Door To Door Campaign: ভোটারের দুয়ারে প্রার্থী, ৩৭০ ধারা রদের পর নির্বাচনে অন্য কাশ্মীর দেখছে ভারত...
ভূস্বর্গে চলছে দোরে দোরে প্রচার। সংগৃহীত ছবি।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিধানসভা নির্বাচনের (Jammu Kashmir Polls 2024) আগে কাশ্মীর ফিরছে আক্ষরিক অর্থেই ভূস্বর্গে। এক আধটা বছর নয়, ৩৭ বছর পর ভোটারদের দোরে দোরে গিয়ে ভোট চাইছেন (Door To Door Campaign) প্রার্থীরা। রাজনৈতিক মহলের মতে, এর ক্রেডিট পুরোটাই প্রাপ্য মোদি সরকারের। একে উপত্যকায় গণতান্ত্রিক কাঠামোর উন্নয়ন হিসেবেই দেখছেন রাজনীতির কারবারিরা।
১৯৮৭ সালে শেষবার জম্মু-কাশ্মীরে হয়েছিল ডোর টু ডোর প্রচার। তখন কাশ্মীরের কুর্সিতে ছিল ফারুক আবদুল্লার নেতৃত্বাধীন ন্যাশনাল কনফারেন্স। সেবার কংগ্রেস ও ন্যাশনাল কনফারেন্সের বিরুদ্ধে ব্যাপক রিগিংয়ের অভিযোগ ওঠে। সেবারই প্রথম জনগণের মধ্যে গভীর বিভাজন সৃষ্টির অভিযোগও উঠেছিল। তাঁদের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছিল বলেও অভিযোগ। এই পরে পরেই কাশ্মীরে বাড়বাড়ন্ত হয় পাকিস্তান স্পনসর্ড সন্ত্রাসবাদ এবং হিন্দু নিধন যজ্ঞ।
দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় ফিরে জম্মু-কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা রদ করে মোদি সরকার। এর পাশাপাশি আঁটসাঁট করা হয় ভূস্বর্গের নিরাপত্তা। যার জেরে বর্তমানে ফের ছন্দে ফিরেছে ভূস্বর্গ। ৮৭-র কলঙ্কিত সেই নির্বাচনের পর সন্ত্রাসবাদীদের হুমকির কারণে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে ভয় পান প্রার্থীরা। বস্তুত, তার পরেই কার্যত বন্ধ হয়ে যায় ডোর টু ডোর ক্যাম্পেন। তারপর থেকে মোদি জমানা পর্যন্ত সময়ের বেশিরভাগটাই কাশ্মীর ছিল রাষ্ট্রপতি শাসনের অধীনে। দ্বিতীয় (Jammu Kashmir Polls 2024) মোদি সরকার কাশ্মীর থেকে রদ করে ৩৭০ ধারা। তার পর এবার হতে চলেছে বিধানসভা নির্বাচন। এবং সেই কারণে শুরু হয়েছে ডোর টু ডোর ক্যাম্পেন।
আরও পড়ুন: “জ্ঞানবাপী মসজিদ নয়, স্বয়ং ভগবান বিশ্বনাথ”, দাবি মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের
এবার ভূস্বর্গে বিধানসভা নির্বাচন হবে দু দফায়। প্রথম দফার ভোট হবে ১৮ই সেপ্টেম্বর। দ্বিতীয় দফায় নির্বাচন হবে ১ অক্টোবর। এর আগে প্রার্থীরা কঠোর নিরাপত্তার ঘেরাটোপে ভোট ভিক্ষে করতেন ভোটারদের কাছে। আর এবার প্রার্থীরা ভোটারদের সঙ্গে হাত মেলাচ্ছেন, কাছে গিয়ে শুনছেন তাঁদের অভাব-অভিযোগের কথা। কোনও কোনও প্রার্থী আবার ভোটারদের দোরে গিয়ে চা খাচ্ছেন। একদা সন্ত্রাসদীর্ণ এলাকায়ও প্রার্থীরা ঘুরে বেড়াচ্ছেন নিশ্চিন্তে। পুলওয়ামার রাজপোরা এলাকার ভোটার গুলজার আহমেদ বলেন, “যাঁরা এতদিন রাজনীতিবিদদের বাড়িতে চায়ের নিমন্ত্রণ করতে ভয় পেত (Door To Door Campaign), তারাই এখন তা করছেন ওপেনলি। গত চল্লিশ বছরে এই ঘটনার কথা শোনা যায়নি (Jammu Kashmir Polls 2024)।”
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।