জিজ্ঞাসাবাদে আইসিস জঙ্গিদের আত্মঘাতী হানার স্বীকারোক্তি
প্রতীকী চিত্র
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইহুদি, খ্রিস্টান, বিজেপি ও আরএসএস-এর নেতারা ছিল আইসিস (ISIS) জঙ্গিদের টার্গেটে। এমনটাই জানাল গুজরাট এটিএস। সম্প্রতি যে চারজন আইসিস জঙ্গিকে আহমেদাবাদ থেকে গ্রেফতার করে গুজরাট এটিএস তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে।
গুজরাতে পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, শ্রীলংকা থেকে ভারতে ঢুকে পড়া ওই চার আইসিস (ISIS) জঙ্গির কাছ থেকে যে সমস্ত কাগজপত্র এবং তথ্য উদ্ধার হয়েছে তা থেকে জানা যায় আত্মঘাতী জিহাদি জঙ্গিতে পরিণত হয়েছিল তাঁরা। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে একটি গোলাপি রঙের পার্সেল পাওয়া গিয়েছে। যার মধ্যে থেকে পাকিস্তানের তৈরি তিনটি পিস্তল, ২০ রাউন্ড কারতুজ এবং কালো রঙের আইসিসের পতাকা মিলেছে। গুজরাটের ডিজিপি বিকাশ সহায় প্রেস কনফারেন্স করে জানান, “আমেদাবাদ থেকে তাঁদের গ্রেফতার করার পর দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তাঁরা জানিয়েছে পাকিস্তানের এক জঙ্গির কাছ থেকে নির্দেশ আসত। নির্দেশ ছিল ইহুদি, খ্রিস্টান, বিজেপি এবং আরএসএসের নেতাদের টার্গেট করতে হবে। তাঁদের মগজ ধোলাই করে শেখানো হয়েছিল এরা নাকি মুসলিমদের উপর অত্যাচার করে।”
গুজরাট এটিএস জানিয়েছে ধৃতরা হল মোহাম্মদ নুসরত, মোহাম্মদ ফারিস, মোহাম্মদ রাসদিন এবং মোহাম্মদ নাফরান। এরা সকলেই শ্রীলংকার নাগরিক। গোয়েন্দা সূত্রে আরও খবর মুহাম্মদ নুসরাতের কাছে পাকিস্তানি ভিসা ছিল। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে ধৃত চার জঙ্গি পাকিস্তানের যেই হ্যান্ডলারের যোগাযোগে ছিল তাঁর নাম আবু। আবু একজন আইসিস জঙ্গি এবং পাকিস্তানে থাকে সামাজিক মাধ্যমে আবুর সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছিল শ্রীলংকার জঙ্গিদের। তাঁদের একাধিক টার্গেটকে গুলি করা ও আত্মঘাতী বিস্ফোরণ ঘটানোর জন্য মগজ ধোলাই করা হচ্ছিল। এদের এই কাজ করার জন্য প্রাথমিকভাবে ৪ লক্ষ শ্রীলঙ্কান মুদ্রা দেওয়া হয়েছিল।
আরও পড়ুন: আইপিএল চলাকালীন হামলার ছক? চার সন্দেহভাজন আইসিস জঙ্গি গ্রেফতার
ধৃতদের মোবাইল থেকে অনেকগুলি আইসিস (ISIS) জঙ্গিদের ভিডিও পাওয়া গিয়েছে। তদন্তে উঠে এসেছে এদের মোবাইল ফোনে আমেদাবাদের কাছে নানা চিরোদা বলে একটি এলাকার অনেকগুলি ছবি ছিল। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে ওই এলাকায় হানা দিয়ে গোয়েন্দারা সেখান থেকে পাকিস্তানের তৈরি তিনটি পিস্তল, ২০ রাউন্ড কারতুজ ও আইসিস পতাকা বাজেয়াপ্ত করে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।