এর আগে আটটি চিতা, পাঁচটি মহিলা এবং তিনটি পুরুষ, গত বছরের ১৭ সেপ্টেম্বর মধ্যপ্রদেশের শেওপুর জেলার কুনো জাতীয় উদ্যানে নিয়ে আসা হয়।
চিতা
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরও ১০০ চিতা আসতে চলেছে ভারতে (African Cheetah)! সুদূর দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে। ইতিমধ্যেই সাক্ষর হয়ে গিয়েছে চুক্তি। কেন্দ্রীয় পরিবেশ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যেই ১০০টি চিতার প্রথম ১২টিকে ভারতে আনা হবে।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রক এক বিবৃতিতে (African Cheetah) জানিয়েছে, "আগামী আট থেকে ১০ বছরের জন্য বছরে ১২টি করে চিতাকে ভারতে নিয়ে আসার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। চিতাদের জন্য একটি নিরাপদ বাসস্থান তৈরি করতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।" তবে চিতাগুলিকে কোথায় রাখা হবে তা এখনও জানা যায়নি। প্রসঙ্গত, এ আগে আনা আটটি চিতাকেই রাখা হয়েছে গুজরাটের কুনো জাতীয় উদ্যানে। ভারতে এক সময় চিতা থাকলেও নির্মম ভাবে শিকারের কারণে পরে তা বিলুপ্ত হয়ে যায়। ভারতে আবার নতুন করে চিতার বংশবৃদ্ধির জন্য গত বছর সেপ্টেম্বরে আফ্রিকা থেকে আটটি চিতা মধ্যপ্রদেশের কুনোর জঙ্গলে আনা হয়। তাদের মধ্যে সাশা নামের মহিলা চিতা সম্প্রতি অসুস্থ হয়ে পড়েছে। উদ্যান কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তরফে চিতাটির চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়। পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে, সাশার কিডনিতে সংক্রমণ হয়েছে। জল না খাওয়ার কারণে এই সমস্যা দেখা দিয়েছে বলে চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন।
কুনো জাতীয় উদ্যানের বিভাগীয় বন আধিকারিক প্রকাশ কুমার বর্মা জানিয়েছেন, অসুস্থ চিতাটি এখন পুরোপুরি সুস্থ রয়েছে।
এর আগে আটটি চিতা, পাঁচটি মহিলা এবং তিনটি পুরুষ, গত বছরের ১৭ সেপ্টেম্বর মধ্যপ্রদেশের (African Cheetah) শেওপুর জেলার কুনো জাতীয় উদ্যানে নিয়ে আসা হয়। সরকার ১৯৫২ সালে দেশে চিতা বিলুপ্ত ঘোষণা করে। ১৯৭০ এর দশক থেকে শুরু করে, ভারত সরকারের প্রজাতিগুলিকে দেশে তার ঐতিহাসিক পরিসরে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করার প্রচেষ্টার ফলে নামিবিয়ার সাথে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
সরকারি নথিপত্র জানাচ্ছে, ভারতে শেষ চিতাটি (African Cheetah) মারা যায় ১৯৪৮ সালে। ছত্তীসগঢ়ে। তার পাঁচ বছর পর ১৯৫২ সালে ভারতে চিতা বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছে বলে ঘোষণা করে তদানীন্তন কেন্দ্রীয় সরকার। সেই সময় থেকে গত ৭০ বছর ধরে চিতা ছিল না এ দেশে।
বিভিন্ন প্রজাতির ১০০টি চিতা এ বার আনা হচ্ছে দক্ষিণ আফ্রিকা অথবা নামিবিয়া (African Cheetah) থেকে। পাঁচ বছরের পরিকল্পনার প্রথম বছরেই। এদের মধ্যে ১০/১২টি একেবারেই অল্পবয়স্ক চিতা। যাতে তাদের থেকে চিতার বংশবৃদ্ধি ঘটে পর্যাপ্ত পরিমাণে। চিতাগুলি দক্ষিণ আফ্রিকা বা নামবিয়া থেকে এ দেশে আনতে বিদেশমন্ত্রকও সাহায্য করছে বলে কেন্দ্রীয় পরিবেশমন্ত্রী জানিয়েছেন।
Tags: