Nuclear Submarines: শক্তিশালী নৌবাহিনীই লক্ষ্য! নিউক্লিয়ার অ্যাটাক সাবমেরিন তৈরির পরিকল্পনায় ছাড়পত্র কেন্দ্রের...
আধুনিক সাবমেরিন তৈরিতে ছাড়পত্র। ফাইল ছবি
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: খালিস্তান ইস্যুতে কানাডা ও আমেরিকার সঙ্গে কূটনৈতিক যুদ্ধ। চিনের সঙ্গে লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় সীমান্ত সংঘাতে ইতি। এসবের মাঝে ফৌজি প্রস্তুতিতে কোনও খামতি রাখছে না ভারত। সম্প্রতি ভারতীয় নৌবাহিনীর (Indian Navy) জন্য দুটি পারমাণবিক শক্তিচালিত (Nuclear Submarines) ঘাতক সাবমেরিন (SSN) নির্মাণের অনুমোদন দিয়েছে প্রতিরক্ষামন্ত্রক। এই সাবমেরিনগুলো বিশাখাপত্তনমের শিপ বিল্ডিং ইয়ার্ডে তৈরি করা হবে। প্রকল্পটির জন্য ব্যয় হবে প্রায় ৪৫,০০০ কোটি টাকা।
এই চুক্তিটি দীর্ঘদিন ধরে আটকে ছিল। ভারতীয় নৌবাহিনী (Indian Navy) এর অনুমোদনের জন্য ক্রমাগত চাপ দিচ্ছিল প্রতিরক্ষা মন্ত্রককে। ভারত ছয়টি এরকম সাবমেরিন অন্তর্ভুক্ত করার পরিকল্পনা করছে, যা বৃহত্তর সাবমেরিন যুদ্ধ-কৌশলের অংশ। এই এসএসএন অ্যাটাক সাবমেরিনগুলোর ভূমিকা, কার্যপদ্ধতি বা বৈশিষ্ট্য পারমাণবিক ব্যালিস্টিক সাবমেরিন (Nuclear Submarines) বা এসএসবিএন-এর থেকে আলাদা। গত ৯ অক্টোবর কেন্দ্রের নিরাপত্তা সংক্রান্ত ক্যাবিনেট কমিটি নৌসেনার এই অ্যাটাক বা ঘাতক ডুবোজাহাজ তৈরির পরিকল্পনায় ছাড়পত্র দিয়েছে। যাতে জল-যোদ্ধার আরও দু’টি পরমাণু শক্তিচালিত ‘হামলাকারী’ ডুবোজাহাজ (অ্যাটাক সাবমেরিন) তৈরির কথা বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সাইবার অপরাধের নতুন ফাঁদ ‘ডিজিটাল গ্রেফতারি’! সতর্কবার্তা প্রধানমন্ত্রী মোদির
এসএসএন (SSN) এবং এসএসবিএন (SSBN) উভয় সাবমেরিনই পারমাণবিক শক্তিচালিত (Nuclear Submarines)। তবে তাদের ভিন্ন ভিন্ন ভূমিকা এবং বিশেষ বৈশিষ্ট্য রয়েছে। পরমাণু শক্তির হামলাকারী ডুবোজাহাজ থেকে পরমাণু অস্ত্রবহণে সক্ষম ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা যায় না। কিন্তু আকারে ছোট এই জলযানগুলি মাসের পর মাস জলের নীচে থাকতে পারে। শুধু তাই নয়, নিঃশব্দে শত্রুর যুদ্ধজাহাজ ডোবাতে এগুলি সিদ্ধহস্ত। ভারতীয় নৌসেনার (Indian Navy) যুক্তি, ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকায় ‘দাদাগিরি’ চালায় চিনের পিপলস্ লিবারেশন আর্মির জলযোদ্ধারা। তা ছাড়া বেজিংয়ের হাতে বেশি সংখ্যায় ডুবোজাহাজ রয়েছে। সেটা মোকাবিলার জন্য এখন থেকে ঘুঁটি সাজাচ্ছেন নৌসেনা অফিসারেরা।
২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই প্রতিরক্ষা বিষয়ে গুরুত্ব দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সমর বিশেষজ্ঞদের কথায়, চিনা ডুবোজাহাজগুলিতে ‘ডং ফেং ২১’ এবং ‘ডং ফেং ২৬’-এর মতো দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে। যুদ্ধ বাঁধলে তা ভারতের বড়সড় ক্ষতি করতে পারে। ওই সময়ে বেজিংয়ের রণতরী ডোবানোর প্রয়োজন হবে। আর সেই কারণেই নৌসেনায় (Indian Navy) এবার নিউক্লিয়ার ব্যালিস্টিক সাবমেরিনের (Nuclear Submarines) পাশাপাশি নিউক্লিয়ার অ্যাটাক সাবমেরিনের সংখ্যাও বাড়াতে চাইছে নয়াদিল্লি।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।