img

Follow us on

Friday, Nov 22, 2024

Indian Real Estate: দশ বছরেই ভারতের রিয়েল এস্টেট সেক্টর পৌঁছবে দেড় ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারে! দাবি সমীক্ষায়

আগামী দশ বছরে ভারতের রিয়েল এস্টেট সেক্টর কোথায় পৌঁছবে জানেন?...

img

প্রতীকী ছবি।

  2024-04-27 09:05:26

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাত্র দশ বছরের মধ্যেই ভারতের রিয়েল এস্টেট সেক্টর (Indian Real Estate)  পৌঁছে যেতে পারে ১.৫ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারে। বর্তমান হিসেব অনুযায়ী, ভারতীয় মুদ্রায় যা প্রায় ১২৫ লক্ষ কোটি টাকা। অন্তত এমনই রিপোর্ট দিয়েছে ভারতীয় শিল্প কনফেডারেশন, সংক্ষেপে সিআইআই এবং নাইট ফ্র্যাঙ্ক ইন্ডিয়া। এই সেক্টরে ব্যাপক বৃদ্ধির পূর্বাভাসও দেওয়া হয়েছে ওই রিপোর্টে।

কী বলা হয়েছে রিপোর্টে? 

সিআইআই এবং নাইট ফ্র্যাঙ্ক ইন্ডিয়ার “ইন্ডিয়ান রিয়েল এস্টেট: এ ডিকেড ফ্রম নাও” শীর্ষক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রবৃদ্ধির গতিপথ ভারতের অর্থনৈতিক উৎপাদনকে যে শক্তিশালী করবে, তা প্রত্যাশিত। আগামী দশ বছরের মধ্যে দেশের জিডিপিতে রিয়েল এস্টেট সেক্টরের (Indian Real Estate) অবদান হতে পারে ১০.৫ শতাংশ। ২০৩৪ সালের মধ্যে ভারতের শহরগুলির জনসংখ্যা গিয়ে দাঁড়াতে পারে ১.৫৫ বিলিয়ন বা ১৫৫ কোটি। এই সময়সীমার মধ্যে গগনচুম্বী হতে পারে বাড়ির চাহিদা। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই সময় এই চাহিদার যা পরিমাণ হবে, তার মূল্য হতে পারে ৯০৬ মার্কিন বিলিয়ন ডলার। ২০২৪ থেকে ২০৩৪ সালের মধ্যে গোটা দেশের শহরগুলিতে নতুন বাড়ি তৈরি হবে ৭৮ মিলিয়ন বা ৭.৮ কোটি।

বাড়বে চাহিদা

রিয়েল এস্টেট (Indian Real Estate) ক্ষেত্রে চাহিদার এই ঊর্ধ্বগতি মেটাতে প্রয়োজন হবে সাশ্রয়ী মূল্যের আবাসন থেকে বিলাসবহুল পর্যন্ত সব ধরনের বাড়ি। সমাজের বিভিন্ন আয়ের মানুষের জন্যই বাড়ি নির্মাণ হবে। সিআইআইয়ের রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিংয়ের জাতীয় কমিটির চেয়ারম্যান নীল রাহেজা বলেন, “এই সেক্টরের প্রভূত উন্নতি সম্পর্কে আমি ব্যাপক আশাবাদী।” ভারতের রিয়েল এস্টেট বাজার বিনিয়োগকারীদের গুচ্ছ সুবিধা দেবে বলেও প্রত্যয়ী তিনি। এই সেক্টরে ভারতীয় অর্থনীতির প্রবৃদ্ধিও ব্যাপক হবে বলেও জানান রাহেজা। তিনি বলেন, “২০৩৪ সালের আগে ভারতের রিয়েল এস্টেট সেক্টরের সম্ভাবনাগুলি অত্যন্ত আশ্বাসদায়ক বলে মনে হচ্ছে। জনসংখ্যার পরিবর্তন, দ্রুত প্রযুক্তিগত অগ্রগতি ও সহায়ক নীতি গ্রহণের মতো পদক্ষেপের কারণগুলিই রয়েছে এর নেপথ্যে।

বিনিয়োগের ক্ষেত্রে অনুঘটক

এই কারণগুলি কৌশলগত দূরদর্শিতা ও উদ্ভাবনী পদ্ধতির দ্বারা বিনিয়োগের ক্ষেত্রে অনুঘটকের কাজ করবে বলেও আশা করা হচ্ছে। প্রত্যাশিতভাবেই এই সেক্টরে বিপুল পরিমাণ বিনিয়োগ করার সুযোগ পাবেন লগ্নিকারীরা। সিআইআইয়ের রিয়েল এস্টেট (Indian Real Estate) অ্যান্ড হাউজিংয়ের জাতীয় কমিটির চেয়ারম্যান বলেন, “আগামী দশকে যেহেতু ভোল বদলাবে ভারতীয় অর্থনীতির, তাই রিয়েল এস্টেট শিল্পে খুলে যাবে প্রভূত সুযোগের দ্বার। কনজাম্পশান প্যাটার্নের পাশাপাশি বদলে যাবে রেভেনিউ এক্সপ্যানশানও।” তিনি বলেন, “এই রিপোর্টের দিকে তাকিয়ে রয়েছি আমি। এই রিয়েল এস্টেট সেক্টরই ভারতীয় অর্থনীতির অন্যতম মূল চালিকাশক্তি হয়ে উঠবে বলেও মনে করি আমি।”

ভারতের অর্থনৈতিক উত্থান

নাইট ফ্রাঙ্ক ইন্ডিয়ার সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর রিসার্চ, অ্যাডবাইসরি ইনফ্রাস্ট্রাকচার অ্যান্ড ভ্যালুয়েশন গুলাম জিয়া বলেন, “আগামী দশকে ভারতের অর্থনৈতিক উত্থান একটি অভূতপূর্ব উত্থানের দ্বারা চিহ্নিত হবে, যেখানে ভিত্তিপ্রস্তর হয়ে দাঁড়বে রিয়েল এস্টেট সেক্টর। ক্রমবর্ধমান সম্পদ, শক্তিশালী ভোক্তা ব্যয়, পরিকাঠামোগত অগ্রগতি, উদ্যোক্তা উদ্দীপনা এবং ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’র মতো বিভিন্ন কৌশলগত উদ্যোগের দ্বারা আমাদের দেশ দাঁড়িয়ে রয়েছে গভীর অর্থনৈতিক বিবর্তনের কিনারে।” এর পরেই তিনি বলেন, “ভারতীয় রিয়েল এস্টেট সেক্টর ২০৩৪ সালের মধ্যে ১.৫ মার্কিন ট্রিলিয়ন অর্থনীতির পাওয়ার হাউসে উন্নীত হবে, যা দেশের অর্থনৈতিক উৎপাদনের ১০.৫ শতাংশে গিয়ে দাঁড়াবে।” এই সেক্টরই (Indian Real Estate) সমৃদ্ধ আগামীর পথ প্রশস্ত করবে বলেও আশাবাদী তিনি।

আরও পড়ুুন: দীর্ঘদিন ধরে চলে ফাঁদ পাতার কাজ! হিন্দু মহিলাদের কীভাবে টার্গেট করছে জেহাদিরা?

জানা গিয়েছে, ২০০৮ সালে ভারতের শীর্ষ ৮টি শহরে অফিস স্টক ছিল ২৭৮ মিলিয়ন বর্গফুট। গত কয়েক বছরে যা বেড়েছে ৯০০+ এমএন বর্গফুট। অফিস রিয়েল এস্টেটের জন্য দেশের টায়ার ২ ও টায়ার ৩ শহরগুলিতে চাহিদা ক্রমবর্ধমান। ব্যবসার সম্প্রসারণ, স্বল্প খরচ, পরিকাঠামোগত উন্নয়ন, আইটি এবং পরিষেবা শিল্পের উত্থান ও প্রতিভার সহজলভ্যতার মতো কারণগুলি ২ টায়ার ও ৩ টায়ার শহরগুলিতে অফিস স্টক বৃদ্ধির মূল চালিকাশক্তি। ভারতে আনুষ্ঠানিক কর্মশক্তি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে পর্যাপ্ত পরিমাণ অফিসের জায়গার জন্য চাহিদা তৈরি করবে এই কারণগুলি।

কেবল রিয়েল এস্টেট (Indian Real Estate) নয়, ওয়্যায়হাউজিং ও ম্যানুফ্যাকচারিং সেক্টরেও ব্যাপক উন্নতি হবে। ভারতের শক্তিশালী এবং দৃঢ় অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির কারণেই এই দুই শিল্পেও হবে প্রভূত উন্নতি। রিপোর্ট থেকেই জানা গিয়েছে, ২০৩৪ সালের মধ্যে ওয়্যার হাউজিংয়ের জন্য চাহিদা হবে ১১১ মিলিয়ন স্কোয়্যার ফিট। জোয়ার আসবে ম্যান্যুফ্যাকচারিং কাজকর্মে। এসবই উল্লেখযোগ্য অবদান রাখবে দেশের জিডিপিতে। রিটেইল সেক্টরের ওপরও আলোকপাত করা হয়েছে রিপোর্টে। আগামী দশ বছরের মধ্যে সংগঠিত রিটেইল কনজাম্পশান বৃদ্ধিরও ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে ওই রিপোর্টে। এই সময়সীমার মধ্যে রিটেইল কনজাম্পশান ২১ শতাংশ হতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। রিয়েল এস্টেট সেক্টরে প্রাইভেট ইক্যুইটি লগ্নিও বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে। আগামী দশ বছরের মধ্যে প্রাইভেট ইক্যুইটি বিনিয়োগের পরিমাণ হতে পারে ১৪.৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

Tags:

Madhyom

India

bangla news

Bengali news

CII

news in bengali

Indian real estate

real estate

knight frank

cii knight frank report


আরও খবর


খবরের মুভি


ছবিতে খবর