Indian Coast Guard: দেশের জলসীমা রক্ষাতেও ব্যবহার করা হবে ‘সি-২৯৫’ বিমান? কলকাতায় এসে এমনই ইঙ্গিত দিলেন উপকূলরক্ষী বাহিনীর ডিজি...
ভারতীয় বায়ুসেনার হাতে আসা প্রথম সি-২৯৫ সামরিক পণ্যবাহী বিমান (ফাইল)। বৃহস্পতিবার কলকাতায় সাংবাদিকদের মুখোমুখি উপকূলরক্ষী বাহিনীর ডিজি (ইনসেটে)। ছবি-নিজস্ব
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বায়ুসেনার পর এবার ভারতের নৌসেনা ও উপকূলরক্ষী বাহিনীর হাতেও কি আসতে চলেছে অত্যাধুনিক ‘সি-২৯৫’ সামরিক পণ্যবাহী বিমান (C-295 Airlifter)? কলকাতায় এসে এমনই ইঙ্গিত দিয়ে গেলেন উপকূলরক্ষী বাহিনীর (Indian Coast Guard) ডিজি রাকেশ পাল।
চিন-পাকিস্তান লাগোয়া দুর্গাম সীমান্তে নিমেষে সামরিক সরঞ্জাম, রসদ পৌঁছে দিতে স্পেনের এয়ারবাস থেকে ৫৬টি ‘সি-২৯৫’ পণ্য সরবরাহকারী বিমান কিনেছে ভারতীয় বায়ুসেনা, যার ডেলিভারি শুরুও হয়ে গিয়েছে। এবার সেই পথে যেতে চলেছে নৌসেনা ও উপকূলরক্ষী বাহিনীও (Indian Coast Guard)। বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে উপকূলরক্ষী বাহিনীর ডিজি জানান, তারাও ‘সি-২৯৫’ (C-295 Airlifter) কেনার বিষয়ে অনেকটা এগিয়েছেন। তিনি বলেন, খুব শীঘ্রই এই মর্মে প্রস্তাব পেশ করা হবে কেন্দ্রের ডিফেন্স অ্যাকুইজিশন কাউন্সিলে। তিনি আশাবাদী সেই প্রস্তাব পাশ হবে। রাকেশ পাল জানান, মোট ১৫টি ‘সি-২৯৫’ বিমান কেনা হবে। এর মধ্যে ৯টি নেবে নৌসেনা আর ৬টি থাকবে উপকূলরক্ষী বাহিনীর হাতে।
আরও পড়ুন: ভারতে পৌঁছল প্রথম ‘সি-২৯৫’ বিমান, কতটা লাভবান হবে ভারতীয় বায়ুসেনা?
বর্তমানে ব্যবহৃত পুরনো আমলের এবং তুলনামূলক ছোট ও কম শক্তিশালী অ্যাভরো-৭৪৮ বিমানের পরিবর্তে আরও শক্তিশালী, অধিক ক্ষমতাসম্পন্ন এবং প্রযুক্তিগতভাবে বেশি উন্নত ‘সি-২৯৫’ পণ্য সরবরাহকারী বিমান ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নেয় বায়ুসেনা। মূল উদ্দেশ্য, দুর্গম সীমান্তে অল্প সময়ের মধ্যে এবং সহজেই সামরিক সরঞ্জাম থেকে প্রয়োজনীয় রসদ ও সেনা পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হয়। সে কারণে, স্পেনের এয়ারবাস সংস্থা থেকে ৫৬টি ‘সি-২৯৫’ (C-295 Airlifter) মিডিয়াম ট্যাক্টিক্যাল ট্রান্সপোর্ট এয়ারক্র্যাফট কেনার বরাত ২০২১ সালে দেয় ভারতীয় বায়ুসেনা। চুক্তি মোতাবেক, প্রথম ১৬টি ইউনিট স্পেন থেকে একেবারে তৈরি অবস্থায় আসবে। এর মধ্যে, প্রথম বিমানটি গত সেপ্টেম্বর মাসেই স্পেন থেকে ভারতে চলে এসেছে। বাকি ৪০টি তৈরি হবে ভদোদরায় টাটার অ্যাডভান্সড সিস্টেমস-এর কারখানায়। কেন্দ্রীয় সূত্রের খবর, অদূর ভবিষ্যতে, এই ৫৬ সংখ্যাটা বাড়াতে পারে বায়ুসেনা। কারণ, অ্যাভরো-র পর রুশ-নির্মিত এন-৩২ (অ্যান্টোনভ) বিমানগুলোকেও এই ‘সি-২৯৫’ দিয়ে করার ভাবনাচিন্তা শুরু করেছে বায়ুসেনা। সেক্ষেত্রে, বাহিনীতে ‘সি-২৯৫’ বিমানের সংখ্যা ১৫০-র কাছাকাছি পৌঁছে যেতে পারে।
এদিকে, সূত্রের খবর, নৌসেনা ও উপকূলরক্ষী বাহিনীর (Indian Coast Guard) জন্য যে ‘সি-২৯৫’ বিমানগুলি তৈরি করা হবে, সেগুলিতে বিশেষ সেন্সর বসানো হবে। এই বিমানগুলি মূলত মাল্টি-মিশন মেরিটাইম এয়ারক্র্যাফট হিসেবে কাজ করবে। সংক্ষেপে যাকে বলা হবে ‘এমএমএমএ’। এই বিমানগুলিতে থাকবে অ্যাকটিভ ইলেক্ট্রনিক্যালি স্ক্যানড অ্যারে (আয়েসা) রেডার। সমুদ্র সীমান্ত নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা সীমান্তাঞ্চলের মধ্যে সমুদ্রে ভাসমান যাবতীয় জাহাজ ও বোটের ওপর নজর রাখা হবে এই বিমানের প্রধান কাজ। সেই বিষয়টিকে মাথায় রেখে নৌসেনার ও উপকূলরক্ষী বাহিনীর ‘সি-২৯৫’-কে (C-295 Airlifter) বিশেষভাবে মডিফাই বা কাস্টোমাইজ়ড করা হবে। কেন্দ্রীয় সূত্রের আরও দাবি, নৌসেনা ও উপকূলরক্ষী বাহিনীর জন্য যে বিমানগুলি কেনা হবে, সেগুলো তৈরি হবে এদেশে টাটার কারখানায়।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।