মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানকে (Pakistan) সাড়ে চারশো কোটি মার্কিন ডলার অর্থমূল্যের এফ-১৬ যুদ্ধ বিমানের (F-16 Fighter) যন্ত্রাংশ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আমেরিকার (US) জো বাইডেন প্রশাসন। বিষয়টিকে ভালভাবে নিচ্ছে না ভারত (India)। যদিও আমেরিকা কোয়াড সদস্যভুক্ত দেশ এবং ভারতের ঘনিষ্ঠ, তা সত্ত্বেও বাইডেন প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তকে ভালভাবে নিচ্ছে না নয়াদিল্লি। সাউথ ব্লকের এহেন মনোভাব কূটনৈতিক মহলের মাধ্যমে ওয়াশিংটনকে জানিয়েও দিয়েছে মোদি প্রশাসন।
সন্ত্রাসবাদ নির্মূলকরণের লক্ষ্যে পাকিস্তানকে এফ-১৬ যুদ্ধবিমানের যন্ত্রাংশ দিতে রাজি হয়েছে আমেরিকা। তবে আসল কারণ অন্য। তা হল, পাকিস্তানকে যুদ্ধ বিমানের যন্ত্রাংশ সরবরাহ করে আমেরিকা ভারতকে এই বার্তা পৌঁছে দিতে চায়, যে এই অস্ত্র সাহায্যের কোনও প্রভাব ভারতের ওপর পড়বে না। তাছাড়া ভারতীয় উপমহাদেশে বজায় থাকবে মিলিটারি ব্যালেন্সও।
ঘটনার জেরে যারপরনাই ক্ষুব্ধ মোদি সরকার। বাইডেন প্রসাসনকে তারা জানিয়ে দিয়েছে, ২০১৯ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি ভারত পাকিস্তানের বালাকোটে জইশ-ই মহম্মদরে ডেরায় হানা দেয়। তার ঠিক আগের দিন ওই যুদ্ধ বিমান ব্যবহার করেছিল পাকিস্তান। সেরকম ঘটনা ফের ঘটতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করে ভারত।
আরও পড়ুন : তিন দশকে প্রথম কোনও লস্কর জঙ্গির দেহ গ্রহণ করল পাকিস্তান! কীভাবে হল হস্তান্তর?
পাকিস্তান এবং মার্কিন পর্যবেক্ষকদের বিশ্বাস, বেশ কয়েকটি কারণে রাওয়ালপিন্ডিকে এফ-১৬ যুদ্ধ বিমান দিতে রাজি হয়েছে আমেরিকা। এগুলি হল, রাশিয়ার বিরুদ্ধে গিয়ে ইউক্রেনকে অস্ত্র সাহায্য করেছে পাক সেনা প্রধান জেনারেল বাজওয়া। দ্বিতীয়ত, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান যখন প্রধানমন্ত্রিত্বের পদ থেকে সরে যান, তখন নিরপেক্ষ ভূমিকা নিয়েছিল বাজওয়ার নেতৃত্বাধীন পাক সেনা। এটা তার পুরস্কার। তৃতীয়ত, লাইন অফ কন্ট্রোলে উত্তেজনা কমাতে বাজওয়ার চেষ্টা করে চলেছেন। এটা তার স্বীকৃতিও হতে পারে।
তবে যুদ্ধ বিমান দিয়ে আমেরিকা পাকিস্তানকে সাহায্য করছে না, তারা দিচ্ছে এফ-১৬ মেরামতের সরঞ্জাম। পাক সেনার মিলিটারি আপগ্রেডেশন কিংবা নতুন কোনও অস্ত্রশস্ত্রও দিচ্ছে না বাইডেনের দেশ। আমেরিকার স্টেট ডিপার্টমেন্টের তরফে ভারতকে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে একথা। পাক পর্যবেক্ষকদের একাংশের ধারণা, পাকিস্তানকে এফএটিএফের ধূসর তালিকা থেকে বের করার প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে আমেরিকা।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।
+ There are no comments
Add yours