Gaganyaan: ‘মানব মহাকাশযান’ নিয়ে সুখবর দিলেন ইসরো প্রধান, কী জানেন?
ইসরো প্রধান এস সোমনাথ। সংগৃহীত চিত্র।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের প্রথম ‘মানব মহাকাশযান প্রোগ্রাম’ হিসেবে ‘গগনযান’ এবছরের শেষে উৎক্ষেপণ হতে পারে বলে জানিয়েছেন ইসরো (ISRO) প্রধান ডক্টর এস সোমনাথ। ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশনের (ইসরো) চেয়ারম্যান বলেন, “২০২৪ সালের শেষ নাগাদ ভারতের প্রথম মানব মহাকাশযান মিশন গগনযান চালু করার চেষ্টা করা হচ্ছে।” একই সঙ্গে চন্দ্রযান-৪ নিয়ে ইতিবাচক মন্তব্য করেন তিনি। উল্লেখ্য, ভারতের চন্দ্রযান-৩ অভিযানে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ করে বিশ্ববাসীর নজর কেড়ে নিয়েছিল ভারত। এবার এই গগনযান নিয়েও ইসরো ব্যাপক আশাবাদী।
কর্ণাটকের বেঙ্গালুরুতে স্পেস এক্সপোতে ভাষণ দেওয়ার সময় সোমনাথ (ISRO) বলেন, “গগনযান উৎক্ষেপণের জন্য প্রস্তুতি আমাদের চূড়ান্ত পর্যায়ে। সব ঠিকঠাক থাকলে আমরা এই বছরের শেষেই অভিযানের জন্য পরিকল্পনা করেছি। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা গগনযান প্রোগ্রাম সম্প্রসারণের অনুমোদন দিয়েছে। সেই সঙ্গে ভারতীয় মহাকাশ স্টেশনের উন্নয়ন সম্পর্কিত একাধিক প্রকল্প অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।” যদিও ভারত সরকা ডিসেম্বর, ২০১৮ সালে গগনযান অভিযান অনুমোদন করেছিল। এটি ভারতের মহাকাশ ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ ছিল। এই কর্মসূচির অধীনে, মানুষকে নিম্ন আর্থ অরবিটে (LEO) পাঠানো হবে। একই ভাবে ভবিষ্যতে আরও মানব মহাকাশযান তৈরি করা হবে। মিশনটি কেবল মহাকাশে পৌঁছানোর চেষ্টাই করবে না, বরং আরও ব্যাপক ভাবে অনুসন্ধানের জন্য ভিত্তি তৈরির কাজ করবে বলে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুনঃ ১০ বছরে ভারতে তিনটি আন্তর্জাতিক হাব গড়ে উঠবে, প্রত্যয়ী জ্যোতিরাদিত্য
চন্দ্রযান-৩ মিশনে যে চ্যালেঞ্জগুলি মোকাবিলা করা হয়েছিল, সেগুলির বিষয়েও ইসরোর (ISRO) মতামত বিনিময় করেছেন ইসরো প্রধান। তিনি বলেন, “মিশনের যন্ত্রাংশ ইসরো তৈরি করেছে। সামগ্রিক ভাবে চন্দ্রযান-৪ উপগ্রহের আকার প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। এখন পাঁচটি মডিউলের প্রয়োজন এবং এই জটিল অপারেশনের জন্য দুটি উৎক্ষেপণের প্রয়োজন হবে। গত ১৮ সেপ্টেম্বর চন্দ্রযান-৪ মিশনের অনুমোদন দিয়েছে কেন্দ্র। এই মিশনের মাধ্যমে ইসরো এমন প্রযুক্তি ব্যবহার করবে, যা কার্যত চাঁদে সফল অবতরণ করার পরে পৃথিবীতে ফিরে আসার জন্য সক্ষম হবে। মিশনের সময় পৃথিবীতে চাঁদের নমুনা সংগ্রহ করে আনবে। এরপর পরীক্ষাও করা হবে। মিশনের ফোকাস হবে ঝুঁকি না নিয়ে মানুষকে চন্দ্রে অবতরণ করা। সেই সঙ্গে পৃথিবীতে নিরাপদে ফিরে আসার জন্য মৌলিক প্রযুক্তি থাকবে সেখানে। বৈশ্বিক মহাকাশ শক্তির তালিকায় ভারতের স্থান আরও পাকাপাকি করতে কেন্দ্রীয় সরকার উচ্চাভিলাষী দৃষ্টিভঙ্গির প্রকাশ করেছে। এই পরিকল্পনায় ২০৩৫ সালের মধ্যে ভারতীয় মহাকাশ স্টেশন স্থাপন করা হবে এবং ২০৪০ সালের মধ্যে একজন ভারতীয় মানুষকে চাঁদে অবতরণ করা হবে।”
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।