Jammu & Kashmir: জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের মুখপাত্র জানিয়েছেন, পাকিস্তান থেকে ওই জঙ্গি সংগঠনের কোনও হ্যান্ডলার অস্ত্রশস্ত্রগুলি এদেশে পাঠিয়েছিল।
Jammu & Kashmir
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের কাশ্মীরে (Jammu & Kashmir) জঙ্গি মডিউলের পর্দা ফাঁস করা হল। গতকাল গভীর রাতে ৩ জনকে জঙ্গি সন্দেহে গ্রেফতার করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, তাদের সঙ্গে বিপুল পরিমাণে অস্ত্রশস্ত্রও উদ্ধার করা হয়েছে। এদের জইশ-ই মহম্মদ সংগঠনের জঙ্গি সন্দেহে গ্রেফতার করা হয়েছে। সূত্রের খবর অনুযায়ী, অভিযুক্তদের থেকে অস্ত্রশস্ত্রের পাশাপাশি গোলাবারুদও উদ্ধার করে পুলিশ। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
জম্মু ও কাশ্মীর (Jammu & Kashmir) পুলিশের মুখপাত্র জানিয়েছেন, পাকিস্তান থেকে ওই জঙ্গি সংগঠনের কোনও হ্যান্ডলার অস্ত্রশস্ত্রগুলি পাঠিয়েছিল। সেগুলি তার নির্দেশেই পৌঁছে দেওয়া হচ্ছিল কাশ্মীরে। ফলে কাশ্মীর সীমান্ত পেরিয়ে পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব ছিল ধৃত তিন জনের। ধৃতদের এক জন তেলের ট্যাঙ্কারের চালক। নাম মহম্মদ ইয়াসিন। বাকি দুজনের নাম ফারহান ফারুখ এবং ফারুখ আহমেদ।
আরও পড়ুন: উত্তাল ভূস্বর্গ নিকেশ ৪ আতঙ্কবাদী জঙ্গি
সূত্রের খবর অনুযায়ী, বুধবার গভীর রাতে জম্মুতে (Jammu & Kashmir) জাতীয় সড়কের কাছাকাছি নরওয়াল এলাকায় ত্রিকুটা নগর থানার পুলিশ একটি রুটিন তল্লাশি চালাচ্ছিল। তখনই একটি তেলের ট্যাঙ্কারে থাকা ৩ জনকে দেখে সন্দেহ হয় পুলিশের। তারা প্রথমত ট্রাফিক আইন লঙ্ঘন করে। ফলে প্রথমে তাদের হুঁশিয়ারি দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়, কিন্তু কিছু দূরে গিয়ে ফের ট্রাফিক নিয়ম লঙ্ঘন করে তারা। এবার পুলিশ তাদের আটকায় ও জিজ্ঞাসাবাদ করে। এরপর তাদের উত্তর সন্তোষজনক না হওয়ায় তল্লাশির কথা বললে পুলিশের সঙ্গে বচসা শুরু হয়। এরপর তাদের জইশ জঙ্গি সন্দেহে গ্রেফতার করে পুলিশ। আর গাড়িতে তল্লাশির পরেই একাধিক অস্ত্রশস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়। ধৃতদের মধ্যে দু’জন জঙ্গিদের সহযোগী হিসেবে কাজ করত বলে জানিয়েছে পুলিশ। জইশের সঙ্গে জড়িত বলেও দাবি করে পুলিশ।
পরে দীর্ঘক্ষণ জেরা করার পর ধৃত মহম্মদ ইয়াসিন পুলিশের কাছে স্বীকার করে যে, শাহবাজ নামে পাকিস্তানের এক হ্যান্ডলারের নির্দেশেই সে অস্ত্রশস্ত্র পৌঁছে দেওয়ার কাজ করতে এসেছিল। কাশ্মীরে (Jammu & Kashmir) এক জঙ্গির হাতে ওই অস্ত্রশস্ত্র পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল তাকে। ট্যাঙ্কারে যে অস্ত্রশস্ত্র আছে সে বিষয়েও জানায় ধৃত ইয়াসিন। এরপর ট্যাঙ্কার থেকে উদ্ধার করা হয় তিনটি একে ৪৭ অ্যাসল্ট রাইফেল, একটি পিস্তল এবং ৯টি ম্যাগাজিন, ১৯১ রাউন্ড গোলাবারুদ এবং ছয়টি গ্রেনেড। এই জঙ্গি মডিউলে আর কেউ যুক্ত রয়েছে কিনা, তা নিয়ে তদন্ত চালানো হচ্ছে।
আরও পড়ুন: কাশ্মীরে গুলিবিদ্ধ বাংলার পরিযায়ী শ্রমিক, এনকাউন্টারে খতম ২ জইশ জঙ্গি