সিবিডিটি চেয়ারম্যান নীতিন গুপ্ত কোম্পানির নাম না করে বলেন, “যারা টাকা জিতেছেন আমরা তাদের আয়কর রিটার্ন জমা করার মাধ্যমে আয়কর জমা দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করতে বলেছি।"
আয়কর
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতি সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ডাইরেক্ট ট্যাক্সেস (CBDT) - এর তরফ থেকে জানানো হয়েছে, ভারতীয় গেমিং অ্যাপের খেলোয়াড়রা গত তিন বছরে ৫৮ হাজার কোটি টাকা জিতেছে। আয়কর দফতরের (Income Tax Department) জন্যে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গা।
সিবিডিটি চেয়ারম্যান নীতিন গুপ্ত কোম্পানির নাম না করে বলেন, “যারা টাকা জিতেছেন আমরা তাদের আয়কর রিটার্ন (Income Tax Return) জমা করার মাধ্যমে আয়কর জমা দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করতে বলেছি। যদি তারা স্বেচ্ছায় তা না করে তবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"
আরও পড়ুন: বঞ্চনার অভিযোগ মিথ্যা, ফের রাজ্যকে টাকা দিল কেন্দ্র
তিনি আরও বলেন, "জরিমানা এবং ৩০ শতাংশ কর মিলিয়ে বিজয়ীদের প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা দিতে হবে। ২০১৯-২০, ২০২০-২১, ২০২১-২২ এই অর্থবর্ষগুলির জন্যে এখন কর দিতে হবে।"
নীতিন গুপ্ত আরও বলেন, “আমরা সব তথ্য খতিয়ে দেখছি। বড় অঙ্কের কর ফাঁকি দেওয়া হয়েছে। বিজয়ীদের কেউ হয়তো বেশি আর কেউ কম উপার্জন করেছেন। আমাদের কাছে প্রয়োজনীয় তথ্য আছে।"
তিনি আরও বলেন, "লটারির মতো এখান থেকেও প্রতিটি জয় বাবদ কর নেওয়া হবে। লটারি, ক্রসওয়ার্ড পাজল, ঘোড়দৌড়, তাস খেলা, এবং যেকোনো ধরণের অন্যান্য খেলা, জুয়া বা বাজি সহ লটারি থেকে জেতা টাকার উপর ৩০% কর নেওয়া হয়। এখানে কোনও ছাড় পাওয়া যায় না।"
আরও পড়ুন: বিনোদন জগতে সর্বোচ্চ 'করদাতা' বলিউডের 'খিলাড়ি'! সম্মানিত করল আয়কর বিভাগ
এই ক্ষেত্রে মূলত জেতা টাকার থেকে আগেই কর কেটে বাকি টাকা বিজয়ীকে দেওয়া হয়।
নীতিন গুপ্ত বলেন, "এই গেমিং অ্যাপগুলি কর ফাঁকি দিচ্ছে কী না তা নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই তদন্ত চালানো হচ্ছিল। আমাদের বিভাগ নিজেদেরকে আর রিয়েল এস্টেড এবং ডেভলপারসের মধ্যেই সীমাবদ্ধা রাখছি না। আমরা নতুন ক্ষেত্রেও কাজ করছি। স্বাস্থ্য পরিষেবা থেকে ওষুধ, ডেভলপার থেকে ইন্ডাস্ট্রি, সব ক্ষেত্রেই কাজ করছি আমরা। এখন আমরা আরও কিছু নতুন জায়গায় কাজ করছি। যেমন গেমিং অ্যাপ, অ্যাসেট রিকনস্ট্রাকশন কোম্পানি ইত্যাদি।"
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।