মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পার্থ চট্টোপাধ্যায়- অর্পিতা মুখোপাধ্যায় গ্রেফতার নিয়ে কিছুদিন আগেই উত্তাল হয়েছিল রাজ্য রাজনীতি। এর মাঝেই রাজ্যের আরও এক হেভি ওয়েট নেতা অনুব্রত মণ্ডলকেও গ্রেফতার করেছে সিবিআই। এই ইস্যুগুলি ঠাণ্ডা হতে না হতেই রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) এক ঘনিষ্ঠের (Aid) খোঁজে ঝাড়খণ্ডের (Jharkhand) হজারিবাগের (Hajaribag) একটি হোটেলে হানা (Raid) দিলেন আয়কর দফতরের (Income Tax Department) আধিকারিকরা।
আরও পড়ুন: ১৪ দিনের জেল হেফাজত পার্থ-অর্পিতার! কেউ ছাড় পাবে না, প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর নিশানায় কারা?
পিটিআই সূত্রে খবর, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে পার্থ-ঘনিষ্ঠ ওই ব্যক্তির খোঁজে তল্লাশি চালান আয়কর দফতরের আধিকারিকরা। শুক্রবার রাতে ঝাড়খণ্ডের হজারিবাগ জেলার ভাণ্ডারা পার্কের একটি হোটেলে যান তাঁরা।
আয়কর দফতরের আধিকারিকরা সূত্র মারফত খবর পান, ওই হোটেলে এসেছেন পার্থের এক সঙ্গী। বেশ কিছু দিন ধরেই আয়কর দফতর নজর রাখছিল ওই ব্যক্তির ওপর। যদিও শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, হোটেলে আয়কর দফতরের আধিকারিকরা পৌঁছনোর আগেই তিনি পালিয়ে যান। এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) তরফে আয়কর দফতরকে জানানো হয় পার্থ-ঘনিষ্ঠ ওই ব্যক্তির কাছে প্রচুর নগদ টাকা রয়েছে। এর পরেই ওই ব্যক্তির খোঁজ শুরু করে আয়কর দফতর।
আরও পড়ুন: যৌথ ব্যবসার সত্যতা স্বীকার অর্পিতার! জেলে গিয়ে পার্থকে দেড় ঘণ্টা জেরা ইডি-র
প্রথমে ভাণ্ডারা পার্কের সমস্ত প্রবেশপথ বন্ধ করে দেন আয়কর আধিকারিকরা। মাল্টিপ্লেক্স, হোটেল, অনুষ্ঠান বাড়ি—সমস্ত গেট বন্ধ করে খোঁজ শুরু হয়। আয়কর দফতরের এক আধিকারিক সংবাদ মাধ্যমকে জানান, গত বৃহস্পতিবার রাতে আট ঘণ্টা ওই হোটেলে তল্লাশি চলে। কিন্তু কোনও ভাবে পার্থ-ঘনিষ্ঠকে ধরা যায়নি। তবে হোটেলকর্মীদের জিজ্ঞাসাবাদ করে তাঁরা জানতে পারেন, কলকাতা থেকে সরকারি গাড়ি চেপে সেখানে পৌঁছন ওই ব্যক্তি। তাঁর সঙ্গে ছিল বিশাল বড় একটি ব্যাগ।
আয়কর দফতরের সন্দেহ, হিসাব বহির্ভূত টাকা লুকিয়ে রাখার জায়গা খুঁজতেই ওই ব্যক্তি ঝাড়খণ্ডের হোটেলে গিয়ে উঠেছিলেন। আই-টি হানার আগাম খবর পেয়ে কয়েক ঘণ্টা আগেই ওই ব্যক্তি হোটেল ছেড়ে পালিয়ে যান বলে খবর। আয়কর দফতরের আধিকারিকরা হোটেল কর্মীদের জিজ্ঞাসাবাদও করেন।
এসএসসি দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। একই মামলায় অভিযুক্ত দুজনকে ১৯ অগাস্ট শুক্রবার আদালতে পেশ করা হয় ১৪ দিনের জেল হেফাজতের মেয়াদ শেষে। এ দিন ফের তাঁদের দুজনকেই ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এরপর আজ ফের এই বিপুল পরিমান সম্পত্তির হদিশ মিলল। তবে এই বিপুল অঙ্কের টাকা কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, কার মাধ্যমেই বা পাচার করা হচ্ছিল, তা এখনও জানা যায়নি।
+ There are no comments
Add yours