সীমান্তে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর উঁকিঝুঁকি মারছিল চিনা ড্রোন...
ফাইল ছবি।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অরুণাচল প্রদেশের (Arunachal Pradesh) তাওয়াংয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়েছিল ভারত (India) ও চিনের (China) সেনারা। ওই ঘটনার রেশ পুরোপুরি মিলিয়ে যাওয়ার আগেই যুদ্ধবিমানের তৎপরতা পরীক্ষা করার সিদ্ধান্ত নিল ভারতীয় বায়ুসেনা (Indian Airforce)। বৃহস্পতিবার থেকে উত্তর-পূর্বে শুরু হচ্ছে সামরিক মহড়া (Training Exercise)। চলবে দুদিন ধরে। বায়ুসেনা সূত্রেই এ খবর মিলেছে।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে খবর, ৯ ডিসেম্বর, ২০২২-এ পিএলএ সৈন্যরা সীমান্তে স্থিতাবস্থা পরিবর্তনের চেষ্টা করে। ভারতীয় সেনাবাহিনী দৃঢ়তার সঙ্গে তার মোকাবিলা করে। দু পক্ষের মধ্যে হাতাহাতিও হয়। ভারতের জওয়ানরা চিনা সেনাদের বাধা দেয় এবং তাদের পোস্টে ফেরত পাঠায়। এই ঘটনায় ভারতীয় সেনাবাহিনীর কোনও জওয়ান নিহত বা আহত হননি। এই ঘটনার পর স্থানীয় কমান্ডার ১১ ডিসেম্বর চিনের সেনা কমান্ডারদের সঙ্গে বৈঠক করেন এবং ঘটনাটি নিয়ে আলোচনাও করেন। চিনকে সীমান্তে শান্তি বজায় রাখতে বলা হয়েছে ভারতের তরফে। এহেন আবহে উত্তরপূর্বে আয়োজন হয়েছে সামরিক মহড়ার।
আরও পড়ুন: চিনকে যোগ্য জবাব দিয়েছে ভারতীয় সেনা, বললেন রাজনাথ
সূত্রের খবর, চলতি সপ্তাহে ভারতীয় বায়ুসেনার (Indian Airforce) মহড়া হবে ইস্টার্ন সেক্টরে। সেখানে যুদ্ধবিমানগুলির ক্ষিপ্রতা পরীক্ষা করা হবে। জানা গিয়েছে, সামরিক এই মহড়ার পরিকল্পনা হয়েছে অনেক আগেই। ওই সূত্রেই আরও জানা গিয়েছে, গত কয়েক সপ্তাহ ধরে মাঝে মধ্যেই সীমান্তে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর উঁকিঝুঁকি মারছিল চিনা ড্রোন। তাদের ঠেকাতে দু তিনবার ভারতকে ওড়াতে হয়েছে যুদ্ধ বিমান। জানা গিয়েছে, চিনা ড্রোনের মোকাবিলায় ওড়ানো হয়েছে এসইউ ৩০ এমকেআই জেট। তাওয়াংয়ের ঘটনার প্রেক্ষিতে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেন, চিনকে যোগ্য জবাব দিয়েছে ভারতীয় সেনা।
এই প্রথম নয়, এর আগেও একাধিকবার সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েছে ভারত ও চিনা সেনা। ২০২০ সালের ১৫ জুন গালওয়ানেও সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েছিল চিনা সেনা ও ভারতীয় বাহিনী। ওই সংঘর্ষে ২০ জন ভারতীয় সেনার মৃত্যু হয়। ২০২১ সালের অক্টোবর মাসেও ওই একই এলাকায় ঢুকে পড়েছিল প্রচুর চিনা সেনা। সেই সময়ও দু পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছিল।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।