Equity Markets: ভারতীয় অর্থনীতি ও ইক্যুইটি মার্কেট ছাড়াল চিনকে, কেন জানেন?...
প্রতীকী ছবি।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শি জিনপিংয়ের দেশের অর্থনীতিকে মাত দিল নরেন্দ্র মোদির ভারত (Indian Economy)! আজ নয়, গত তিন বছর ধরে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে চিনকে টেক্কা দিয়ে চলেছে ভারত। ডিএসপির মিউচ্যুয়াল ফান্ডের রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে, চিনের ইক্যুইটি মার্কেট ভারতের ইক্যুইটি মার্কেটের চেয়ে ঢের এগিয়ে। চিনের বর্তমান ইক্যুইটি মার্কেট ভারতের চেয়ে দ্বিগুণ। এটা এমন একটা সময়, যখন চিনের জিডিপি ভারতের জিডিপির চেয়ে পাঁচগুণ বেশি।
২০০৪ সাল থেকে ২০২১ এই সতেরো বছরে চিনের অর্থনীতি ভারতের জিডিপিকে ছাড়িয়ে গিয়েছিল। তার পর থেকে গতি হারায়। এর পরেই চড়চড়িয়ে উঠতে থাকে ভারতীয় অর্থনীতি ও ইক্যুইটি মার্কেটের পারদ। গত তিন বছরে তা ছাপিয়ে গিয়েছে চিনের অর্থনীতি ও ইক্যুইটি মার্কেটকে। জানা গিয়েছে, গত তিন বছর ধরে লোকসানে চলছে চিনা শেয়ার বাজারও। অর্থনীতিবিদদের একাংশের মতে, বিশ্বের চোখে ধুলো দিতে এতদিন সঠিক পরিসংখ্যান প্রকাশ্যে আনত না চিন। ফলতে শুরু করেছে (Indian Economy) তারই বিষময় ফল।
ভারতের ফ্রন্টলাইন স্টক ইনডেক্স, নিফটি ৫০ ইনডেক্স ব্যবসা করেছে ২৩ গুণ ট্রেইলিং। সেখানে সাংহাইয়ের সূচক করেছে মাত্র ১১ গুণ ট্রেইলিং। জানা গিয়েছে, কোয়ালিটির দিক থেকে ভারতীয় মার্কেট উচ্চ শ্রেণির এবং ব্যয়বহুল বলে বিবেচিত হয়। অন্যদিকে, তুলনায় সস্তা চিন ও দক্ষিণ কোরিয়ার মার্কেট। ভারতীয় স্টক মার্কেটগুলি একের পর এক রেকর্ড করে চলেছে। স্বল্প মেয়াদ থেকে দীর্ঘ মেয়াদের রিটার্নের ক্ষেত্রে দেওয়া হচ্ছে রেকর্ড ব্রেকিং। বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারতের স্টক মার্কেট দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগকারীদের জন্য ভালো বলে প্রমাণিত হতে চলেছে। ভারতের বুক রেসিওর দরও চড়া, প্রায় আমেরিকার সমান। এর রিটার্নও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রিটার্নের সমান। রিপোর্টে বলা হয়েছে, ভারত যদি তাৎপর্যপূর্ণভাবে সস্তা হত, তাহলে এটি দীর্ঘমেয়াদি লগ্নিকারীদের জন্য এক্সেলেন্ট এন্ট্রি পয়েন্ট হত।
আরও পড়ুুন: ভোটের মধ্যেই ‘ভাইপো’কে দলীয় উত্তরসূরীর পদ থেকে সরালেন ‘পিসি’!
বর্তমানে বিশ্ববাজার উল্লেখযোগ্যভাবে আশাবাদ-পর্বের মধ্যে দিয়ে চলছে। কর্পোরেট পারফরমেন্সও ভালো। আর্নিংস গ্রোথও চলছে সমানতালে। এহেন দৃশ্যপটে ব্রাজিল উঠে এসেছে ব্যতিক্রমী হিসেবে। এই দেশের আর্নিংস গ্রোথই যে উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে তা নয়, ভ্যালুয়েশন ট্রেন্ডের ক্ষেত্রেও প্রভাব ফেলেছে। ইন্ডিয়ান ইক্যুইটিতে সেফটির মার্জিনের অভাব রয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে রিপোর্টে (Indian Economy)।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।