, তা ফের বেড়েছে। এমতাবস্থায় জিডিপির পূর্বাভাস দিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা ভাণ্ডার ও গোল্ডম্যান স্যাচ। ২০৭৫ সালের মধ্যে ভারত, আমেরিকা, চিন, রাশিয়া এবং অন্যান্য দেশের জিডিপির হার কেমন হবে, সে ব্যাপারে ভবিষ্যদ্বাণী করেছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা ভাণ্ডার ও গোল্ডম্যান স্যাচ। চলতি বছর মুদ্রাস্ফীতির হার অন্যান্য দেশের তুলনায় কম ছিল ভারতেই। এখানে মুদ্রাস্ফীতির হার পাঁচ শতাংশের কম ছিল। পাকিস্তানে মুদ্রাস্ফীতির হার ৩৮ শতাংশ।
আন্তর্জাতিক মুদ্রা ভাণ্ডার ও গোল্ডম্যান স্যাচের পূর্বাভাস অনুযায়ী, ২০৭৫ সালের মধ্যে ভারত হবে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির (GDP) দেশ। এই সময়সীমার মধ্যে বাড়বে আমদানি। আবিষ্কার এবং প্রযুক্তির ক্ষেত্রেও ঘটবে বিপ্লব। বেসরকারি সংস্থাগুলি আরও বেশি করে পাবে বিনিয়োগের পরিবেশ। একটি গবেষণায় গোল্ডম্যান স্যাচ জানিয়েছে, ভারতের বর্তমান জিডিপি দাঁড়িয়েছে ৩.৭৩৭ লক্ষ কোটি মার্কিন ডলারে। এই রিপোর্ট থেকেই জানা গিয়েছে, ২০২৮ সালের মধ্যে ভারতে জিডিপির হার বাড়বে ৫.৫ লক্ষ কোটি মার্কিন ডলারে।
আরও পড়ুুন: ‘সুপ্রিম’ নির্দেশে মাঝ পথে বন্ধ হয়ে গেল জ্ঞানবাপী মসজিদ সমীক্ষার কাজ
২০৭৫ সালের মধ্যে এটাই লাফিয়ে গিয়ে দাঁড়াবে ৫২.৫ লক্ষ কোটি মার্কিন ডলারে। আমেরিকাকে পেছনে ফেলে অর্থনীতিতে এগিয়ে যাবে চিন। তার পরের জায়গাটাই হবে ভারতের। ২০২২-২৩ অর্থবর্ষের প্রথম ত্রৈমাসিকে ভারতের অর্থনীতির উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি লক্ষ্য করা গিয়েছিল। এই তিন মাসে ভারতে জিডিপি (GDP) বৃদ্ধির হার ছিল ৬.১ শতাংশ। কৃষি, উৎপাদন, খনি এবং নির্মাণ শিল্পে প্রভূত উন্নতির জেরেই বেড়েছিল জিডিপির হার।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।