প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ব্যক্তিগতভাবে ভারতের এই নিদর্শনগুলি ফিরিয়ে আনার প্রচেষ্টায় জোর দিয়েছেন...
ফাইল ছবি।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লুঠ হয়ে গিয়েছে কোহিনূর (Kohinoor) হিরে। লুঠ হয়েছে হাজার হাজার অন্যান্য ধনরত্নও। এবার এসবই ফেরাতে উদ্যোগী হল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) সরকার। লুণ্ঠন হওয়া এসব সম্পদ উদ্ধার করতে শীঘ্রই আলাপ আলোচনা শুরু হবে কূটনৈতিক স্তরে। এই কূটনৈতিক অভিযানের নাম দেওয়া হয়েছে ‘রেকনিং উইথ দ্য পাস্ট’। কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রকের সচিব গোবিন্দ মোহন বলেন, এটা সরকারের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ব্যক্তিগতভাবে ভারতের এই নিদর্শনগুলি ফিরিয়ে আনার প্রচেষ্টায় জোর দিয়েছেন। তাঁর কাছে এটা একটা প্রধান অগ্রাধিকারের বিষয়।
জানা গিয়েছে, লন্ডনে যে ভারতীয় কূটনীতিকরা রয়েছেন, তাঁরাই বিভিন্ন ব্রিটিশ প্রতিষ্ঠানগুলির কাছে ঐতিহাসিক নিদর্শনগুলি ফিরিয়ে দেওয়ার অনুরোধ করবেন। প্রক্রিয়া শুরু হবে চলতি বছরই। প্রসঙ্গত, বারবার লুঠেরারা লুঠ করেছে ভারত। ঔপনিবেশিক শাসনের সময়ও খোয়া গিয়েছে বহু মূল্যবান রত্ন (Kohinoor) সামগ্রী। সেসসবই এখন ফেরাতে চায় নরেন্দ্র মোদির সরকার। অর্থনীতিবিদ উৎসা পট্টনায়কের গবেষণায় দাবি করা হয়েছে, ১৭৬৫ থেকে ১৯৩৮ সালের মধ্যে ভারত থেকে ব্রিটিশরা যে সম্পদ লুঠ করেছে, অর্থমূল্যে তার পরিমাণ প্রায় ৪৫ লক্ষ কোটি মার্কিন ডলার।
আরও পড়ুুন: ‘‘ইমরান খান সন্ত্রাসবাদীদের চেয়ে কম কিছু নয়’’, তোপ পাক প্রধানমন্ত্রীর
ভারত থেকে লুঠ হওয়া সম্পদের মধ্যে রয়েছে কোহিনূর হিরেও। ১৮৪৯ সাল থেকে ব্রিটিশ রাজ পরিবারের দখলে রয়েছে সেই হিরে। বর্তমানে এই হিরের মালিক ব্রিটেনের রাজা তৃতীয় চার্লস। রানি ভিক্টোরিয়ার ব্রোচে এবং রানি এলিজাবেথের মুকুটে শোভা পেত এই হিরে (Kohinoor)। জানা গিয়েছে, নাবালক কিশোর মহারাজা দলীপ সিংকে লাহোর চুক্তি স্বাক্ষর করতে বাধ্য করেছিল ব্রিটিশ সরকার। তার পরেই কোহিনূর হিরের মালিক হয় ব্রিটিশ রাজ পরিবার। অবশ্য ব্রিটিশ ঐতিহাসিকদের দাবি, কোহিনূর হিরে ব্রিটিশ রাজ পরিবারকে উপহার দেওয়া হয়েছিল। কারও কারও মতে, এটি ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির কাছে হস্তান্তর করা হয়েছিল। ভারতীয় ঐতিহাসিকরা প্রমাণ সহ জানিয়েছেন, ঔপনিবেশিক শক্তি প্রয়োগ করেই ভারত থেকে কোহিনূর হিরে নিয়ে গিয়েছিল ব্রিটিশরা।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।