বুধবারই ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক অনেকটা ঠিক হয়ে গিয়েছে বলে জানিয়েছেন চিনের রাষ্ট্রদূত সান ওয়েডং। দিল্লি অবশ্য এ বিষয়ে কোনও মত দেয়নি।
সেনার কসরত।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গোগরা -হটস্প্রিং থেকে দুদেশ সেনা সরালেও প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা (LAC) বরাবর মাঝেমাঝেই চক্কর কেটে চলেছে চিনা ফাইটার জেট (Chinese Fighter Jets)। সম্প্রতি একাধিকবার প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার (Line of Actual Control) কাছে প্ররোচনা দিয়ে চলেছে চিনা ফৌজ। ভারতীয় প্রতিরক্ষা (Indian defence) ব্যবস্থাকে মাপার জন্য বরাবর সক্রিয় চিন (China)। এবার তারই পাল্টা দিল ভারত (India)। পাল্টা প্রতিরোধ-ব্যবস্থা হিসেবে চিন সীমান্তে আগ্নেয়াস্ত্র-সহ সেনার ব্যাটেলিয়ন মজুত রাখা হচ্ছে।
সক্রিয় রয়েছে ভারতীয় বায়ুসেনাও (Indian Air Force)। একেবারে সীমান্ত বরাবর যুদ্ধ বিমান ওড়াচ্ছে ভারত। তাতেই আতঙ্কিত চিন! ভারতীয় সেনার লাদাখ সেক্টরের মানোন্নয়ন নিয়ে অস্বস্তিতে রয়েছে চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মি (PLA)। তাই বুধবারই ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক অনেকটা ঠিক হয়ে গিয়েছে বলে জানিয়েছেন চিনের রাষ্ট্রদূত সান ওয়েডং। পিপলস রিপাবলিক অফ চায়নার ৭৫ বার্ষিকী অনুষ্ঠানে ভার্চুয়াল মাধ্যমে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, সবমিলিয়ে স্থিতাবস্থা রয়েছে সীমান্তে। আপৎকালীন পরিস্থিতি থেকে দুই দেশই বেরিয়ে এসেছে। দিল্লি অবশ্য এ বিষয়ে কোনও মত দেয়নি।
আরও পড়ুন: নারীশক্তির জয়! চিন সীমান্তে সুখোই-৩০ যুদ্ধবিমান ওড়াচ্ছেন এই বীর কন্যা...
ভারতীয় সেনা সূত্রে খবর, সীমান্ত বরাবর আধুনিক মানের উন্নত যুদ্ধাস্ত্র প্রস্তুত করা হচ্ছে। এই মর্মে সেনার আর্টিলারি ডিভিসনকে ঢেলে সাজানো হচ্ছে। পুরনো ও ভারী প্রকৃতির ফিল্ড গানের জায়গায় বসানো হচ্ছে আধুনিকতম, হাল্কা ফিল্ড বা আর্টিলারি গান। সেই তালিকায় রয়েছে ১৫৫মিমি/৫২ ক্যালিবার ট্র্যাকড্ সেল্ফ প্রোপেল্ড কে-৯ বজ্র-টি (K9 Vajra-T) গান, অতিরিক্ত ১৫৫মিমি/৪৫ ক্যালিবার ধনুষ (Dhanush) আর্টি গান, ১৫৫মিমি/৫২ ক্যালিবার অ্যাডভান্সড টাওড আর্টিলারি গান সিস্টেম (ATAGS) এবং আধুনিকীকরণ করা ফিল্ড গান সরঙ্গ (Sharang)।
এর পাশাপাশি, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় মোতায়েন করা হয়েছে অধিক পাল্লার পিনাকা রকেট সিস্টেমের সর্বাধুনিক সংস্করণ। রয়েছে অ্যারিয়াল ভেহিকলস, আধুনিক ড্রোন-সহ নানান সমরাস্ত্র। শুধু তাই নয়, ভারতীয় সীমান্তের মধ্যে কিন্তু LAC-এর খুব কাছে ড্রোন ব্যবহার করা হচ্ছে। আর তাতেই ঘুম উড়েছে চিনের।
আরও পড়ুন: ভারতে রকেট লঞ্চার তৈরি করবে স্যাব! কী বলছে সুইডেনের সংস্থা?
আগেই দিল্লির তরফে জানানো হয়েছিল, ভারত প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখতে চায় কিন্তু কোনওভাবেই আর শান্তি ভিক্ষা করা হবে না। আর কয়েকমাসের মধ্যেই শীত এসে যাবে। এই অবস্থায় ভারত এবং চিন দুই দেশই সীমান্তে পরিকাঠামো ঢেলে সাজাতে উদ্যোগ নিয়েছে। এক আধিকারিক জানিয়েছে, ভারত সীমান্তের কাছে রাস্তা এবং অন্য পরিকাঠামো নির্মাণ করছে। শীঘ্রই ধনুষ রেজিমেন্ট ইতিমধ্যেই তৈরি, বলে সেনা সূত্রে খবর। যদিও আধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র সজ্জিত নয়া সেনাদল হয়ত বা শীতের পরই কসরত দেখাবে। উত্তর সীমান্তে চিনের গতিবিধির দিকে সবসময়ই নজর রয়েছে ভারতের। চিন যদি ভারতকে উপেক্ষা করে নিজেদের শক্ত করতে চায়, তাহলে সীমান্তে নিজেদের অধিকার বজায় রাখতে এতটুকু খামতি দেখাবে না দিল্লি, এমনই অভিমত কূটনীতিকদের।