নো-ফ্লাই জোনে যুদ্ধবিমান এবং ড্রোন উড়িয়ে ভারতকে চাপে রাখার চেষ্টা করে চলেছে চিন, এই মিশাইল বসানো হলে তার যোগ্য জবাব দেওয়া যাবে বলে ধারণা প্রতিরক্ষামন্ত্রকের
এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী দু-তিন মাসের মধ্যে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার (LAC) কাছে চিন সীমান্ত বরাবর এস-৪০০ (S-400) ক্ষেপণাস্ত্র সিস্টেমের দ্বিতীয় স্কোয়াড্রন বসাতে চলেছে ভারত (India)। এই বিশাল ক্ষমতাসম্পন্ন মিসাইল ডিফেন্স সিস্টেম লাদাখ (Ladakh) সেক্টরে ভারতীয় সেনাকে (Indian Army) আলাদা মনোবল জোগাবে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
ভারত-চিন সীমান্তে (India China Border) মাঝেমধ্যেই নো-ফ্লাই জোনে যুদ্ধবিমান এবং ড্রোন উড়িয়ে ভারতকে চাপে রাখার চেষ্টা করে চলেছে চিন, এই মিশাইল বসানো হলে তার যোগ্য জবাব দেওয়া যাবে বলে ধারণা প্রতিরক্ষামন্ত্রকের। চিনের বাড়বাড়ন্তও অনেকটা রোখা যাবে বলে অনুমান। ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের (Russia-Ukraine War) পর থেকে রুশ অস্ত্র কেনার ব্যাপারে আমেরিকা নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। কিন্তু চিনকে আটকাতে এই মিসাইল সিস্টেমটি কেনার ব্যাপারে ভারতকে আলাদা করে ছাড়পত্র দেয় আমেরিকা। মার্কিন ক্যাটসা আইন (CAATSA) অনুসারে, যদি কোনও দেশ রাশিয়া থেকে নিরাপত্তা ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অস্ত্র কেনে, তাহলে সেই দেশের উপরে নিষেধাজ্ঞা চাপানো হবে। কিন্তু সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে চিনের আগ্রাসন ঠেকাতে শক্তিশালী প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে ভারতকে (India)। সেই কথা মাথায় রেখেই আমেরিকার সংসদে আইন সংশোধন করে ভারতকে এই বিশেষ ছাড় দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: চিন সীমান্তে রাস্তা নির্মাণে গত পাঁচ বছরে ব্যয় প্রায় সাড়ে ১৫ হাজার কোটি টাকা
শত্রুপক্ষের যুদ্ধবিমান ও লম্বা পাল্লার ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের সঙ্গে তাল মিলিয়ে যুদ্ধ চালাতে ‘এস-৪০০ ট্রায়াম্ফ’ (S-400 Triumf) -এর বিকল্প নেই। চিনের সঙ্গে সীমান্তে প্রতিনিয়ত সমস্যা লেগে রয়েছে এই পরিস্থিতিতে ভারতীয় বায়ুসেনা (IAF) এই ক্ষেপণাস্ত্র হাতে পাচ্ছে। এর ফলে কিছুটা হলেও সুবিধা পাবে ভারত। লাদাখ (Ladakh) ও অরুণাচলকে (Arunachal Pradesh) নিশানায় রেখে আগেভাগেই চিন অধিকৃত তিব্বতে দুটি এস-৪০০ স্কোয়াড্রন মোতায়েন করেছে বেজিং। এ বার ভারতের পালা। রাশিয়া থেকে পাঁচটি স্কোয়াড্রন ভারতে আসছে। খরচ পড়ছে ৩৫ হাজার কোটি টাকা। ৪০০ কিলোমিটার দূর থেকেও বিমান বা ক্ষেপণাস্ত্রকে ধ্বংস করতে সক্ষম এস- ৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধ ব্যবস্থা।