Pakistan: কাশ্মীরে একাধিক গ্রেনেড হামলায় জড়িত দুই অভিযুক্ত গ্রেফতার…
কাশ্মীরে ধৃত দুই মূলচক্রী। সংগৃহীত চিত্র।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জম্মু-কাশ্মীরে (Jammu and Kashmir) পরপর গ্রেনেড হামলায় জড়িত দুই মূলচক্রীকে গ্রেফতার করল নিরাপত্তা বাহিনী। ধৃতদের জেরায় জানা গিয়েছে, টাকা আসত সরাসরি পাকিস্তান (Pakistan) থেকে। সীমান্তে হামলা চালানোর একটি ছকও করা হয়েছিল। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে একাধিক অস্ত্র এবং গোলাবারুদও। সম্প্রতি এই কেন্দ্রশাসিত রাজ্যের বিধানসভায় নির্বাচন শেষ হয়েছে। ন্যাশনাল কনফারেন্স এবং কংগ্রেস জোট সরকার গঠন করেছে। মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন ওমর আব্দুল্লা। ফলে গ্রেনেড হামলা ও গ্রেফতারের ব্যাপারে ব্যাপক শোরগোল পড়েছে রাজ্যে।
জম্মু-কাশ্মীরের (Jammu and Kashmir) অতিরিক্ত ডিরেক্টর জেনারেল অফ পুলিশ আনন্দ জৈন বলেন, “পুঞ্চ জেলায় অভিযান চালানো হয়েছিল। সেই অভিযানে আব্দুল আজিজ এবং মানওয়ার হুসেন নামে দুই সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। দু’জনেই হরি গ্রামের বাসিন্দা। বড়সড় ষড়যন্ত্র রোধে সাফল্য এসেছে।”
অপর দিকে স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ৩৭ রাষ্ট্রীয় রাইফেলস এবং সিআরপিএফ যৌথ অভিযান চালিয়ে শুক্রবার প্রথমে আব্দুলকে গ্রেফতার করে। এই ব্যক্তির বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে দুটি গ্রেনেড উদ্ধার করা হয়। পরে জিজ্ঞাসাবাদের পর উঠে আসে মানওয়ারের নাম। তিনি আব্দুলের সহযোগী হিসেবে পরিচিত বলে জানা গিয়েছে। তার বাড়ি থেকেও একটি গ্রেনেড উদ্ধার হয়েছে। একইভাবে একটি পিস্তল এবং নয় রাউন্ড গুলি পাওয়া গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুনঃ ওড়িশার আদিবাসী রমণী মোদিকে দিলেন ১০০ টাকা! প্রধানমন্ত্রী বললেন, ‘নারী শক্তির আশীর্বাদ’
আবার পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এলাকায় (Jammu and Kashmir) দুই ধৃতই একাধিক সন্ত্রাসমূলক কাজের সঙ্গে যুক্ত। হামলায় অর্থ জোগান দেওয়া, দেশবিরোধী কার্যকলাপ, অস্ত্রগুলির চোরাকারবারের সঙ্গে যুক্ত ছিল তারা। ধৃতরা আরও কোনও ষড়যন্ত্রের সঙ্গে যুক্ত কিনা তা নিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। তবে এখনও পর্যন্ত জানা গিয়েছে, পাকিস্তান থেকে অবৈধ কাজের জন্য অর্থ সরবরাহ করা হয়। এমনকী তাঁদের অস্ত্র চালানোর প্রশিক্ষণ পর্যন্ত দেওয়া হয় সীমান্তের ওপার (Pakistan) থেকে। গত কয়েক মাস ধরে সীমান্তবর্তী এলাকায় পাক মদতপুষ্ট জঙ্গি কার্যকলাপে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে কাশ্মীর উপত্যকা।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।